অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে পুলিশ ধন্য: আইজিপি
ডেস্ক রিপোর্ট: অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে পুলিশ ধন্য: আইজিপি
ছবি: সংগৃহীত
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে পুলিশ ধন্য। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায় ।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল মাঠ এবং হাইকোর্ট মাজার প্রাঙ্গণে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণকালে এ কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, অসহায় মানুষের শীতের কষ্ট লাঘবের জন্য আমরা ঢাকায় কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায়ও পুলিশ শীতবস্ত্র বিতরণ করছে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে পুলিশ ধন্য। দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ সবসময় পুলিশকে সহযোগিতা ও সমর্থন জুগিয়েছেন।
তিনি বলেন, করোনাকালে যখন মানবিকতার চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল তখন পুলিশ নিজের জীবন বিপন্ন করে সাধারণ জনগণের পাশে থাকতেও কুণ্ঠাবোধ করেনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
জানুয়ারিতে বাড়তে পারে শীত
ফাইল ছবি
সারা দেশে তীব্র শীতের আমেজ নামে ডিসেম্বরেই। তবে এবার আবহাওয়ার ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। এই সময়ে তাপমাত্রা সাধারণত নিম্নমুখী থাকে। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। তবে জানুয়ারি মাসের শুরুতে বাড়তে পারে শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অবশ্য বলছে, চলতি মাসের বাকি সময়জুড়ে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপমাত্রা খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই। কোথাও শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাসও নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ বলেন, এখনো ডিসেম্বরের স্বাভাবিক শীত নামেনি। মাসের বাকি কয়েক দিনও স্বাভাবিকের চেয়ে কম শীত থাকার সম্ভাবনা আছে। তবে জানুয়ারি মাসের শুরুতে শীত বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
;
ফেনীতে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে মা-বাবা ও শিশুসহ দগ্ধ ৩
ছবি: বার্তা২৪.কম
ফেনীতে একটি বাসায় ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে মা-বাবা শিশুসহ একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন। আহতরা হলেন এরিস্ট্রো ফার্মা ফেনী ডিপোর সহকারী ইনচার্জ আশিষ (৪০), তার স্ত্রী টুম্পা রাণী (৩০) এবং তাদের ছেলে ঋক (৯)। আশিষ ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার নেপাল সরকারের ছেলে। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়কের স্টারলাইন কাউন্টার সংলগ্ন ইতালি ভবনের ৫ম তলায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এরিস্ট্রো ফার্মা ফেনী ডিপোর ইনচার্জ রহুল আমিন বলেন, রাত ৯ টার দিকে ডিপোর কাজ শেষ করে আশিষসহ একসাথে বাসায় ফিরেছি। আমার বাসার পাশেই তার বাসা। হঠাৎ ওই ভবন থেকে বিকট আওয়াজ শুনে বাসার বাইরে এসে দেখি তারা তিনজন দগ্ধ হয়ে নিচে নেমে এসেছে। তাৎক্ষণিক সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা.ফয়জুল কবির বলেন, বিস্ফোরণে পরিবারের তিনজনই অনেক বেশি দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে বাবা আশিষের শরীরের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ, মা টুম্পার ৪০ শতাংশ ও তাদের ছেলে ঋকের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তিনজনকেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
ফেনী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়েছি। ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। সেখান থেকে পরে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণ হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
;
দারোয়ান দেয় গাড়ি পাহারা, চুরি করে চোরেরা
ছবি: বার্তা২৪.কম
বিশ্বাস করে পয়ষট্টি বছরের এক বৃদ্ধকে নিজ গার্মেন্টসে দারোয়ানের চাকরি দেন মালিক। কিন্তু কারখানার দামি যন্ত্রপাতি দেখে লোভ সামলাতে পারেননি ওই দারোয়ান। মালিকের বিশ্বাসকে লাথি মেরে চোরচক্রের সাথে করেন কারখানার লাখ লাখ টাকা দামের এই যন্ত্রপাতি চুরির পরিকল্পনা।
গত ২১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায় অবস্থিত আটলান্টিক জিন্স লিমিটেডে এমনই এক চুরির ঘটনা ঘটেছে। যার মূল পরিকল্পনা করেন গার্মেন্টসের দারোয়ান মো. দুলাল মৃধা। যে কিনা চুরির সময় রাস্তার আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি পাহারার দায়িত্ব পালন করেন।
কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি। চুরির মাত্র পাঁচদিন পরই নয় সদস্যের ছয়জনকেই আটকা পড়তে হলো পুলিশের জালে।
আটককৃতরা হলেন—মো. স্বপন (৩৪), মো. দুলাল মৃধা (৬৫), মো. সিফাত হোসেন (২৭), মো. ফরহাদ হাসান (২৫), মো. শামসুদ্দিন (৩২) ও মো. মনির হোসেন (২৫)। তাছাড়া, পলাতক বাকি তিনজন হলেন— সেলিম (২৫), মনা (২৬) ও হানিফ (২৭)।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সনজয় কুমার সিনহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর ট্রাক নিয়ে বায়েজিদ থানাধীন আটলান্টিক জিন্স লিমিটেড ফ্যাক্টরির দক্ষিণ পাশের জানালার গ্রিল কেটে গার্মেন্টসের জ্যাক কোম্পানীর ৮টি পেটলক মেশিন চুরি করে নিয়ে যায়। যার সর্বমোট মূল্য আনুমানিক ১০ লাখ ৮ হাজার টাকা।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর বাদী থানায় অভিযোগ করলে আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বায়েজিদ থানার শ্যামলছায়া আবাসিক এলাকা থেকে ঘটনায় সম্পৃক্ত মো. স্বপনকে আটক করি। তার তথ্যে অভিযান পরিচালনা করে বায়েজিদ থানাধীন টেক্সটাইল মোড় থেকে আটক করি ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী গার্মেন্টসের দারোয়ান মো. দুলাল। চুরি করার সময় সে ঘটনাস্থলের আশপাশে রাস্তায় দাঁড়ানো গাড়ি পাহারা দেয়। ঘটনায় জড়িত আরও চারজনকে পরে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে গার্মেন্টস থেকে চুরি হওয়া মেশিন গতকাল বিকাল সাড়ে চারটার দিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত তিনজন এখনো পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
;
যাত্রীবাহী বাসের সাথে কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত ৬
ছবি: বার্তা২৪.কম
ময়মনসিংহের নান্দাইলে যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ওয়াহিদুজ্জামান (৩০) নামে এক কাভার্ডভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ সড়কের পালাহার আমলীতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কাভার্ডভ্যান চালক ওয়াহিদুজ্জামান মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকার মৃত আফতাব হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কে পালাহার আমলীতলা এলাকায় যাত্রীবাহী সিলেটগামী শামীম এন্টারপ্রাইজের বাসের সাথে বিপরীত দিকে থেকে আসা ময়মনসিংহগামী কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে উল্টে যায় এবং কাভার্ডভ্যানের সামনের অংশও দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে কাভার্ডভ্যান চালকসহ ৭ জন বাসযাত্রী আহত হন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাভার্ডভ্যান চালককে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে কাভার্ডভ্যান চালক মারা যায়।
নান্দাইল হাইওয়ে থানার ওসি স্নেহাংশু বিকাশ সরকার বলেন, বাস কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছিল। ৬ জন স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক ও কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। কাভার্ডভ্যান চালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।