আন্তর্জাতিক

হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেয়নি ভারত

ডেস্ক রিপোর্ট: শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) পর্যন্ত হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেয়নি ভারত। এর আগে বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন ভারতকে আবেদন করেন, ভারত যেন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডার মতো পশ্চিমা দেশগুলো হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করেছে। কিন্তু ভারত হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে এখনও ঘোষণা করেনি।

ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের আবেদনের পর অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘ভারতীয় আইন অনুযায়ী কোনও সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা আইনি বিষয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিচ্ছি। ’

নাওর গিলন বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারত বিশ্বজুড়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর। প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রথম বিশ্ব নেতাদের মধ্যে একজন যিনি এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করেছিলেন। তিনি এর গুরুত্ব বোঝেন। ভারতের উচিত হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার।’

ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা ভারতের ওপর চাপ দিচ্ছি না। আমরা শুধু জিজ্ঞেস করছি।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একে সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। তবে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেনি।

এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের আবেদনের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচির সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশটির গণমাধ্যম। তখন  অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘ আমরা খুব সুস্পষ্টভাবে এটিকে একটি সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে দেখছি। কিন্তু সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রশ্নে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্টরাই সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের লক্ষ্য আমাদের নাগরিকদের সাহায্য করা।

এই জাতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।। 

জামিয়া ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ওয়েস্ট এশিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স-এর সিনিয়র ফেলো ড. সুজাতা ঐশ্বরিয়া বলছেন, অতীতে এই প্রশ্নগুলো উত্থাপিত হয়েছে এবং ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রীরাও এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন।

উল্লেখ্য ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে হামাস ও হিজবুল্লাহর মতো সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত না করার প্রধান কারণ হলো হামাস বা হিজবুল্লাহ কখনও সরাসরি ভারতের ক্ষতি করেনি। 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *