সারাদেশ

বোনকে নিয়ে জনসভা মঞ্চে শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট: বোনকে নিয়ে জনসভা মঞ্চে শেখ হাসিনা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণায় বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে জনসভা মঞ্চে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় তিনি বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসভা মঞ্চে ওঠেন। 

এর আগে দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রী সড়ক পথে বরিশাল সার্কিট হাউজে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রয়েছেন।

এদিকে সকাল থেকেই সড়ক ও নৌ পথে আসতে শুরু করে হাজারও মানুষ। সমাবেশস্থলে জড়ো হয়ে জয় বাংলা ও নৌকার স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু উদ্যান।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা আ.লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

নির্বাচনের মুহূর্তে এটি বরিশালে বিভাগের একমাত্র জনসভা, যেখানে দলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেবেন। নেতা-কর্মীদের দেবেন নানা নির্দেশনা, ভোট চাইবেন বরিশালবাসীর কাছে।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরজুড়ে চারস্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, টহল পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠে রয়েছে। নগরে বৃদ্ধি করা হয়েছে পুলিশের টহল।

আ. লীগকে সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান বিএনপির

ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগকে সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে, ৭ তারিখ অনেক দূরে। আপনারা ভাবুন, আলোচনায় বসুন, চিন্তা করুন, সংলাপ করুন। হিংস্রাত্মক সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসনু।’

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভয় পাচ্ছে বলেই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিচ্ছেনা। যে যত কথাই বলুক না কেন, মূল কারণ তো এটাই। ভয় পাওয়ার তো কোনো কারণ নাই। আপনারা (আওয়ামী লীগ) এই নির্বাচন সুষ্ঠু করে দিন। এমনও হতে পারে বাংলাদেশের মানুষ খুশি হয়ে আবার আপনাদেরই ভোট দেবে। বাংলাদেশের মানুষের যে চরিত্র এবং মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা সেটা উপলব্ধি করে আপনারা রাজনীতি করুন।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকের যে পরিবেশ পরিস্থিতি সেখানে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে গেছে। কোন আধুনিক সমাজ এভাবে বসবাস করতে পারে। ১৭৭১ সাল থেকে আজকে আড়াইশো বছর পেরিয়ে গিয়ে আজকের সরকার কি মানব সভ্যতার পেছনের দিকে হাঁটছে? যেখানে ১৭৭১ সালে সংবাদপত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ভূমিকা ব্রিটিশ সরকার নিশ্চিত করেছিল। সেখানে আজকে আমরা সংবাদপত্রের টুটি চেপে ধরে আছে। তাদেরকে এই সরকার বলছে, তোমরা কথা বলতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সারাদেশে একটি তামাশার নির্বাচন বর্জন করেছি, কিন্তু নির্বাচন বর্জন করিনি। আমরা জানি আজকের পরিবেশ পরিস্থিতি অত্যন্ত দুরুহ। তারপরও আমরা জানি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন আজকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পেরেছে এজন্য তারা প্রশংসা পাবে। এবং আজকে আমরা সরকারের চোখে এটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই। এই চরম পরিস্থিতির মধ্যে সুস্থ নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।’

সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে মঈন খান বলেন, ৭ তারিখ এসে গিয়েছে। খুব বেশি দূরে নয়। আপনারা যেভাবে বানরের পিঠা বেচার নির্বদচনের আয়োজন করেছেন, নির্বাচনের আগেই সব সিটের ফলাফল ইতিমধ্যে নির্ধারণ করে ফেলেছেন। এখনো সময় আছে এই অপবাদ থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনারা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন এতে করে বিএনপি সুনাম হবে না। সুনাম আওয়ামী লীগেরই হবে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

;

বরিশালে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী সভায় যোগ দিতে ইতোমধ্যেই বরিশাল পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় বরিশাল পৌঁছান তিনি। 

সেখানে পৌঁছে তিনি বরিশাল সার্কিট হাউজে যান। কিছু সময় বিশ্রাম শেষে বিকেলে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রয়েছে।

এরই মধ্যে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে জনসভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ। জনসমাবেশে কেন্দ্র করে উদ্যান মাঠে ব্যাপক জনসমাগম ঘটেছে। 

সকাল থেকেই সড়ক ও নৌ পথে আসতে শুরু করে হাজারও মানুষ। সমাবেশস্থলে জড়ো হয়ে জয় বাংলা ও নৌকার স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু উদ্যান।

এদিকে মানুষের ভিড়ে বরিশালে ৫ কিলোমিটার প্রায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা আ.লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

নির্বাচনের মুহূর্তে এটি বরিশালে বিভাগের একমাত্র জনসভা, যেখানে দলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেবেন। নেতা-কর্মীদের দেবেন নানা নির্দেশনা, ভোট চাইবেন বরিশালবাসীর কাছে।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরজুড়ে চারস্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, টহল পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠে রয়েছে। নগরে বৃদ্ধি করা হয়েছে পুলিশের টহল। সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয়েছে।

;

কলাপাড়ায় বিএনপির নেতার আওয়ামী লীগে যোগদান

ছবি: বার্তা২৪.কম

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম রেজা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ১১ টায় আওয়ামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এমপি মহিববুর রহমানের নিজ বাসভবনে তার হাতে ফুল দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেজা সাবেক পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের(কলাপাড়া-আমতলী) সাবেক এমপি মৃত সৈয়দ মোহাম্মদ আবুল হাসেম এর ছেলে। রেজাউল করিম আওয়ামী লীগে যোগদান করায় তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

নব্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী সৈয়দ রেজাউল করিম রেজা জানান, ‘আমার বাবা আওয়ামী লীগের (সাবেক এমপি) ছিলেন। আমিও একসময় আওয়ামীলীগে ছিলাম। কোন একটা কারনে বিএনপিতে এসেছি। কিন্তুু বিএনপি করায় আমাকে কেউ রাজাকার বলে, অনেকে আবার বাজে মন্তব্য করে। এছাড়া আমি বিএনপিতে তেমন মূল্যায়ন পাইনি। যাদেরকে আমি কাজেও রাখিনা তাদেরকে যদি আমার উপরে পদ দেয়। এটা হলো মানুষকে সম্মানের সহিত বেইজ্জতি করা। তাই আমি আবার সাবেক জায়গায় যোগদান করেছি।’ 

তিনি আরও বলেন, এমপি মহিবকে আমার মন থেকে ভালো লাগে। তার কর্মকান্ড ভালো। তাই আওয়ামী মনোনীত মহিববুর রহমানের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি।

কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব তালুকদার বলেন, ‘বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি করে, তারা বারবার নির্বাচনে না আসায় নেতাকর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সৈয়দ রেজাউল করিম রেজা ভাল ছেলে, ভাল ব্যবসায়ী। তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’ 

কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার জানান, ‘তার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগ। এছাড়া তাকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় না । সে মুখে মুখে বিএনপি করত। তারপরও তাকে বিএনপিতে রাখার জন্য যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু সে পদ পেয়েও তার ফেসবুক আইডিতে বিএনপিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।’

;

বিএনপিকে আল্লাহ হেদায়েত দান করুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: বার্তা ২৪.কম

সিলেট -১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে বলেই একটি অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে দেশের সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন দুঃখজনক। তারা মনে করছে নির্বাচনে আসলে তারা ভোট পাবেনা। বিএনপি ভুল পথে চলছে। আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট নগরীতে নির্বাচনী প্রচারের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।

এদিন সকালে ড. এ কে আব্দুল মোমেন নগরীর উপশহর এলাকায় লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর তেরো রতন ও গোটাটিকর শিল্প এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন ও ভোট চান।

এ সময় সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আহমদ সেলিম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, অ্যাডভোকেট আফসর আহমদ, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলে রাব্বী চৌধুরী মাসুম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. আব্দুল ওয়াহিদ, মো. আবুর কামাল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজেদা পারভীন, সৈয়দা রাবেয়া ইসলাম, সুলতানা বেগম, ওয়ার্ড সভাপতি জাভেদ আহমদ, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হোসেন আহমদ, তারেক আহমদ, সুয়েব আহমদ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *