সারাদেশ

ইমরান খানের সাজা বাতিলের আবেদন ফেরত

ডেস্ক রিপোর্ট: ইমরান খানের সাজা বাতিলের আবেদন ফেরত

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তোশাখানা মামলায় প্রাপ্ত তিন বছরের সাজা বাতিলের আবেদন ফেরত দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। 

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য  ডন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাজা বাতিলের আবেদনটি অসম্পূর্ণ হওয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট কার্যালয়। এর আগে ১১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ইমরান খানের আইনজীবী সরদার লতিফ খোসা পাকিস্তানি সংবিধানের ১৮৫ অনুচ্ছেদের আওতায় এই আবেদন করেন।

এর আগে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একই আবেদন করা হলে সেই আবেদনকে খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় পাওয়া উপহার বিক্রির অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হয়েছিলেন তিনি। এ মামলায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

গাজার আল মাগহাজি শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০

ছবি: সংগৃহীত

টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে গাজা উপত্যকার হাসপাতাল আর শরণার্থী শিবিরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেই বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এবার গাজার প্রধান সড়কের সঙ্গে থাকা আল মাগহাজি শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা জানিয়েছেন, হামলায় জনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকাটি ধ্বংস হয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ভয়াবহ এ হামলায় আহতদের উদ্ধার করে আল আকসা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ওই শরণার্থী শিবিরে অনেক পরিবার বসবাস করত বলেও জানান তিনি।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার পর এক ভিডিওতে দেখা গেছে, অনেক শিশুর রক্তাক্ত দেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, ইসরায়েল বাহিনী প্রধান সড়কের সঙ্গে থাকা তিনটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে। সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ।

;

সৌদি আরবে ২ বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জিজান শহরে ভারতীয় এক নাগরিককে হত্যার দায়ে দুই বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব।

সৌদির রাজকীয় আদালতের নির্দেশে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় বলে গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। তবে প্রকাশিত প্রতিবেদনে হত্যার সময় ও নিহতদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

জানা যায়, ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে আর্থিক বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই বাংলাদেশি প্রবাসী মিলে গাড়িতে করে জিজান শহরের একটি খালি স্থানে নিয়ে শ্বাসরোধে ওই ভারতীয় নাগরিককে হত্যা করেন। অপরাধ ধামাচাপা দিতে তার মুখে কীটনাশক প্রয়োগ করেন তারা। তার মরদেহ দাফনও করেন।

এ ঘটনা আদালতের চূড়ান্ত রায়ে আপিল ও সুপ্রিম কোর্ট থেকে উভয় বাংলাদেশির দোষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।

অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সৌদির সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। পরে সৌদি আরবের রাজকীয় আদালতের নির্দেশে তাদের চূড়ান্ত সাজা বহাল রাখা হয়। 

সূত্র: গালফ নিউজ

;

রাশিয়ার সঙ্গে নয়, এবার ইউক্রেনে ক্রিসমাস ২৫ ডিসেম্বর

ছবি: আল জাজিরা

এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইউক্রেন আনুষ্ঠানিকভাবে এই বছর ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস দিবস পালন করবে। দেশটি প্রতি বছর রাশিয়ার সাথে ৭ জানুয়ারী দিবসটি উদযাপন করতো। বিশ্বের বেশিরভাগ খ্রিস্টানদের সাথে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে সঙ্গতি রেখে তারিখটি পরিবর্তন করেছে ইউক্রেন। তবে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার বিরোধিতা আর পশ্চিমা মিত্রতার জন্যই দেশটি এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।

রোববার (২৪ ‍ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

ইউক্রেন সরকার গত জুলাই মাসে তারিখ পরিবর্তন করে আইন পাশ করে, যাকে রাশিয়া এবং রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের প্রতি অপমান হিসাবে দেখা হয়েছিল। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য রোমান যুগের জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে রাশিয়া।

রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির স্বাক্ষরিত আইনটি বলা হয় ইউক্রেনীয়রা তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য এবং ছুটির সাথে তাদের নিজস্ব জীবনযাপন করতে চায়।

আইনে ৭ জানুয়ারি ক্রিসমাস উদযাপনের রাশিয়ান ঐতিহ্য পরিত্যাগ করা হয়। খ্রিস্টধর্ম ইউক্রেনের বৃহত্তম ধর্ম, রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চ ঐতিহাসিকভাবে ধর্মীয় জীবনে আধিপত্য বিস্তার করে।

রাশিয়ান এবং সোভিয়েত সাম্রাজ্যের যেকোন চিহ্ন যেমন রাস্তার নামকরণ এবং স্মৃতিস্তম্ভ অপসারণের জন্য রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে একাধিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ইউক্রেনের বড়দিনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।

ইউক্রেনের অর্থোডক্স চার্চ, একটি সদ্য নির্মিত স্বাধীন গির্জা যেটি ২০১৯ সালে প্রথম পরিষেবা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও তার ক্রিসমাস তারিখ পরিবর্তন করে ২৫ ডিসেম্বর করা হয়েছে।

ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়া-সংযুক্ত ইউক্রেনীয় অর্থোডক্স চার্চ, ইতিমধ্যে, ৭ জানুয়ারী বড়দিনের তারিখ পালন করছে। এই চার্চ যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলে দাবি করেছে তবে অনেক ইউক্রেনীয়রা এটিকে সন্দেহের সাথে দেখে।

দেশের তৃতীয় অর্থোডক্স সম্প্রদায়, ইউক্রেনীয় গ্রীক ক্যাথলিক চার্চও ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস পালন করবে।

১৭ শতক থেকে ইউক্রেন মস্কোর আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের অধীনে ছিল।

;

সমুদ্রে আটকে পড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মৃত্যুঝুঁকি

ছবি: আল জাজিরা

বাংলাদেশ থেকে অবধৈ পথে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে নৌকার ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে সাগরে আটকা পড়া অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থীর ভয় বাড়ছে। নৌকার অন্তত একজন যাত্রী ইতিমধ্যেই মারা গেছে, আরও এক ডজন “সঙ্কটজনক অবস্থায়” রয়েছে।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে আটকে পড়ে প্রায় ১৮৫জন রোহিঙ্গার দল, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। তাদের উদ্ধারে কাজ করা প্রয়োজন রয়েছে। খবর- আল জাজিরা

ইউএনএইচসিআর সতর্ক করে জানিয়েছে, সময়মত উদ্ধার ও নিরাপদ স্থানে নামা ছাড়া অসংখ্য উপকূলীয় দেশের নজরদারিতে আরও অনেকে মারা যেতে পারে।

মিয়ানমারে প্রবলভাবে নির্যাতিত হাজার হাজার মুসলিম রোহিঙ্গারা প্রতি বছর তাদের দেশ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্র যাত্রা করে বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে।

ইউএনএইচসিআর অনুসারে, ২০২২ সালে ২,০০০ এরও বেশি রোহিঙ্গা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রার চেষ্টা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত বছর থেকে এ অঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ ৫৭০ জনেরও বেশি মানুষ সমুদ্রে মৃত বা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর উপচে পড়া শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল রোহিঙ্গা। ২০১৭ সালে সামরিক বাহিনী মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করারর পর সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলমান অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীকে রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *