সারাদেশ

স্বামীর কবর জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বামীর কবর জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী

স্বামীর কবর জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী

রংপুরে প্রয়াত স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুরে ছোট বোন শেখ রেহানা ও রংপুর-৬ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কবর জিয়ারত করেন।

এরআগে, বেলা ১১টায় ঢাকা থেকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। সেখান থেকে সড়ক পথে গাড়ি বহরে করে তারাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে রংপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন। ওই সভা শেষে পীরগঞ্জে এসে পৌঁছেন তিনি।

উল্টো পথে যেতে বাধা দেওয়া ট্রাফিক সদস্যের ওপর হামলা

ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজধানীর কামরাঙ্গিরচর থানার শেকসন বেড়িবাঁধ এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের ময়লাবাহী ভ্যান গাড়ি উল্টো পথে যেতে বাধা দেওয়ায় কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবলের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতের নাম- ইসমাইল হোসেন জীবন (২৪)। সোমবার তাকে রংপুর জেলার গঙ্গাচরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে, গত ২১ ডিসেম্বর দুপুরে কর্তব্যরত কনস্টেবল মতিয়ার রহমান (৫০) ওপর হামলা করেন জীবন। হামলা তিনি গুরুতর আহত হন।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে  ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন এ তথ্য জানান।

ডিসি জাফর বলেন, কামরাঙ্গীরচর থানার সেকশন বেড়িবাঁধ এলাকায় গত ২০ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে একটি সিটি কর্পোরেশনের ময়লাবাহী ভ্যান গাড়ি উল্টো পথে যাওয়ার সময়ে ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মতিয়ার রহমান বাধা দেন। এই বিষয় নিয়ে পুলিশ সদস্যের সঙ্গে বাকবিতান্ডায় জড়িয়ে যায় জীবন। পরবর্তীতে উপস্থিত অন্য পুলিশ সদস্য ও সার্জেন্টরা বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। কিন্তু তাকে বাঁধা দেওয়া ও কথাকাটাটির জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাফিক সদস্য মতিয়ারের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন। পরের দিন (২১ ডিসেম্বর) একই স্থানে দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল মতিয়ার দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় কাঠের ষ্ট্যাম্প দিয়ে পিছন থেকে মাথায় আঘাত করে। হামলায় কনস্টেবল মতিয়ারের মাথা ফেটে গুরুত্বর আহত হন। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। অবস্থান অবনতি হওয়ায় প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পরবর্তীতৈ ন্যাশনাল ইন্সটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় আহত ট্রাফিক সদস্যের ছেলে সাব্বির বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীচর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তে নেমে ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হয়। হামলার ঘটনায় জড়িত ময়লাবাহী ভ্যানের চালক জীবনকে শনাক্ত করতে কামরাঙ্গীচারসহ আশাপাশের এলাকার ময়লা সংগ্রহকারী ইজারাদারসহ ৩০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে আসামি জীবনের অনুপস্থিতির বিষয়টি বেড়িয়ে আসে। পরবর্তীতে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাছ থেকে আসামি জীবনের পরিচয় ও ঠিকানা পাওয়া যায়। তবে এই ঘটনায় কাজ করতে গিয়ে পুলিশ দেখে ময়লা পরিবহন ও সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত কর্মীদের কোনো তথ্য ভান্ডার নেই। ফলে তাকে শনাক্ত করতে বেগ পেতে হয় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে।  

লালবাগ বিভাগের ডিসি আরও বলেন, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের ওপর হামলায় জড়িত পলাতক আসামি জীবনের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শেষে পুলিশ জানতে পারে রংপুর গঙ্গাচরা থানা এলাকায় আত্মগোপনে আছে। পরবর্তীতে গঙ্গাচরা থানা পুলিশের সহযোগিতায় হামলাকারী জীবনকে গ্রেফতার করে ঢাকায় আনা হয়। 

এই হামলার ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না জানতে চাইলে ডিসি জাফর বলেন, ঘটনার পর আসামি জীবন দুজনের সঙ্গে কথা বলা তথ্য আমাদের দিয়েছেন। কিন্তু হামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সে বিষয় তদন্ত করা হবে। তবে হামলার সময়ে তিনি  একা ছিলেন। আর হামলায় ব্যবহৃত স্ট্যাম্পটি তার বাসায় ছিলো বলে দাবি তার। তবে সব কিছু সামনে রেখে আমরা তদন্ত করছি। পুলিশের ওপর হামলার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

;

পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে ফরিদপুরের এসপিকে প্রত্যাহার

ছবি: সংগৃহীত

পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহানকে বদলি করা হয়েছে। তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) পদায়ন করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের সই করা এক আদেশে বদলির কথা জানানো হয়। নতুন এসপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোরশেদ আলম।

পুলিশ সুপার বদলির বিষয়ে অনাপত্তির ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের জন্য ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার পদে পদায়নে নির্বাচন কমিশন অনাপত্তি প্রদান করেছে। একই সঙ্গে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমকে ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে পদায়নের জন্য অনাপত্তি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এতে তাকে অন্যত্র বদলি করে একজন নিরপেক্ষ পুলিশ সুপারকে পদায়ন করার জন্য মুহাম্মদ সাইফুর রহমান নামে এক ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন। পরে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচন কমিশন।

;

বিএনপি’র নির্বাচন বিরোধী লিফলেট বিতরণে পুলিশি হামলা; আহত ৭

ছবি: বার্তা ২৪

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিরোধী লিফলেট বিতরণ করেছেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এ সময় তাদের উপর পুলিশ অতর্কিতভাবে হামলা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মেডিকেল মোড় থেকে একটি মিছিল বের করে শহর প্রদিক্ষণ শেষে উপজেলা পরিষদ গেটে সমাবেশে মিলিত হন। আর সেখানে অতর্কিতভাবে হামলা করেন পুলিশ।

জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে উপজেলার দইখাওয়া মোড় থেকে সাবেক এমপি পুত্র বিএনপি নেতা সাহেদুজ্জামান কোয়েলের নেতৃত্বে একটি নির্বাচন বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন। পরে উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে এক সমাবেশে মিলিত হন।

এ সময় বিএনপি নেতা সাহেদুজ্জামান কোয়েল বক্তব্য শুরু করলে পুলিশ লাঠি চার্জ শুরু করে। এমনকি এ সময় এক সংবাদকর্মীকেও ধাক্কা দেয় পুলিশ।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা সাহেদুজ্জামান কোয়েল বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ করছিলাম। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের পেটোয়া বাহিনী পুলিশ আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ৬-৭ জন আহত হন। শুধু তাই নয় বাড়িতে ঢুকেও হামলা চালিয়েছে।’ 

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তারা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং জানমালের ঝুকিপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। সেটি আমরা ছত্রভঙ্গ করেছি।’ 

;

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী লোটাস

কুষ্টিয়া-২ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মুসতানজীদ লোটাস

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার মোঃ মুসতানজীদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়াস্থ আলেয়া ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নির্বাচনী প্রতীক কেটলি মার্কা নিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা করছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার (বিএমএ) সভাপতি এবং কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েকদিন আগে আমার ছোট ভাই মৃত্যুবরণ করেন, ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তার অনুপস্থিতি আমার সমস্ত কর্মকাণ্ডকে বিপর্যস্ত করেছে। তাই আমি আমার পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলাম।

কাকে সমর্থন করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমি নির্বাচন করব না, আপাতত কাউকে সমর্থন করছি না।

নাগরিক কমিটির সভাপতি হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন স্বাস্থ্য সেবা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আছি এবং নাগরিক কমিটি জেলা শাখার সভাপতি। আমার এই সেবা অব্যাহত থাকবে। আমি মানুষের কাছে যেভাবে ছিলাম, সেভাবেই থাকব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে কিশোর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে অবস্থান করি।

এ সময় তার স্ত্রী ডা. ফাতেমা আশরাফ, মেয়ে মোমতাহিনা ফাতিমা, সহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *