সারাদেশ

বিএনপির দেশ অচল করার হুমকি আমলে নিচ্ছি না: ডিবি প্রধান

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির দেশ অচল করার হুমকি আমলে নিচ্ছি না: ডিবি প্রধান

ছবি: বার্তা২৪.কম

১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে দেশ অচল করা বিএনপি’র কর্মসূচির ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, আমরা অতীতেও আমলে নিইনি, ভবিষ্যতেও এ ধরণের ঘোষণা আমলে নিবো না। কারণ অনেক ঘোষণাই আমরা অতীতে শুনেছি। যেসব ঘোষণা দেশবিরোধী, জনবিরোধী, সংবিধান বিরোধী তা জনগণ পছন্দ করে না। আর আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজই হচ্ছে যারা সংবিধান মানে না, নির্বাচন কমিশনের দিক-নির্দেশনা মানে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। ঢাকার চতুর্দিকে আমাদের নজরদারি আছে। যারাই নাশকতা, দুর্বৃত্তায়ন চালানোর চেষ্টা করছে তাদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

সরকার বিরোধী বর্তমান আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে রেলে নাশকতা হয়েছে। বাস পোড়ানো হচ্ছে। রেল ও মেট্রোরেলে নিরাপত্তার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক সক্রিয়। সামনের দিনগুলোতে আরও বড় আন্দোলনের হুমকি আসছে। এসব ঘিরে বড় ধরণের নাশকতার আশঙ্কা করছেন কি-না? জানতে চাইলে ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এক সময় বাসে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও পুলিশের উপর হামলা করেছে। আমরা সব সময় মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সব কিছু করে থাকি। হামলাকারীদের অনেককেই আমরা গ্রেফতার করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের ডিবি ও থানা পুলিশ ঢাকার সরকারি, বেসরকারি ও কেপিআইভুক্ত রেল ও মেট্রোরেলসহ সব স্থাপনায় নিরাপত্তা দিচ্ছে, খেয়াল রাখছে। যাতে করে দুর্বৃত্তরা দুর্বৃত্তায়ন, নাশকতাকারীরা যাতে নাশকতা চালাতে না পারে। নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে সেটা যাতে না হয় সেজন্য আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমাদের সকল পুলিশ সদস্য যার যা দায়িত্ব তা পালন করে যাচ্ছি। আশঙ্কা নেই, কিন্তু আশঙ্কা ঘিরেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে করে কিছু না ঘটে।

এতো নিরাপত্তার মাঝেও তেজগাঁওয়ে যারা আগুন দিলো তাদের চিহ্নিত করে কেন গ্রেফতার করা যাচ্ছে না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অধিকাংশ ঘটনায় আপ্রাণ চেষ্টা করি সনাক্ত করার জন্য। আমরা বেশিরভাগ ঘটনায় সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। কিছু কিছু ঘটনায় আমরা নাম নাম্বার জেনেছি। দেড় মাস আগে ঘটনা জেনেছি। গতরাতে আমরা পিচ্চি মনিরকে গ্রেফতার করেছি। তার মানে হচ্ছে আমরা লেগে আছি বলেই গ্রেফতার করতে পেরেছি।

ডিবি প্রধান বলেন, আমাদের ডিবিরি টিম তো কাজ করছে। আমাদের হাতে তো আলাদিনের চেরাগ নাই যে কালকেই ধরে ফেলবো। আমাদের টিম কাজ করছে। যেকোনো সময় গ্রেফতার করা হবে।

মাদক সেবনে বাধা দেওয়াই কাল হলো কৃষক হাশিমের

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ঢাকার কেরানীগঞ্জে উপজেলার নবাবগঞ্জের মাতাবপুর এলাকায় মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে মো. হাশিম (৬৫) নামে এক কৃষকে গলা গেটে হত্যা করে তারই এলাকার কয়েকজন যুবক। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে হত্যায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলা।

হত্যায় জড়িতরা হলেন- মো.কামাল (৩৬), মেছের আলী (৪২), মো.জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), মো.নাছির উদ্দিন ওরফে নসু (৪৬), মো.পিন্টু চৌধুরী (৩০) ও মোজলেম (৫৫)।

গ্রেফতারকৃত ৬ আসামি। রাজধানী ঢাকা ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। হত্যায় জড়িত আরও এক আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পিবিআই।

গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে মো.পিন্টু চৌধুরী, মোজলেম, মেছের আলী ও মো.কামাল আদালতে স্বেচ্ছায় নিজেদের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

বৃহসপতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (ইউনিট ইনচার্জ) মো. কুদরত-ই-খুদা।

এসপি কুদরত-ই-খুদা বলেন, নবাবগঞ্জের মাতাবপুর এলাকার বাসিন্দা হাশিম। পেশায় কৃষক হাশিমের বাড়ির পাশের একটি জমিতে ঘাস ও সবজি চাষ করতেন। গত ১৬ এপ্রিল রাতে তিনি বাড়ি থেকে জমিতে ঘাস ও সবজি পাহাড়া দিতে যান। জমিতে পাহাড়া দিতে গিয়ে তিনি আর বাড়ি ফেরননি। পরের দিন সকালে হাশিমের গলাকাটা ও রক্তাক্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আরিফ বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা হলেও এই হত্যাকণ্ডের রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় গত ১৫ জুন মামলাটিত তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের সনাক্তে তদন্তে নামে পিবিআই ঢাকা জেলার কর্মকর্তারা। তদন্তে নেমে জানতে পারে ঘটনার দিন গত ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে জমি পাহাড়া দিচ্ছিলেন হাশিম। ঐ রাতে আসামি কামাল, মেছের আলী, জাহাঙ্গীর আলম, নাছির উদ্দিন ওরফে নসু, পিন্টু চৌধুরী, মোজলেম, সোহেলরা এক সঙ্গে বসে হাশিমের সবজি ক্ষেতের পাশের একটি স্কুল ভবনে বসে গাঁজা সেবন ও জুয়া খেলতেছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, হাশিম হত্যায় জড়িত আসামিরা স্কুলের ভবনে নিয়মিত মাদক সেবন, মাদক বিক্রি, অপহরণ করে মুক্তিপন আদায়, চাঁদা আদায়, বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির পরিকল্পনা, নদীতে চলা ট্রলার ও কার্গো থেকে চাঁদা আদায় সহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত।

পুলিশ সুপার কুদরত আরও বলেন, ঘটনার দিনে আসামিরা স্কুল মাঠে জুয়া খেলা, মাদক সেবন ও মাদক কেনা বেচা করছিলো। কিন্তু হাশিম জমি পাহাড়া দেওয়ায় আসামিদের এসব কাজ করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছিলো। তখন তারা হাশিমকে জমি থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলে। কিন্তু তাদের কথা মতো চলে না যাওয়ায় আসামিদের সঙ্গে হাশিমের তর্কাতর্কি হয়। তর্কের পর্যায়ে আসামি নসু ও জাহাঙ্গীরসহ অন্যরা মিলে ঘাস কাটার কাচি দিয়ে হাশিমকে গলা কেটে হত্যা করে। হাশিমকে হত্যার পর আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হত্যায় জড়িত গ্রেফতার আসামিদের সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতের হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

;

সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা পার পাবে না: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা পার পাবে না। ইতিহাসে অসংখ্য আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। সেসব আন্দোলনে অনেক কিছু ঘটেছে। কিন্তু এভাবে সাংবাদিকদের একসঙ্গে পেটানোর ঘটনা দেখা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে গণভবনে বিএনপির সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রশ্ন করে বলেন, যারা সাংবাদিকদের পেটাবে, পুলিশ মেরে ফেলবে তাদের আমরা কি গলার মালা দিয়ে বাহবা দেবো? এদের শাস্তি অবধারিত। ইতিমধ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।

মানুষ হত্যা করে তারা কী রাজনীতি করতে চায়? এমন প্রশ্নও করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি জানে, নির্বাচনে এলে তারা পরাজিত হবে। তাই নির্বাচন বানচালে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে দলটি।

;

আসামিকে মারধর, ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

ছবি: বার্তা ২৪.কম

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আটকের পর আবদুর রহিম রনি নামে এক আসামিকে মারধরের অভিযোগে ৭ পুলিশের নামে দায়েরকৃত মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদেশ প্রাপ্তির ৩ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারকে (এসপি) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী অঞ্চল রায়পুর আদালতের বিচারক মো. বেলায়েত হোসেন এ আদেশ দেন।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে আদালতের পেশকার নুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রিনা আক্তার নামে এক নারী তার স্বামীকে মারধরের ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন বিচারক। শিগগিরই আদেশ কপি পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হবে।

অভিযুক্তরা হলেন রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হানিফ, নুরুল ইসলাম, মো. আবু হানিফ, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সফিক মিয়া, সাখাওয়াত হোসেন, কনস্টেবল আতিক উল্যা ও ইউসুফ ঢালি।

মামলার বাদী রিনা রায়পুর উপজেলার পূর্ব চরপাতা গ্রামের আব্দুর রহিম রনির স্ত্রী। পুলিশের দায়েরকৃত তিনটি মামলায় তার স্বামী রনি জেলা কারাগারে রয়েছেন। রনি পূর্ব চরপাতা গ্রামের মো. শহীদুল্লাহর ছেলে।

বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল পাটওয়ারী বলেন, রনিকে আটকের সময় তার কাছে কোন ধরণের অস্ত্র ও মাদক পাওয়া যায়নি। তাকে থানা হাজতেও রাখেনি অভিযুক্তরা। কোন একটি গোপন কক্ষে রেখে তাকে মারধর করে। পরে একইদিন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়েছে। এ ঘটনায় রনির স্ত্রী রিনা মামলা আদালত আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) আদালতের আদেশ কপি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানোর কথা রয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৭ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের বর্ডার বাজার রায়পুর-চাঁদপুর সড়ক থেকে অভিযুক্তরা রনিকে আটক করে। তখন তার সঙ্গে গরু বিক্রির ৯০ হাজার টাকা ছিল। ওই টাকা অভিযুক্তরা নিয়ে গেছে। পরে তাকে নিয়ে এসে মারধর করে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা (রেজিষ্ট্রেশন নং-১৮০৯/৩৮৭, তাং ১৭/১২/২০২৩) দিয়েছে। পরে সেখানে পানি খেতে চাইলে টিউবওয়েলের সঙ্গে তার মাথায় আঘাত করে। আটকের খবর পেয়ে রনির স্ত্রী রায়পুর থানায় বারবার গেলেও স্বামীর সন্ধান পাননি। পরে তিনি সদর থানা, গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় ও জেলা কারাগারেও খোঁজ নিয়ে স্বামীর সন্ধান পাননি। ফের রায়পুর থানায় গেলে সেখানে রনির মোটরসাইকেল দেখতে পান তিনি। এতে স্বামীর সন্ধান চাইলে বিভিন্ন কথা শুনতে হয় তাকে। পরে তিনি এসআই হানিফকে কল দিয়ে স্বামীর সন্ধান চান। হানিফ তার স্বামীকে ছাড়তে ২ লাখ টাকা দাবি করেছেন। এতো টাকা নেই বললে জানালে রনিকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে বলে জানায় পুলিশ কর্মকর্তা।

থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ১৮ ডিসেম্বর ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রনিসহ দুইজনকে একনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ, দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র, ১৮০ পিস ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরকে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

বাদী রিনা আক্তার বলেন, একদিন আগে আটক করে অভিযুক্তরা আমার স্বামীকে মারধর করে। আমি বার বার থানায় গেলেও তারা আমার স্বামীকে দেখায়নি। পরদিন রাতে তারা আমার স্বামীকে ৩ টি মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে।

মামলায় প্রধান অভিযুক্ত রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ বলেন, মামলার বিষয়টি আমি জানি না। ডাকাতির প্রস্তুতির সময়ে অভিযান চালিয়ে আমরা রনিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করি। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তারা মামলা করতেই পারেন। তবে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। রনির বিরুদ্ধে এরআগেও কয়েকটি মামলা রয়েছে।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় রনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে তার স্ত্রীর আনা অভিযোগগুলোর বিষয়ে আমার জানা নেই। তাদের কাছ থেকে এসআই হানিফের টাকা চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আসামির স্ত্রী আমার কাছে কোন অভিযোগও করেননি।

;

বিনামূল্যে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণের ঘোষণা মেয়র আতিকের

ছবি: বার্তা২৪.কম

বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা‌দের জন‌্য নির্ধারিত কবরস্থান ১০ বছর সংরক্ষ‌ণের প‌রিব‌র্তে আজীবন বিনামূ‌ল্যে সংরক্ষ‌ণের ঘোষণা দি‌য়ে‌ছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্প‌তিবার (২৮ ডি‌সেম্বর) রাজধানীর খামারবা‌ড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ঢাকা উত্তর সি‌টি কর‌পো‌রেশন আ‌য়ো‌জিত ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠা‌নে এই ঘোষণা দেন তি‌নি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সূর্য সন্তান। মুক্তিযোদ্ধারা কোনো কিছুর জন্য যুদ্ধ করেননি। যুদ্ধ করেছেন দেশের স্বাধীনতার জন্য। যারা জীবন দি‌য়ে‌ যুদ্ধ ক‌রেছেন তারা কোন দিন চায়নি আমরা জ‌মি দখল ক‌রি। খাল দখল ক‌রি। খেলার মাঠ দখল ক‌রি। আপনারা দেশ দি‌য়ে‌ছেন অথচ এক‌টি চক্র চেষ্টা ক‌রে কিভা‌বে বা‌লি ভরাট ক‌রে বিঘা বিঘা জ‌মি দখল করা যায়। খাল দখল করা যায়, খেলার মাঠ দখল ক‌রা যায়। 

তিনি বলেন, আপনারা যেভাবে নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন কোন সরকার কিন্তু আপনাদের সেভাবে সন্মান দেয়নি। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার আপনাদের উপযুক্ত সন্মান দিয়েছেন। আপনারা জানেন নৌকার কোন ব্যাক গিয়ার নেই। শুধু সাামনের দিকে এগিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের যা দিয়েছেন এবং যা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেটা কেউ দিতে পারবে না। আপনার হাতে যতদিন থাকবে দেশ ততেদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

আতিক বলেন, প্রতি দুই মাসে অর্থাৎ ৬০ দিনে একদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্ধ থাকবে। আমি চাই ৬০ দিনে শেষ সোমবার এক দিন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বসবো। আপনাদের কথা শুনবো। আপনাদের সমস্যা সমাধান করবো। তাছাড়া যেকোন সময় আপনাদের সমস্যা হলে আমার দুয়ার সবসময় আপনাদের জন্য খোলা থাকবে।

মুক্তিযোদ্ধারা যদি কোন সেবার জন্য উত্তর সিটিতে আসেন তাহলে তাদের কোন হ্যারেজমেন্ট করা যাবে না। সঙ্গে সঙ্গে তাদের কথা শুনতে হবে কাজ করে দিতে হবে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘড়ে গিয়ে সেবা দিয়ে আসতে হবে। তাদের কোন কাজে সময়ক্ষেপণ করা যাবে না। ঢাকায় প্রবেশ স্থানে একটি মুক্তিযোদ্ধা গেট নির্মাণ করা হবে। দেশের প্রখ্যাত ডিজাইনারদের দিয়ে সেই গেইটের ডিজাইন করা হবে। প্রখ্যাত প্রকৌশলীদের দিয়ে সেই গেইট নির্মাণ করা হবে। আপনারা জানেন মিরপুরে জল্লাদ খানা আছে সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের অত্যাচার করা হতো। আমি আজ ঘোষণা দিচ্ছি সেই জল্লাদ খানার পাশে একটা লাইব্রেরি করা হবে। সেই লাইব্রেরির নাম হবে মুজিব কর্নার সেখানে আপনারা গিয়ে বই পড়বেন। এছাড়া আমরা ডিএনসিসি এলাকার সকল সড়ককে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করার ঘোষণা করছি।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের বক্তব্যে ব‌লেন, এই দেশ আমা‌দের। এই দে‌শের মা‌টি আমা‌দের। এই মা‌টি‌তে আমরা জামায়াত-শি‌বি‌রকে চাই না। জামায়াত শি‌বি‌রের হাত থে‌কে এই দেশ‌কে বাঁচা‌তে হ‌বে।

অন্য এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ব‌লেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা আমা‌দের অ‌নেক কিছু দি‌য়ে‌ছেন। ত‌বে তার দেওয়া আমা‌দের সব থে‌কে বড় উপহার জয় বাংলা স্লোগান‌কে জাতীয়ভা‌বে স্বীকৃতি। তাই আমরা চাই তি‌নি আবার ক্ষমতায় এ‌সে এ দে‌শের মানু‌ষের ভা‌লো রাখার দ্বা‌য়িত্ব নেন।

এসময় মেয়রের কাছে মেট্রোরেলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যাতে বিনা ভাড়ায় ভ্রমণ করতে পারেন সেই দাবি জানান। মেয়র প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এটা পাশ করার কথা জানাবেন বলে ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠা‌নে ঢাকা মহানগ‌রের মোট ১ হাজার ৩০০ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠা‌নে উপ‌স্থিত ছি‌লেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সে‌লিম রেজা, অ‌তিরিক্ত স‌চিব রেজাউল ক‌রিম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মো. রফিকুল আলম ও লীনু বিল্লাহ সহ প্রমুখ। এছাড়াও প্রায় ১ হাজার ৩০০ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠা‌নে উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *