সারাদেশ

মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে ইসির বৈঠক শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট: মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে ইসির বৈঠক শুরু

ছবি: বার্তা ২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বৈঠক শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় নির্বাচন ভবনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাকক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়।

ইসি জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করবেন নির্বাচন কমিশন।

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ২৭টি দল স্বতন্ত্র মিলে এক হাজার ৮৯৫ জনের মতো প্রার্থী প্রচারণা  চালাচ্ছেন। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন অনেকে।

ঢাবির ছাত্রদল সভাপতিসহ গ্রেফতার ১১

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল এবং কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, নির্বাচন বানচালের চেষ্টার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

খোরশেদ আলম সোহেল এবং মেহেদি হাসান পলাশকে গ্রেফতারের পর তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী  রাজধানীর কাটাবনে প্রাইম প্রিন্টারস অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজারের বেশি লিফলেট উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার রাতে সেখান থেকে আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে নাশতার উদ্দেশ্য এসব লিফলেট এবং গান পাউডার মজুদ করেছিলো।

তিনি আরও বলেন, এসব গান পাউডার দিয়ে ২শ টির বেশি ককটেল বানানো যেতো। এছাড়া ২০টি ককটেল ও পেট্রোল পাওয়া যায়।

৭ জানুয়ারি কেউ যেনো ভোট দিতে না যায়, সেসব তথ্য প্রচার করা হচ্ছিলো লিফলেটে। তারা রাষ্ট্রবিরোধী, সংবিধান, দেশ বিরোধী কাজ করছে। নাশতার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় নয় বলেও জানান, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

;

নির্বাচন নিয়ে ইইউ’র নিজস্ব কোনো মন্তব্য ছিল না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ভোট এলো, এলো ভোট

ছবি: বার্তা২৪.কম

সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‌‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পর্যবেক্ষক দলের নিজস্ব কোনো মন্তব্য ছিল না। তারা শুধু শুনেছেন। আমি বলেছি মিডিয়ার সাথে কথা বলেন। তারা কোনো ধরনের মিডিয়া ফেইস করবে না বলে জানিয়েছে।’

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীর পাড়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ বাসভবন হাফিজ কমপ্লেক্সে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি এই শহরটাতে আমাদের খুব ভালো একটা সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আছে। আমাদের বিপক্ষ দল বিএনপি তাদের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া ঝাটি নাই, মারামারি নেই। কিছুদিন আগে এখানকার মেয়র ছিলেন বিএনপির। তার সাথে আমরা কখনো কোনো বাজে ব্যবহার করিনি। আমার সরকার শেখ হাসিনার সরকার। সব সময় সাহায্য করেছে। কারণ দেশের যদি উন্নয়ন হয়, কে কোন দল করল সেটি কোনো বিষয় নয়। শেখ হাসিনা চান এদেশের মঙ্গল। সুতরাং বিএনপি নেতা করলো না কি আওয়ামী লীগ করলো সেটা ভ্রূক্ষেপ করেন না। এটাই শেখ হাসিনা।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈঠকে আগামী দিনে আমাদের কি পরিকল্পনা, আওয়ামী লীগের আজকের নির্বাচনী ইশতেহারে কি কি আছে, সেই সব বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। সেগুলো তাদের কাছে তুলে ধরেছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলে ধরতে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন চাই।

বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো দলীয় নেতাকর্মীদের অ্যারেস্ট করিনি, যারা সন্ত্রাসের সাথে যুক্ত, যাদের চেহারা সিসিটিভির ফুটেজে উঠেছে তাদেরকে অ্যারেস্ট করেছি। যারা ক্রিমিনাল তাদের অ্যারেস্ট করেছি। রাজনৈতিক কারণে কেউ অ্যারেস্ট হয়নি।’

মন্ত্রী বলেন বলেন, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা দরকার তা করছি। আগে বিএনপির সময় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশনে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার ছিল। এখন আমরা তা বায়োমেট্রিক করেছি। এবারের কোনো ভুয়া ভোট হবে না। এ বছর আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বক্স করেছি। সবাই দেখবে কত ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় আমরা একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। যারা নির্বাচনের সময় সব দায়িত্ব পালন করবেন।

;

ফেরদৌস বহিরাগত, আমি এলাকার বাসিন্দা: জাপার প্রার্থী শাহজাহান   ভোট এলো, এলো ভোট

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফেরদৌস নায়ক, সে অভিনয় ভালো বোঝে, কিন্তু সাধারণ জনগণের দুঃখ-দুর্দশা কি করে বুঝবে। সে রাজনীতিতে জিরো বলে মন্তব্য করেছেন- ঢাকা ১০ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাজী মো: শাহজাহান।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ১০ আসনে ফেরদৌসের নৌকার বিপক্ষে লড়ছেন হাজী মো. শাহজাহান। নির্বাচনী প্রচারণায় ফেরদৌসকে সরব দেখা গেলেও জাপা’র এ প্রার্থীর প্রচারণা চলছে অনেকটা নীরবে।

ঢাকা ১০ আসনের প্রতিটি রাস্তায় অলিতে গলিতে চোখে পড়ছে ফেরদৌসের নৌকার সাদা-কালো ফেস্টুন, ব্যানার আর পোস্টার। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহজাহানের প্রচারণার পোস্টার দেখতে হলে কোথায় লাগানো আছে তা রীতিমতো খুঁজে বের করতে হবে। ফেরদৌসের বিপরীতে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী প্রচারণা কেমন চলছে তা জানতে হাজী মো: শাহজাহানের সাথে কথা হয় বার্তা২৪ এর।

জাপা’র এ প্রার্থী জানান, প্রচারণায় নিজের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার কম থাকলেও নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো অংশেই কম হচ্ছে না। একদিন করে গ্যাপ দিয়ে নিজ আসনের বিভিন্ন এলাকায় করছেন জনসংযোগ।

জনসংযোগে ভোটারদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন এবং নির্বাচনে নিজের জয় নিয়ে কতখানি আশাবাদী -এমন প্রশ্নের উত্তরে শাহজাহান বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বসবাস করছি। দীর্ঘ ৯ বছর শিক্ষকতা করেছি। এই এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে, আমার প্রতি তাদের বিশ্বাস আছে। সরকার প্রধান এবং নির্বাচন কমিশনের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে জনগণ লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকেই জয়যুক্ত করবে।’

নির্বাচনে জয়ী হলে প্রথমেই ঢাকা ১০ এর রাস্তাঘাট নির্মাণ, যানজট নিরসন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মাদক মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ প্রার্থী আরও বলেন, ফেরদৌস একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি অভিনয় ভালো বোঝে, সাধারণ জনগণের দুঃখ দুর্দশা তিনি কি করে বুঝবেন। আওয়ামী লীগ এর আগেও এমন এক ব্যক্তিকে ঢাকা ১০ আসনের দায়িত্ব দিয়েছেন, যিনি কিনা এই এলাকায় বাসিন্দাই না। যে কারণে ঢাকা ১০ এর কোনো উন্নয়নই হয়নি।

তিনি বলেন, অন্যান্য এলাকায় মেট্রোরেল হয়েছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে, ফ্লাইওভার হয়েছে কিন্তু ধানমন্ডি এলাকায় তার কিছুই হয়নি। হবে কীভাবে, একজন বহিরাগত তো জানেই না এই এলাকার কি কি উন্নয়ন দরকার। এবারও আওয়ামী লীগ সেইম কাজটাই করেছেন। একজন চিত্রনায়ককে এই এলাকায় মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনিও এই এলাকার বাসিন্দা না। যে কারণে তিনিও বুঝবেন না এই এলাকায় কি কি উন্নয়ন দরকার এবং বুঝবেন না সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা। আমি এলাকার বাসিন্দা। আমি জানি এই এলাকায় কি কি উন্নয়ন দরকার এবং এলাকার মানুষের কার কি সমস্যা। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সাধারণ জনগণ লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকেই জয় যুক্ত করবে।’

;

রাজপথে আন্দোলনে সরকার পতন সম্ভব নয়: মোকাব্বির খান

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনের গণফোরাম মনোনীত প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেছেন, ‘রাজপথে আন্দোলন করে সরকার পতন সম্ভব নয়। তাই আমি জনগণের মৌলিক কথাগুলো সংসদে কথা বলার মাধ্যমে জনসম্মুখে তুলে ধরতে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। পুরো প্রশাসন দলীয় করণের মাধ্যমে সাজানোর পরও আমি নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।’

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সিলেটের বিশ্বনাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে পৌর শহরের পুরাণ বাজারস্থ নিজের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় আমার নির্বাচনী এলাকায় অনেক প্রকল্প পাস হয়, কিন্তু কিছু স্বার্থ ভোগীর কারণে সেগুলো আলোর মুখ দেখছে না। এতে আমাকে জনগণের ভালবাসা থেকে বঞ্চিত করার চেয়ে জনগণকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। যেমনি করে মেগা প্রকল্পগুলো থেকে মেগা দুর্নীতি হয়েছে, লুটপাট করা হয়েছে সরকারি অর্থ।

এমপি মোকাব্বির খান আরও বলেন, একজন সেবক হিসেবে জনগণ তথা রাষ্ট্রের মালিকদের জন্যে আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি, ইতিহাসে নাম লিখাতে বা আবার নির্বাচিত হতে নয়। কাজ করে যাচ্ছি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে। আমি সব সময় মহান জাতীয় সংসদে দুর্নীতিবাজ, সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। আমি সংসদেও বক্তব্য দিয়ে দুর্নীতিবাজদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি। তাদেরকে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতির সাক্ষী হতে চাই না, অংশও হতে চাই না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে বাঁচতে চাই। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন কোন কাজের বিনিময়ে কারো কাছ থেকে একটি টাকাও নিয়েছি, তাহলে সাথে সাথেই রিজাইন (পদত্যাগ) করব। মতবিনিময় সভা শেষে তিনি পৌর শহরের পুরাণ বাজার এলাকায় নিজের নির্বাচনী প্রতীক ‘উদীয়মান সূর্যের লিফলেট বিতরণ করে গণসংযোগ করেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- উদীয়মান সূর্য প্রতীকের প্রধান সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিন, ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূর উদ্দিন আহমদ নুনু, সংগঠক মোজাহিদ হোসেন’সহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *