সারাদেশ

ছাত্রদল নেতা হত্যা: বিএনপি নেতা খোকন কারাগারে

ডেস্ক রিপোর্ট: ছাত্রদল নেতা হত্যা: বিএনপি নেতা খোকন কারাগারে

ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীতে দুই ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলায় জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে কারগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৬অক্টোবর) বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

ছাত্রদল নেতা হত্যা মামালায় ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে হয়ে যাওয়ার পর খায়রুল কবির খোকন আদালত থেকে স্থায়ী জামিন না নেওয়ায় আদালত তার বিরোদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ভোর ৩টার দিকে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, চলতি বছেরের ২৫ মে বিকেলে ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতারা ছাত্রদলের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি চিনিশপুরস্ত জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে আসার পর দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও বহিষ্কৃত নেতা ছাদিকুর রহমান ও তার সহযোগী আশরাফুল হক (২২)। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপরজন মারা যায়। ওই ঘটনায় নিহত ছাদিকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন করেন। এ মামলায় জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, তার স্ত্রী শিরিন সুলতানাসহ জেলা বিএনপির ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩৫ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়।

ওই মামলায় খায়রুল কবির খোকন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। চলতি বছরের ২৭ জুলাই তার সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর তিনি আদালত থেকে আর স্থায়ী জামিন নেননি। যার ফলে আজ ভোর ৩টার দিকে তাকে ঢাকায় তার ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ খোকন চন্দ্র সরকার জানান, খায়রুল কবির খোকনের বিরুদ্ধে জোড়া খুনের মামালাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি মামলায় পলাতক আসামি ছিলেন। তাই আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত ২৬ জানুয়ারি জেলা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী মাঈনউদ্দিন ভূঁইয়াকে সিনিয়র সহ সভাপতি পদ দেওয়া হয়। এতে তার অনুসারী নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগুন দেয় এবং পরে ভাঙচুর করে।

নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে পদবঞ্চিত ও বহিকৃত নেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ মে বিকেলে পদবঞ্চিত নেতারা মোটরসাইকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে দুর্বৃত্তের গুলিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছাদিকুর রহমান ও তার অনুসারী আশরাফুল হক নিহত হয়।

ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে না ৪০ শতাংশ মানুষ

ছবি: বার্তা২৪.কম

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেছেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ৬০টি আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) এবং ৪০০ থেকে ৫০০ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এখন ইন্টারনেট পাচ্ছে না। যার কারণে আমাদের ডেটা সেন্টার (যেখানে গুগল, ফেসবুকসহ আমাদের সকল কন্টেন্টগুলো রক্ষিত থাকে) বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ৪০ শতাংশ মানুষ কোনোভাবে ফেসবুক ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে না।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে খাজা টাওয়ারের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, এখন যারা খাজা টাওয়ারের দায়িত্বে রয়েছেন, তারা আমাদের খুব দ্রুত কাজ করতে না দিলে ইন্টারনেটের সমস্যা বাড়তেই থাকবে।

ইন্টারনেট স্বাভাবিক হতে কতক্ষণ সময় লাগতে পারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ডাটা সেন্টারে যেতে পারি নাই। যেহেতু এখনো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। যে সমস্যা হয়েছে এতে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়েও সমস্যা হবে। দ্রুত চেষ্টা করছি রিকভার করার।

নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, যে পরিমাণ ব্যাকআপ সিস্টেম আছে সেটা অপ্রতুল। এখানে ফেসবুক ও গুগলের সার্ভার রয়েছে। রবির ডিভাইস আছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যাকআপ সার্ভিস রয়েছে। আগামীকাল সমস্যা হতে পারে। যদি ফায়ার সার্ভিস অনুমতি দেয়, তাহলে গুগল সার্ভার আপ করতে সময় লাগবে ঘণ্টাখানেক। আর ফেসবুকেরটা চালু করতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে।

কবে নাগাদ ইন্টারনেটের এ গতি ফিরবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ অগ্নিকাণ্ডে একই সমস্যায় পড়েছে টেলিকম কোম্পানিগুলোও। ফেসবুক পেজে এক পোস্টে গ্রামীণফোন জানিয়েছে, মহাখালীর আমতলীতে অগ্নিকাণ্ডের কারণে কারিগরি বিপর্যয়ে কিছু গ্রাহকের গ্রামীণফোন থেকে অন্য অপারেটরে ভয়েস কল জনিত সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। আমাদের টিম দ্রুততার সঙ্গে সমস্যাটি সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।

আরেক টেলিকম কোম্পানি বাংলালিংক এক পোস্টে জানিয়েছে, মহাখালীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারিগরি বিপর্যয়ে কিছু গ্রাহকের বাংলালিংক থেকে অন্য অপারেটরে কল এবং এসএমএস করতে সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। সমস্যাটি সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।

;

সেই আকলিমার নিথর দেহ উদ্ধার

সেই আকলিমার নিথর দেহ উদ্ধার

মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ আকলিমা রহমানের নিথর দেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা ৩৬ মিনিটে খাজা টাওয়ারের ১২ তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আকলিমার মরদেহ নিশ্চিত করেছে তার ছোট ভাই রিয়াসাদ।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে খাজা টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে বাঁচতে ৯ তলা থেকে ছাদের দিকে উঠেন আকলিমা৷ এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

আকলিমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তার পিতার নাম মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি মহাখালীর খাজা টাওয়ারের দ্য রেজ অনলাইন লিমিটেড নামের একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মহাখালীর খাজা টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় হাসনা হেনা নামের আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছে ।

;

নিখোঁজ আকলিমার স্বজনদের উদ্বিগ্ন অপেক্ষা

ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজধানীর বসিলার আকলিমা রহমান। কাজ করতেন মহাখালীর খাজা টাওয়ারের দ্য রেজ অনলাইন লিমিটেড নামের একটি কোম্পানিতে।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে খাজা টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে বাঁচার তাগিদে ৯ তলা থেকে ছাদের দিকে উঠেন আকলিমা রহমান৷ এরপর থেকে নিখোঁজ তিনি।

এদিকে আকলিমার খোঁজে উদ্বিগ্ন অপেক্ষা স্বজনদের। মামাতো বোন রওশনের আকুতির ভাষা যেন ফুরিয়েছে। নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন খাজা টাওয়ারের নিচে। তার বিশ্বাস বেঁচে আছেন আকলিমা, আবার ফিরবেন পরিবারে।

আকলিমার সর্বশেষ অবস্থান ছিল খাজা টাওয়ারের নবম তলায়। আগুনের খবর শুনে সবাই নিচের দিকে নামলেও আকলিমাসহ কয়েকজন সহকর্মী উপরে ছাদের দিকে যান বলে জানান তার সহকর্মী মিরাজ।

নিখোঁজ আকলিমা রহমান মিরাজ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমার পাশের ডেক্সে বসেন আকলিমা আপু। আগুন লাগার খবরে কেউ সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না কোন দিকে যাবেন। সবাই নিচে আসলেও আপু আর এক সহকর্মী উপরে যায়। তবে ছেলে সহকর্মী ফিরে আসলেও আকলিমা এখনো নিখোঁজ আছে।

এ বিষয়ে আকলিমার মামাতো বোন রওশন জানান, বিকেলে মোবাইল ফোনে আকলিমা কল করে বলেন সে খুব বিপদে আছে। এর পর থেকে ফোন বন্ধ। আর কোন খোঁজ নেই।

আকলিমার মামাতো ভাই আজিম বলেন, শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করব আমরা। জানিনা ওর ভাগ্যে কি হয়েছে, তবে সে যেন আমাদের মাঝে ফিরে আসে।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ভয়াভবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। হাসনা হেনা নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে এ ঘটনায়।

আগুন নিয়ন্ত্রণে এখনো কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা।

;

খাজা টাওয়ারে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

ছবি: বার্তা২৪.কম

আগুন লাগা রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এতথ্য জানান।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি জানান, খাজা টাওয়ারের আগুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, খাজা টাওয়ারে কোনো সেফটি প্ল্যান ছিল না। ভবনটিতে দাহ্য পদার্থ বেশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। এখনো আগুনের ফ্লেম আছে যার জন্য আগুন জ্বলছে। ভবনটিতে ব্যাটারি আছে, স্টোরস, ক্যাবেল, সুইচেস, আইসোলেসন ফোম। ভবনের ১২ ও ১৩ তলাতে ইন্টেরিয়র দিয়ে খুব সুসজ্জিত করা। যা আগুনের বিশেষ উপাদান। আগুন নিয়ন্ত্রণে আরও সময় লাগবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে আগুন আমাদের কন্ট্রোলে আছে তবে নির্বাপণ করতে সময় লাগবে।

ভেতরে কেউ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের জানামতে এখন কেউ নেই। তবুও আমরা সার্চ করছি। কারণ একজন নিখোঁজের খবর আমাদের কাছে আছে। নিচতলা থেকে প্রতিটি ফ্লোরে সার্চ করা হবে।

ভবনের কয়তলা থেকে আগুন লেগেছে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, আগুন লাগার দুটি মত আছে। কেউ বলছেন চারতলা থেকে ৯, ১০ ও ১১ তলায় দ্রুত ছড়িয়ে গেছে। আবার কেউ বলছে ১১তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে যখন আমরা তদন্ত শেষ করবো তখন বলা যাবে কোথা থেকে এবং কি কারণে আগুনের সূত্রপাত। আপাতত মনে হচ্ছে কোনো বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হয়তো আগুন লেগেছে।

তিনি বলেন, বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের সামনে আমাদের একটি টহল গাড়ি ছিল। খবর পেয়ে ৫টা ৭ মিনিটের দিকে আমার প্রথম গাড়ি উপস্থিত হয়। এরপর একে একে ১১টি আগুন নিয়ন্ত্রেণে কাজ করে। ফায়ার সার্ভিসের অত্যাধুনিক তিনটি সর্বোচ্চ টিটিএল ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় দেড় শতাধিক ফায়ার ফাইটার এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাজ করে। সঙ্গে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারসহ সবাই আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে।

৫টা ৭ মিনিট থেকে যখন আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করা হয় তখন আগুন বাইরে তেমন একটা ছিল না। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগুন আমাদের কন্ট্রোলে চলে আসে। কিন্তু অনেক সময় নেওয়া লাগে একজন মানুষকে উদ্ধার করার জন্য। কারণ ১৩ তলায় যে অফিস ছিল সেটি কম্পার্টমেন্ট ছিল। যার কারণে আগুন নিভাচ্ছি কিছুক্ষণ পর আবার আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে। এ পর্যন্ত আমরা ৯ জনকে উদ্ধার করেছি। দুজন লাফিয়ে পড়েছিল তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শেষ মুহূর্তে একজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে মহাখালী আমতলী সংলগ্ন খাজা টাওয়ারে ১৪ তলা ভবনের ১৩ তলায় আগুন লাগে। এর পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট টানা কাজ করে। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার বলছেন, তারা ভবনটি থেকে নয়জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন।

এদিকে এই ঘটনায় হাসনা হেনা নামের এক নারী ভবনটির নবম তলা থেকে নামতে গিয়ে ওপর থেকে পড়ে মারা গেছেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *