আদালতের রায়ে সুপার লিগ চাঙা, উয়েফার মাথায় হাত!
ডেস্ক রিপোর্ট: ইউরোপিয়ান সুপার লিগের ভাবনাটা নতুন নয়। ১৯৬৮ সালে উয়েফার তৎকালীন মহাসচিব হান্স বেঙ্গার্টার প্রথম সুপার লিগের ভাবনার কথা প্রকাশ করেছিলেন। এরপর বহুভাবে, বহুবার সুপার লিগের পরিকল্পনা হয়েছে। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি কোনোটাই। তবে রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো ২০০৯ সাল থেকে এই প্রকল্প নিয়ে জোরেশোরে কাজ শুরু করেন।
২০২১ সালের এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নামের নতুন মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা আয়োজনের রূপরেখা উপস্থাপন করেন। ঘোষণা শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে উয়েফা থেকে ফিফা। কর্তৃত্ব হারানোর ভয়ে সুপার লিগের সঙ্গে যুক্ত ক্লাবগুলোকে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। নিষেধাজ্ঞার ভয়ে বেশকিছু ক্লাব পিছু হটলেও রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস।
তারা উয়েফার সে হুমকিতে চ্যালেঞ্জ জানায় ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসে। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) উয়েফা এবং ফিফার হুমকি-ধমকিকে বেআইনি বলে রায় দেয় আদালত। যার ফলে সুপার লিগের পথ থেকে একটা বড় বাঁধা আপাতত সরে গেল।
আদালতের রায়ে বলা হয়, ‘যেকোনো আন্তঃক্লাব ফুটবল প্রকল্প, যেমন—সুপার লিগ অনুমতি সাপেক্ষে এগিয়ে যেতে পারে। ফিফা ও উয়েফা সেই প্রতিযোগিতায় কোনো ক্লাব ও খেলোয়াড় অংশ নিলে নিষিদ্ধের যে নিয়ম তৈরি করেছে, তা বেআইনি।’
আদালতের এমন রায়ের পর সুপার লিগ প্রকল্পের প্রচারকারী কোম্পানি এ২২ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট থেকে বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তারা এটিকে নিজেদের বিজয় হিসেবে দেখছেন।
রায়ের পর বার্সা সভাপতি লাপোর্তা বলেন, ‘এই রায় ফুটবল বিশ্বে একচেটিয়া আধিপত্য বন্ধ করে ইউরোপে একটি নতুন অভিজাত প্রতিযোগিতার পথ প্রশস্ত করেছে।’
আদালতের রায়ের পরপরই ইউরোপিয়ান সুপার লিগের নতুন ফরম্যাট প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, সুপার লিগ গঠিত হবে ৬৪টি দল নিয়ে। প্রমোশন এবং রিলিগেশন সহ বিভাগ থাকবে মোট ৩টি (স্টার, গোল্ড এবং ব্লু)। প্রতি দল প্রতি মৌসুমে হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ১৪টি ম্যাচ খেলবে। খেলা হবে দুই পর্বে। প্রথমে লিগ ও তারপরে প্লে অফ।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।