সারাদেশ

সিলেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের সভাপতি গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের সভাপতি গ্রেফতার

এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন শিপন।

দলীয় সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন শিপন বলেন, নাশকতা মামলায় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৪টি করে ৮টি মামলা রয়েছে।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘গ্রেফতার ও মামলা দিয়ে কোনও দিনই যৌক্তিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যায় না। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে বিএনপি বদ্ধপরিকর। যারা জনগণের অধিকার হরণ করেছে, তাদের কূটকৌশল কোনও দিনই জয়ী হবে না।

হিরো আলমের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ

হিরো আলম। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের (ডাব প্রতীক) নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার মুরাদপুর বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হিরো আলম অভিযোগ করেছেন, নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা এ হামলা করেছেন।

হিরো আলম বলেন, বিকেলে ১৪-১৫ জন কর্মী-সমর্থক নিয়ে তিনি নন্দীগ্রামের মুরাদপুর বাজারে ডাব প্রতীকের প্রচারণা ও গণসংযোগ চালাতে যান। এ সময় নৌকার সমর্থকেরা হিরো আলমের প্রচারণায় বাধা দেন। এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হলে সাদেক নূর ও জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থকেরা তার ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। এ সময় নৌকার সমর্থকেরা ডাব প্রতীকের একজন কর্মীর মুঠোফোন কেড়ে নেন।

হিরো আলম দাবি করেন, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মী।

এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নন্দীগ্রাম পৌরসভার মেয়র আনিসুর রহমান বলেন, জাহিদ ও সাদেক নূর নৌকার কর্মী, তবে আওয়ামী লীগের কেউ নন। তারা জাসদের লোক। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে জাসদের প্রার্থী রেজাউল করিমকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের চেয়ে এখন তার লোকজনের দাপটই বেশি। দলীয় নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ নিজেদের মতো করে নৌকার প্রচারণা চালাচ্ছে। জাসদের কেউ আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর হামলা করলে কিংবা প্রচারণায় বাধা প্রদান করলে তার দায় দল নেবে না। হামলাকারী চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের।

গত বৃহস্পতিবার প্রচারণা শুরুর আগে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে দেখা করেন হিরো আলম। এ সময় কাহালু-নন্দীগ্রামে প্রচারণার সময় যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পুলিশ যেন সহযোগিতা করে, এ জন্য সহযোগিতা চান তিনি।

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসেন বলেন, ‘হিরো আলমের ওপর হামলার অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিক তদন্তে হামলার সত্যতা মেলেনি। ডাব প্রতীকের কোনো কর্মীর কাছ থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ারও সত্যতা মেলেনি। হিরো আলম নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে নন্দীগ্রামে আসছেন, সেই তথ্য আগে থেকে থানা-পুলিশকেও জানাননি।’

ওসির দাবি, হিরো আলম নির্বাচনী ‘কাভারেজ’ পাওয়ার জন্য হামলার মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।

;

‘ইনু যেন নৌকা থেকে পড়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু যেন নৌকা থেকে পড়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে বললেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ায়সহ ছয় জেলার জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ইনু ভাইও নৌকায় চড়েছেন। নৌকা যেন দোল খেয়ে পড়ে না যায়, সেদিকে একটু খেয়াল রাখবেন আপনারা।’ বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসী দল, জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এদের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত রাখতে হবে। তাহলে দেশের উন্নয়ন হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে সকল পর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করেন।

জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম সরোয়ার জাহান বাদশা, জোটের শরীক জাসদ সভাপতি কুষ্টিয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু, কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ যুব লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাব জর্জসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে: মেনন

ছবি: বার্তা২৪.কম

বরিশাল-২ আসনের ১৪ দলের সমর্থিত নৌকার প্রার্থী রাশেদ খান মেনন বলেন, নৌকা হক-ভাসানীর প্রতীক, বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, শেখ হাসিনার প্রতীক। নৌকা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতীক।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বরিশাল-২ (উজিরপুর বানারীপাড়া) নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিকেলে চাখার ফজলুল হক ইনস্টিটিউশন মাঠে উঠান বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত যে হত্যা ও জ্বালাও পোড়াও এর রাজনীতি করছে, সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

এসময় তিনি, আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের কোন অপতৎপরতা সফল হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খিজির সরদারের সভাপতিত্বে, উপজেলা সহসভাপতি সৈয়দ মজিবুর ইসলাম টুকুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মন্টু লাল কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানা, উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, বানারীপাড়া পৌর চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা এড.শুভাষ চন্দ্র শীল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মুস্তফা আলি প্রমুখ।

;

আমি আ. লীগে, বরিশালে বিএনপির কেউ থাকবে না: শাহজাহান ওমর

ছবি: সংগৃহীত

আমি আওয়ামী লীগে জয়েন করেছি, বরিশাল বিভাগে আর কোনো বিএনপি থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসনে (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) নৌকার প্রার্থী হওয়া মুহম্মদ শাহজাহান ওমর বীর উত্তম।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝালকাঠির রাজাপুরের কানুদাসকাঠি ইসলামিয়া কমপ্লেক্সে মাঠে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহজাহান ওমর বলেন, আমি যখন আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি, তখন এ অঞ্চলে, বরিশাল বিভাগে আর কোনো বিএনপি থাকবে না। শেখ হাসিনার এই আস্থা আমার ওপর আছে।

তিনি বলেন, আমি কাঁঠালিয়া বিএনপির সব নেতাকর্মী নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। রাজাপুরেরও অনেক অংশ এসে গেছে। দু-একটা নাবালক এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করতেছে। আমি যখন এই দলে (আওয়ামী লীগ) এসেছি, তারাও চলে আসবে।

ঝালকাঠি-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব বজলুল হক হারুন মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় রাজাপুর ও কাঁঠালিয়ার উপজেলার আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বজলুল হক হারুনকে উদ্দেশ্য করে শাহজাহান ওমর বলেন, আমি হারুন সাহেবের ‘বাড়া ভাতে’ ভাগ বসাতে আসিনি। আমি হারুন ভাইকেও বলেছি, আপনার কোনো কাজে বাধা দিতে আসিনি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *