সারাদেশ

দারোয়ান দেয় গাড়ি পাহারা, চুরি করে চোরেরা

ডেস্ক রিপোর্ট: দারোয়ান দেয় গাড়ি পাহারা, চুরি করে চোরেরা

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিশ্বাস করে পয়ষট্টি বছরের এক বৃদ্ধকে নিজ গার্মেন্টসে দারোয়ানের চাকরি দেন মালিক। কিন্তু কারখানার দামি যন্ত্রপাতি দেখে লোভ সামলাতে পারেননি ওই দারোয়ান। মালিকের বিশ্বাসকে লাথি মেরে চোরচক্রের সাথে করেন কারখানার লাখ লাখ টাকা দামের এই যন্ত্রপাতি চুরির পরিকল্পনা।

গত ২১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায় অবস্থিত আটলান্টিক জিন্স লিমিটেডে এমনই এক চুরির ঘটনা ঘটেছে। যার মূল পরিকল্পনা করেন গার্মেন্টসের দারোয়ান মো. দুলাল মৃধা। যে কিনা চুরির সময় রাস্তার আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি পাহারার দায়িত্ব পালন করেন।

কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি। চুরির মাত্র পাঁচদিন পরই নয় সদস্যের ছয়জনকেই আটকা পড়তে হলো পুলিশের জালে।

আটককৃতরা হলেন—মো. স্বপন (৩৪), মো. দুলাল মৃধা (৬৫), মো. সিফাত হোসেন (২৭), মো. ফরহাদ হাসান (২৫), মো. শামসুদ্দিন (৩২) ও মো. মনির হোসেন (২৫)। তাছাড়া, পলাতক বাকি তিনজন হলেন— সেলিম (২৫), মনা (২৬) ও হানিফ (২৭)।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সনজয় কুমার সিনহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর ট্রাক নিয়ে বায়েজিদ থানাধীন আটলান্টিক জিন্স লিমিটেড ফ্যাক্টরির দক্ষিণ পাশের জানালার গ্রিল কেটে গার্মেন্টসের জ্যাক কোম্পানীর ৮টি পেটলক মেশিন চুরি করে নিয়ে যায়। যার সর্বমোট মূল্য আনুমানিক ১০ লাখ ৮ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর বাদী থানায় অভিযোগ করলে আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বায়েজিদ থানার শ্যামলছায়া আবাসিক এলাকা থেকে ঘটনায় সম্পৃক্ত মো. স্বপনকে আটক করি। তার তথ্যে অভিযান পরিচালনা করে বায়েজিদ থানাধীন টেক্সটাইল মোড় থেকে আটক করি ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী গার্মেন্টসের দারোয়ান মো. দুলাল। চুরি করার সময় সে ঘটনাস্থলের আশপাশে রাস্তায় দাঁড়ানো গাড়ি পাহারা দেয়। ঘটনায় জড়িত আরও চারজনকে পরে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে গার্মেন্টস থেকে চুরি হওয়া মেশিন গতকাল বিকাল সাড়ে চারটার দিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত তিনজন এখনো পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

ফেনীতে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে মা-বাবা ও শিশুসহ দগ্ধ ৩

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফেনীতে একটি বাসায় ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে মা-বাবা শিশুসহ একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন। আহতরা হলেন এরিস্ট্রো ফার্মা ফেনী ডিপোর সহকারী ইনচার্জ আশিষ (৪০), তার স্ত্রী টুম্পা রাণী (৩০) এবং তাদের ছেলে ঋক (৯)। আশিষ ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার নেপাল সরকারের ছেলে। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়কের স্টারলাইন কাউন্টার সংলগ্ন ইতালি ভবনের ৫ম তলায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এরিস্ট্রো ফার্মা ফেনী ডিপোর ইনচার্জ রহুল আমিন বলেন, রাত ৯ টার দিকে ডিপোর কাজ শেষ করে আশিষসহ একসাথে বাসায় ফিরেছি। আমার বাসার পাশেই তার বাসা। হঠাৎ ওই ভবন থেকে বিকট আওয়াজ শুনে বাসার বাইরে এসে দেখি তারা তিনজন দগ্ধ হয়ে নিচে নেমে এসেছে। তাৎক্ষণিক সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা.ফয়জুল কবির বলেন, বিস্ফোরণে পরিবারের তিনজনই অনেক বেশি দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে বাবা আশিষের শরীরের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ, মা টুম্পার ৪০ শতাংশ ও তাদের ছেলে ঋকের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তিনজনকেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

ফেনী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়েছি। ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। সেখান থেকে পরে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণ হয়েছে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

যাত্রীবাহী বাসের সাথে কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত ৬

ছবি: বার্তা২৪.কম

ময়মনসিংহের নান্দাইলে যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ওয়াহিদুজ্জামান (৩০) নামে এক কাভার্ডভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ সড়কের পালাহার আমলীতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত কাভার্ডভ্যান চালক ওয়াহিদুজ্জামান মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকার মৃত আফতাব হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কে পালাহার আমলীতলা এলাকায় যাত্রীবাহী সিলেটগামী শামীম এন্টারপ্রাইজের বাসের সাথে বিপরীত দিকে থেকে আসা ময়মনসিংহগামী কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে উল্টে যায় এবং কাভার্ডভ্যানের সামনের অংশও দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে কাভার্ডভ্যান চালকসহ ৭ জন বাসযাত্রী আহত হন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাভার্ডভ্যান চালককে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে কাভার্ডভ্যান চালক মারা যায়।

নান্দাইল হাইওয়ে থানার ওসি স্নেহাংশু বিকাশ সরকার বলেন, বাস কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছিল। ৬ জন স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক ও কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। কাভার্ডভ্যান চালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

;

প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম থাকায় ছাপাখানায় নেই ব্যস্ততা

ছবি: বার্তা২৪.কম

নির্বাচনকে ঘিরে কাগজের পোস্টার, লিফলেট ও ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুনের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এক সঙ্গে সব প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা শুরু হয় বলে চাহিদার চাপ সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয় ছাপাখানা ও আনুষঙ্গিক পণ্যের ব্যবসায়ীদের। কিন্তু এবার চট্টগ্রামের ছাপাখানাগুলোতে তেমন একটা ব্যস্ততা বাড়েনি। যার কারণে পূরণ হচ্ছে না ব্যবসায়ীদের কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় পোস্টার-লিফলেটের অর্ডার কমেছে। তাছাড়া, যারা নির্বাচন করছে তারাও আগের মতো পোস্টার-ব্যানার ও লিফলেটের অর্ডার করছে না। যার কারণে ছাপাখানাগুলোতে প্রত্যাশিত ব্যস্ততা নেই৷

চট্টগ্রাম প্রেস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মুফিজুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের ব্যবসা হয়নি। ১০০ শতাংশের মাত্র ৩৫ শতাংশ হয়েছে। আর বাকি ৬৫ শতাংশ ব্যবসা হয়নি। আমাদের কারোরই ব্যবসা হয়নি। যদি সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতো, তাহলে হয়তো ব্যবসাটা হতো।

চট্টগ্রাম প্রেস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হারুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কমে গেছে। যার কারণে ছাপাখানার কাজ কম।

শহরে টানানো হয়েছে নির্বাচনী পোস্টার চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ৬টি আসনই মহানগরে অবস্থিত। আর এই নগরের ছাপাখানার গুরুত্বপূর্ণ স্থান, আন্দরকিল্লা, সিরাজউদৌলাহ রোড, কদম মোবারক ও চকবাজার এলাকা।

যেখানে সব প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা একসঙ্গে শুরু হয় বলে চাপ সামলাতে হিমসিম খাওয়ার কথা, সেখানে ব্যবসায়ীদের মুখে নেই হাসি। বছরের অন্যান্য সময়ের মতো স্বাভাবিকভাবেই চলছে তাদের কার্যক্রম।

যারাও কাজ পেয়েছেন, কাগজ-কালিসহ ছাপার উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভ আগের তুলনায় কম হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম মহানগরের ৩২ নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ইসির আচরণবিধি মেনে আমরা যথেষ্ট ব্যানার-পোস্টার-লিফলেট-স্টিকার ছাপিয়েছি। আমাদের প্রচারণার কাজ পুরোদমে চলছে। যারা বলছে, কম ছাপানো হচ্ছে, তারা ভুল বলছে।

;

পুলিশ হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু: আসামির ৩ দিনের রিমান্ড

দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু: আসামির ৩ দিনের রিমান্ড

চট্টগ্রামের নগরীর চান্দগাঁও থানায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপ-পরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার মো. জসীম উদ্দীনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, সোমবার রাতে নগরের বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মেট্রো ইউনিট জসিমকে (৩৭) গ্রেফতার করে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিতি করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খাঁন। তিনি বলেন, ‘দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লার মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের মামলার আসামি মো. জসীম উদ্দীনকে সোমবার রাতে নগরীর বাকলিয়ার রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর আজ (মঙ্গলবার) তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহর স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার। মামলাটি আমলে নিয়ে চান্দগাঁও থানায় রেকর্ড করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। মামলায় আসামি করা হয়েছিল চান্দগাঁও থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ, এএসআই সোহেল রানা, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা এসএম আসাদুজ্জামান (৫২), মো. জসীম উদ্দীন (৩৭), মো. লিটন (৪৮), রনি আক্তার তানিয়া (২৬) ও কলি আক্তারসহ (১৯) মোট নয়জনকে।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক (ডিডি) ছিলেন। ২০১৮ সালে অবসর নেন তিনি। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় থাকতেন। সেখানে জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত গত ২৯ আগস্ট দুদকের সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও তার শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন রনি আক্তার তানিয়া নামে এক নারী। মামলার অভিযোগ শুনে বিচারক ওইদিনই অপরাধ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

ওই সমন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ গায়েব করে ফেলেন। ফলে আসামিরা আদালতে হাজির হওয়ার কোনো সমন পাননি। এরপর মামলার পরবর্তী তারিখ দেন আদালত। ওই তারিখে মামলার বাদী হাজির না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু ওইদিনই আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। এরপর গত ৩ অক্টোবর রাতে শহীদুল্লাহকে বাসা থেকে আদালতের ওয়ারেন্ট দেখিয়ে গ্রেফতার করে নগরের চান্দগাঁও থানা পুলিশ। থানায় নেওয়ার পর যোগসাজশে ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহকে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে কয়েকঘণ্টার মধ্যে ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ মারা যান।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *