সারাদেশ

পূর্ববিরোধের জের, ফুফাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

ডেস্ক রিপোর্ট: পূর্ববিরোধের জের, ফুফাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

নুরুল মোস্তফা বজল

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পূর্ববিরোধের জের ধরে আপন ফুফাতো ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে একাধিক মামলার আসামি তৌহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড লালানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম নুরুল মোস্তফা বজল (৫৮)। তিনি পশ্চিম লালানগর সুবেদার বাড়ীর সুবেদার মুজিবুল হকের ছেলে এবং বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত তৌহিদ নিহত বজলের আপন মামাতো ভাই।

পুলিশ যায়, লালানগর গ্রামের বাসিন্দা চিহ্নিত ডাকাত বহু মামলার আসামি তৌহিদুল ইসলামের সাথে নুর মোস্তফা বজলের দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারা দুজন আপন মামাতো ফুফাতো ভাই। বজল ওই এলাকার সমাজ প্রতিনিধি। তৌহিদ হত্যা, ডাকাতি, মাদক, চুরি বহু মামলার আসামি। তৌহিদ ডাকাত তাই তাকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না এমন ঘোষণা দেয় সমাজ প্রতিনিধি বজল। রোববার সন্ধ্যায় তৌহিদ এলাকায় আসলে বজলের সঙ্গে দেখা হয়। পরে ‍তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তৌহিদের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন বজলকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে তার একটি হাতও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে বজলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, পূর্ববিরোধের জের ধরে মামাতো ভাইয়ের হাতে খুন হন ফুফাতো ভাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দুজনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে তাদের দলীয় পদ পদবী কী সেটা জানি না। হত্যাকারী তৌহিদ একজন চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, ডাকাতি, মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।

সুদের ৬ হাজার কোটি টাকা মওকুফ চায় রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫ চিনিকল

ছবি: সংগৃহীত

দেশের চিনিকলগুলোর ব্যাংকের ঋণ সুদে আসলে ৯ হাজার ২৯১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় চিনিকলগুলোর সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি সুদ মওকুফ সুবিধা চাচ্ছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালীসহ মোট ৬টি ব্যাংকের কাছে সুদ-আসলে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) ঋণের পরিমাণ ৯ হাজার ২৯১ কোটি টাকা।

এদিকে রাষ্ট্রীয়খাতে লোকসানের বোঝা কমাতে দেশের ১৫টি চিনিকলের মধ্যে ইতিমধ্যে ছয়টি সরকারি কলে চিনি উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে

সম্প্রতি বিশেষ বিবেচনায় সুদ মওকুফ সুবিধা দিতে অর্থ বিভাগকে সুপারিশ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। একইসঙ্গে বন্ড ইস্যু করে এসব চিনিকলের বিপুল পরিমাণ ঋণের মূল টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানায়, গত ৫ ডিসেম্বর পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএসএফআইসির অধীন চিনিকলগুলোর ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এসব চিনিকলের চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকা ঋণের সুদ যেন আর নতুন করে আরোপ করা না হয়। সেই প্রেক্ষিতে এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এরপর গত ২৬ সেপ্টেম্বর এসব মিলের ঋণ, ঋণের সুদ মওকুফ ও পরিশোধ-সংক্রান্ত বিষয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

ওই কমিটি বিভিন্ন পর্যালোচনা শেষে বলেছে, চিনিকলগুলোর সক্ষমতা না থাকায় ঋণের সুদের বোঝা থেকে বাঁচতে সুদ আরোপ স্থগিত রাখতে হবে। পাশাপাশি মিলগুলোর ঋণের আরোপিত সুদ মওকুফ করতে হবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, যুগোপোযোগী ব্যবসা-কৌশল ও কাঁচামালের অভাবে বছরের পর বছর ধরে লোকসানে চলতে থাকা চিনিকলগুলোকে দায়মুক্তির মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

;

হবিগঞ্জে জুয়াড়ি ও মাদক ব্যবসায়ীসহ ১২ জন গ্রেফতার

ছবি: বার্তা২৪.কম

হবিগঞ্জ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় মাদক ব্যবসায়ীসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৯ জন মাদক ব্যবসায়ী ও ৩ জন জুয়াড়ি রয়েছেন। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, জেলার বানিয়াচং থেকে ২ জন, লাখাই থেকে ২ জন, আজমিরীগঞ্জ থেকে ৩ জন ও চুনারুঘাট থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে ৭৪ কেজি গাঁজা, ১৪৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়।

এসব ঘটনায় ৮টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। 

;

ট্রেনের নিরাপত্তায় আইপি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে: আইজিপি

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ট্রেনে নাশকতা প্রতিরোধে স্টেশনসহ বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে আইপি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে, এক সপ্তাহের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হবে।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর কাকরাইল চার্চে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান (ক্রিসমাস ডে) বড়দিন উপলক্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আইজিপি বলেন, দুষ্কৃতকারী এবং নাশকতাকারীরা বিভিন্ন কর্মসূচির নামে নির্বাচন বিরোধী কার্যক্রম প্রকাশ্যে করতে পারছে না। কারণ তাদের কর্মসূচিতে জনসমর্থন নেই। আমরা সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সকল সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছি।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তারপরেও নাশকতামূলক ২-১টি কর্মকাণ্ড ঘটছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ নাশকতাকারীদের ধরে আমাদের হাতে দিচ্ছে। মানুষ আমাদের সহায়তা করছে, বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ট্রেনের নাশকতা প্রতিরোধে কম্পার্টমেন্টে, বাইরে কৌশলগত স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। স্টেশনসহ বিভিন্নস্থানে আমরা আইপি ক্যামেরা স্থাপন করছি। এ কার্যক্রম শুরু হয়ে গিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এ কার্যক্রম আমরা শেষ করতে চেষ্টা করবো।

এছাড়া, রেলের স্থাপনাসহ, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় বিভিন্নস্থানে পুলিশকে সহায়তার জন্য আনসার বাহিনীকে নিয়োজিত করা হয়েছে। সম্প্রতি আরও প্রায় ৩ হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নাশকতাকারী ও দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। যেখানে যে ঘটনা ঘটছে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে দেশের পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করলে বা কোথাও কেউ প্রতিপক্ষকে আক্রমণের চেষ্টা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, আইজিপি বলেন, সারাদেশে সকল গির্জাতে বড়দিন উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সকল ইউনিটকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বড়দিনের সকল অনুষ্ঠানে তাদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। বড়দিনের সকল অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত করতে আমরা পাশে আছি।

;

ফেরদৌস আমার ভাই, ওরে আপনারা ভোটটা দিয়েন: মিশা সওদাগর

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। অন্যান্য প্রার্থীদের মতোই ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদও নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় এলিফ্যান্ট রোডের বিভিন্ন অলিগলি প্রদক্ষিণ করে নিউ মার্কেট এলাকা পর্যন্ত জনসংযোগ করেন। একই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফেরদৌসের নৌকার পক্ষে প্রচারণায় নামেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা খলনায়ক মিশা সওদাগর। হাজারীবাগের রায়েরবাজার এলাকার সুলতানগঞ্জ রোডে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে ফেরদৌসের পক্ষে একাই জনসংযোগে নামে তিনি।

ফেরদৌসের নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে মিশা সওদাগর ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ফেরদৌস আমার ছোট ভাই, আপনারা ওরে ভোট দিয়েন। অনেকেরই অনেক ভালো গুণ আবার খারাপ গুণও থাকে, কিন্তু ফেরদৌসের মধ্যে কোন খারাপ গুণ নেই। ফেরদৌস যে এত বড় একজন নায়ক তারপরেও ২৭ বছরের ক্যারিয়ারে তার কোন স্ক্যান্ডাল নেই। একজন নায়কের মধ্যে সবগুলো ভালো গুণ বিদ্যমান থাকে, ফেরদৌসের মধ্যেও ভালো গুণ ব্যতীত খারাপ কোন গুণ নেই। নিঃসন্দেহে ফেরদৌসকে আপনারা ভোট দিতে পারেন।

বড় পর্দার নায়ক ফেরদৌস। সেই নায়কের নির্বাচনী প্রচারণায় বড় পর্দার খলনায়কে একটু কাছ থেকে দেখার জন্য রায়েরবাজার এলাকায় নেমেছিল জনতার ঢল। ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা খলনায়ককে দেখতে পেরে উচ্ছ্বসিত অত্র এলাকার বাসিন্দারা।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *