সারাদেশ

ডোমারে বিরল প্রজাতির হিমালয়ান শকুন উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত বছর রেলে পণ্য রফতানির অনুমতি দিলেও অবকাঠামোগত নানান সমস্যায় আজ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। এদিকে দিন দিন পণ্য রফতানির চাহিদা বাড়লেও দুর্বল অবকাঠামোতে হতাশ ব্যবসায়ীরা। তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলে পণ্য রফতানিতে দুই দেশের বন্দরে রেল ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও আরো আলোচনার দরকার।

রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক চালক কবির হোসেন বলেন, বন্দরে রফতানি ট্রাক টার্মিনালটি ব্যবহারের সুযোগ না থাকায় যানজটে পণ্য সময় মত রফতানিতে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে পণ্যবাহী ট্রাক সময়মতো ভারতে প্রবেশ করতে পারে না।

বেনাপোল আমদানি রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, দেশে স্থলপথে ভারতের সাথে যে বাণিজ্য হয় তার ৮০ শতাংশ হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেল ও সড়ক পথে। এক সময় এ বন্দর ব্যবহারকারীরা আমদানি বাণিজ্যের উপর বেশি গুরুত্ব দিলেও বর্তমানে সময়ের ব্যবধানে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বাংলাদেশি পণ্যের গুণগত মান ভাল হওয়ায় আমদানি হতো এমন অনেক পণ্য এখন রফতানি হচ্ছে ভারতে। আমদানি বাণিজ্য সহজ করতে বেশ আগেই বেনাপোল বন্দর দিয়ে সড়ক পথের পাশাপাশি রেলে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হচ্ছে। এতে আমদানি বাণিজ্যে গতি ফিরলেও রফতানি বাণিজ্যে রয়েছে নানান প্রতিবন্ধকতা। এক্ষেত্রে রেলে পণ্য রফতানির দাবি ছিল ব্যবসায়ীদের। কিন্তু অনুমতির এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত রেলে পণ্য রফতানি শুরু না হওয়ায় আমরা অনেকটা হতাশ।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর গত বছরের ২ নভেম্বর রেলে পণ্য রফতানির অনুমতি দিলেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে না ওঠায় আজ পর্যন্ত রেলে রফতানি চালু করা সম্ভব হয়নি। রেলে রফতানি চালু হলে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি রেলে পণ্য যাবে ভারতে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, রেলে রফতানি চালু করা গেলে দিনের দিন যেমন পণ্য পৌঁছাবে কলকাতায় তেমনি খরচ ও সময় অর্ধেকে কমে আসবে। রফতানি বৃদ্ধিতে দেশে কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে আরো বড় ভূমিকা রাখবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ভারত থেকে প্রতিদিন রেলে পণ্য আমদানি হচ্ছে। পরে এসব রেল খালি ফেরত যায় ভারতে। এই রেলে রফতানি পণ্য পাঠাতে পারলে খরচ ও সময় সাশ্রয় হবে।

বেনাপোল রেল স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর রেল পণ্য রফতানির অনুমতি দিলেও অবকাঠামোগত সমস্যায় চালু হচ্ছে না। ভারত ও বাংলাদেশ দুই অংশে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আরো আলোচনার প্রয়োজন। আশা করছি এসব শেষে দ্রুত রেলে রফতানি পণ্য পরিবহন করা যাবে।

বাংলাদেশ স্থল বন্দরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি ভারতে রফতানি হয়েছে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৬৩ মেট্রিক টন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রফতানি ৪ লাখ ১ হাজার ১৭৭ মেট্রিক টন, ২০১৯-২০ অর্থবছর রফতানি ৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে রফতানি ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ মেট্রিক টন,২০২১-২২ অর্থ বছরে রফতানি ৪ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৩ মেট্রিক টন ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৮২ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন। চলতি অর্থবছর শেষে আরো বাড়বে রফতানির পরিমাণ। বাংলাদেশি রফতানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে,পাট ও পাট জাত দ্রব, মাছ, গার্মেন্টস, তৈরী পোশাক, কেমিকেল, বসুন্ধরা টিসু, মেলামাইন, কাঁচা লোহা, নকশিকাতা, ওয়ালটন ফ্রিজ, এসিসহ শতাধিক ধরনের পণ্য।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *