সারাদেশ

সরকার এখন সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না: সাকি

ডেস্ক রিপোর্ট: সরকার এখন সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না: সাকি

ছবি: বার্তা ২৪.কম

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশে সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। সরকার এখন সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সরকারকে যখন বলা হয়, আপনারা কেন এদের নিয়ন্ত্রণ করেন না? তখন সরকার বলে, তাদের নাকি ধরা যাবে না। সিন্ডিকেটকে ধরলে নাকি আরও দাম বেড়ে যাবে।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

সমাবেশে শ্রমিকদের ২৫ হাজার টাকার মজুরির আন্দোলন আর ভোটাধিকারের আন্দোলনকে এক সুতোয় গেঁথে ফেলার আহ্বান জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, আগামী দিনে ভোট আদায় হলে আপনাদের (শ্রমিক) যথাযথ মজুরি আদায় হবে, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার হবে।

তিনি বলেন, কেবল পাঁচ বছর পর নয়, প্রতিবছর এমন ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে, যেনো বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় থাকে। বিশেষ পরিস্থিতিতে তিন বছরের মাথায় মজুরি সমন্বয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয় ও শ্রম আইন বদলাতে হবে।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, আপনারা দেখেছেন, গত ২২ তারিখে শ্রমিকদের সব আশা-প্রত্যাশাকে ভুলন্ঠিত করে কীভাবে মালিকপক্ষ মাত্র ১০ হাজার ৪০০ টাকা মজুরি প্রস্তাব করেছে। আপনারা সবাই জানেন আজকে বাজারে কি অবস্থা। শ্রমিকরা যখন কারখানা থেকে বাসায় ফেরে তাদের পক্ষে ডিম, মাছ, মাংস কেনা সম্ভব হয় না। শ্রমিকদের কোনো পুষ্টিকর খাবার কেনার সামর্থ্য নেই। যখন শ্রমিকরা বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হিমশিম খাচ্ছে, তখন ১০ হাজার ৪০০ টাকার প্রস্তাব শ্রমিকদের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। আমরা এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করছি।

সমাবেশে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিফ দেওয়ানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকা যাওয়ার পথে ফেনীর ৪ যুবদল নেতা আটক

ছবি: সংগৃহীত

একদফা দাবি আদায়ে শনিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যাওয়ার পথে ফেনী জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশের বিসিক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন, ফেনী সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক আতিকুর রহমান মামুন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রাসেল পাটোয়ারী, জেলা যুবদলের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মুন্সী এনামুল হক কামরুল এবং সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ ইস্রাফিল।

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে যোগ দিতে নেতাকর্মীরা উদগ্রীব হয়ে আছেন। কিন্তু এভাবে যাত্রাপথে নেতাকর্মীদের আটক করা ভালো কিছুর লক্ষণ না। এগুলোর নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। নিরপরাধ এসব নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। 

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন,যুবদলের এই নেতাকর্মীদের ঢাকা যাওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এসব হামলা-মামলা, গ্রেফতার বা হয়রানি করে সরকার নিজের পতন ঠেকাতে পারবে না। সারাদেশের জনগণ এখন এই সরকারের পতনের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সন্দেহভাজন ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তারা কোনো রাজনৈতিক দলের কিনা এখনো অবগত না। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষেই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

;

দেশবাসীকে মহাসমাবেশে যোগদানের আহ্ববান ফখরুলের

ছবি: বার্তা ২৪.কম

আগামী ২৮ অক্টোবরে বিএনপির মহাসমাবেশে দেশবাসীকে নিজেদের অধিকার প্রয়োগের জন্য যোগ দেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, মহাসমাবেশ ঠেকাতে অসংখ্য নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নতুন করে চারশ’র অধিক মামলা দেওয়া হয়েছে। রাতে আদালত চালিয়ে দণ্ডাদেশ দেওয়া হচ্ছে। নেতা কর্মীদের সাধারণ মানুষদের সমাবেশে আসতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের এখন কোন অধিকার নেই। বাজারের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এই দুর্ভোগ থেকে মানুষ বাঁচতে চায়। আমরা বার বার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি একদফা দাবি মেনে নিয়ে আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় ঘটিয়ে পদত্যাগ করুন। কিন্তু তারা পুরনো ভাবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত সাজানো নির্বাচন দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়।

এ সময় মির্জা ফখরুল দেশের মানুষকে মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের অধিকার ফিরে পেতে, স্বাধীন ভাবে কথা বলতে, দেশের অনিয়ম দুর্নীতি ঠেকাতে, সুন্দর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়তে বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মঈন খানসহ কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সাভারে বিএনপির ৭ নেতা-কর্মী গ্রেফতার

প্রতীকী ছবি

ঢাকার সাভারে বিএনপির ৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে পূর্বের বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়ছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহ ও আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে সাভার ও আশুলিয়া থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহ বলেন, পূর্বের বিভিন্ন মামলায় বিএনপির ৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সকলেই বিভিন্ন মামলার আসামি, এটি আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, থানায় দুইজন বিএনপি নেতাকর্মী আটক রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে।

;

সকালে বিএনপির জরুরি সংবাদ সম্মেলন

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপি আজ শুক্রবার সকালে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। বেলা ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির জানান, শুক্রবার বেলা ১১টায় নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জানাগেছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে ছাড়াও সমাবেশের জন্য দুইটি ভেন্যুর প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছিল দলটিকে। কিন্তু নয়াপল্টনে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত অনড় বিএনপি। এই অবস্থায় ঢাকায় ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের এখনো অনুমতি পায়নি বিএনপি। এর ফলে সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে দলীয় অবস্থান তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন।

বিএনপি সূত্র বলছে, সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে উপযুক্ত প্রস্তাব এলে তা গ্রহণ করবে বিএনপি। কারণ কোনো ধরনের সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি হোক তা চান না দলের শীর্ষ নেতারা। বৃহস্পতিবার রাতে গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক করেন দলটির মহাসচিবসহ কয়েকজন স্থায়ী কমিটির সদস্য। বৈঠকের বিষয়বস্তু ছিল- প্রশাসনের পক্ষে থেকে সমাবেশের ভেন্যু পরিবর্তন করে অন্য কোনো জায়গায় করতে প্রস্তাব দেওয়া হলে করণীয় কী হবে এবং যদি অনুমতি না দেওয়া হয় তাহলে দলের পরবর্তী করণীয় কী হবে। এ বৈঠকে বিভিন্ন মতামত উঠে আসে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *