সারাদেশ

লালমনিরহাটে অগ্নিকাণ্ড, ৭ ঘর পুড়ে ছাই

ডেস্ক রিপোর্ট: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বরাবরই তরুণ প্রজন্মকে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। আর এ কারণেই তরুণদের কথা মাথায় রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে তাদের সঙ্গে আরও একবার মুখোমুখি আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত লেটস টক অনুষ্ঠানের পর আরও একবার ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে তরুণদের সঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎ ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। এবারের আলোচনায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি এবং তরুণদের নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণ বিষয়ে কথা বলবেন তিনি।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এ তথ্য জানিয়েছে।

সিআরআই জানিয়েছে, অনুষ্ঠানটি আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হবে।

বাংলাদেশের সর্বশেষ জনশুমারির পরিসংখ্যান বলছে, তারুণ্যের জয়গান চলছে দেশেজুড়ে। মোট জনসংখ্যার ৪ ভাগের ১ ভাগ এখন তরুণ, যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। মোট সংখ্যায় ৪ কোটি ৭৪ লাখের বেশি। জনশুমারি ও গৃহ-গণনার চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুসারে দেশে বর্তমানে কর্মক্ষম জনশক্তির সংখ্যা প্রায় ৬২ শতাংশ। আর এই জনমিতিকে কাজে লাগাতে তরুণদের মতকে প্রাধান্য দিতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ।

মূলত এ কারণেই তরুণদের সঙ্গে দেশের নীতি নির্ধারণী বিষয়ে আলোচনা, তাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো সরাসরি জানা এবং দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আলোচনার জন্য আরও একবার সিআরআই আয়োজিত ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে অংশগ্রহণ করা প্রায় ২৫০ জনের বেশি তরুণ-তরুণীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণ, চেঞ্জমেকার, ইনফ্লুয়েন্সার, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ট্রান্সজেন্ডারসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরুণরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

লেটস টক: তরুণদের সাথে আবারও মুখোমুখি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী সিআরআই জানিয়েছে, এবারের লেটস টক অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি এবং তরুণদের নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণ বিষয়ে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে বিশেষ পর্বে তরুণরা তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও মতামত জানাবেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত জীবন ও ভাবনা নিয়েও বেশ কিছু নতুন তথ্য মিলবে এবারের লেটস টক অনুষ্ঠানে।

এ বিষয়ে আয়োজক প্রতিষ্ঠান সিআরআই জানায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তার ইশতেহারে তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে সকল কর্মসূচি ঘোষণা করে। যার মধ্যে অন্যতম ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবতা আমাদের সকলের সামনে। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছি। আর এ সবকিছুর কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে দেশের তরুণ সমাজ। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের কাছ থেকে তাদের কথা জানতে চান। তরুণদের নিয়ে তার ভাবনার কথা বলতে চান। এরই অংশ হিসেবে আমরা আরও একবার আয়োজন করেছি ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *