আন্তর্জাতিক

কৃষ্ণ সাগরে যুদ্ধজাহাজ ক্ষতির বিষয় নিশ্চিত করল রাশিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট: কৃষ্ণ সাগরে বন্দরে ইউক্রেনের হামলায় যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরে রুশ-অধিকৃত ক্রিমিয়ার ফিওডোসিয়ায় এ বিমান হামলা চালায় ইউক্রেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, নভোচেরকাস্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী বৃহৎ অবতরণকারী জাহাজে ইউক্রেনীয় বিমান আঘাত হানে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে যুদ্ধবিমান হামলায় জাহাজটি ধ্বংস করার দাবি করেন ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর প্রধান।

ক্রিমিয়ার রাশিয়ান স্থাপিত প্রধান সের্গেই আকসিওনভের মতে, হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ হামলায় ছয়টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অল্প সংখ্যক লোককে অস্থায়ী আবাসন কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন আকসিওনভ।

বিবিসি জানায়, এলাকাটি ঘেরাও করার পর বন্দরের পরিবহন কার্যক্রম স্বাভাবিক হিসাবে কাজ করছে। হামলার ফলে সৃষ্ট আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকোলা ওলেশচুক বন্দরে একটি বিশাল বিস্ফোরণ দেখানোর ফুটেজ শেয়ার করেছেন।

ছবিগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করা হয়নি। ২৪ ডিসেম্বরের স্যাটেলাইট ইমেজ ফিওডোসিয়া বন্দরে একটি জাহাজ দেখায় যেটি নোভোচেরকাস্কের সমান দৈর্ঘ্যের বলে মনে হচ্ছে – একটি অবতরণ জাহাজ যা সৈন্য, অস্ত্র এবং পণ্যসম্ভার উপকূলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

জাহাজের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি ইউক্রেনের জন্য সুসংবাদ হবে। এ সময়ে পশ্চিমা সমর্থন কমে যাওয়া এখন এর ফ্রন্ট-লাইন অপারেশনকে প্রভাবিত করবে। জাহাজটি খুব সম্ভবত সৈন্য, সরঞ্জাম বা উভয়ই লোড করা হয়েছিল।

প্যাট্রিক বুরি, একজন নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং প্রাক্তন ন্যাটো বিশ্লেষক, বিবিসি নিউজ চ্যানেলকে তিনি বলেন, জাহাজটি ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন বহন করছিল, যেটি রাশিয়া ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণে ব্যবহার করছে।

ইউক্রেনীয় টিভিতে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রেস সেন্টারের প্রধান নাটালিয়া হুমেনিউক বলেছেন, এত বড় বিস্ফোরণ শুধু জাহাজের জ্বালানি বা গোলাবারুদের কারণেই হয়েছিল এটা পরিষ্কার।

ক্রিমিয়ার ক্রেমলিন-সমর্থিত প্রধান সের্গেই আকসিওনভ বলেছেন, ‘ফিওডোসিয়া এলাকায় একটি হামলা চালানো হয়। বন্দর এলাকা ঘেরাও করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিস্ফোরণ বন্ধ হয়েছে এবং আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। ঘটনাস্থলে সব ধরণের প্রয়োজনীয় পরিষেবা রয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়ির বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।’

এদিকে পূর্ব ইউক্রেনের মূল শহর মারিঙ্কা দখল করার দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। তিনি বলেছেন, তার সৈন্যরা রাশিয়ার দখলে থাকা আঞ্চলিক রাজধানী ডোনেটস্কের ঠিক বাইরে “শক্তিশালীভাবে সুরক্ষিত” এলাকা দখল করেছে।

২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেন শহরটিকে প্রতিরক্ষামূলক বাধা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ২০২২ সালে যখন পূর্ণ মাত্রায় রাশিয়া আক্রমণ শুরু করে তখন মারিঙ্কা রাশিয়ান আক্রমণের অধীনে আসে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *