সারাদেশ

নৌকার বাইরে গিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই: মেনন

ডেস্ক রিপোর্ট: নৌকার বাইরে গিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই: মেনন

নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে নয়, নিজেকে বিজয়ী করুন

বরিশাল-২ আসনে জোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, নৌকার বিকল্প কিছু নেই, নৌকায় ভোট দিতে হবে। নৌকার বাইরে গিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ জনসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উপস্থিতদের উদ্দেশে মেনন বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে নয়, নিজেকে বিজয়ী করুন, শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করুন।

তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন কোনো সহজ নির্বাচন নয়, জটিল নির্বাচন। শুরু থেকেই বিএনপি-জামায়াত জোট এবং তাদের ডান-বাম সহযোগীরা নির্বাচনকে
বানচাল করার জন্য, নির্বাচনকে আটকে দেওয়ার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র করে আসছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।

তিনি আরও বলেন, তারা কখনো স্যাংশন দেয়, কখনো ভিসা নীতি দেয়, কখনো হুকুম জারির মাধ্যমে চেষ্টা করে তাদের মতো করে সাজিয়ে এগোতে। আমরা তখনই বলেছিলাম, তাদের লক্ষ্য অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন নয়, তাদের লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকারকে হটিয়ে দিয়ে একটি অসাংবিধানিক সরকার কায়েম করা, যাতে এ অঞ্চলে, বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি নির্মাণ করাসহ আমার দেশের মানুষের ওপর খবরদারি কায়েম করা সম্ভব হয়।

মেনন বলেন, এই নির্বাচনকে সফল করতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপি-জামায়াত আসেনি বলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক নয়, এ কথা সত্য নয়, জনগণ অংশ নেবে।

তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা বানারীপাড়া-উজিরপুর উপজেলায় নির্বাচন একেবারে পরিপূর্ণ উৎসবে রূপ নিয়েছে। কেবল আমার এলাকায় নয়, বরিশাল বিভাগের সর্বত্র নির্বাচন উৎসবে রূপ নিয়েছে। মানুষ উৎসব-আনন্দের মধ্য দিয়ে এ নির্বাচনে অংশ নেবে।

মেনন বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমাদের অর্থনীতিতে অনেক সংকট হয়েছে, জিনিস-পত্রের দাম বেড়েছে। সেদিকে খেয়াল রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন, তাতে প্রথম প্রতিশ্রুতিই হলো দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা। দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি হলো- দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন রোধ করা, সন্ত্রাস রোধ করা, সাম্প্রদায়িকতা রোধ করা। তিনি ইশতিহারের ১১টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আসুন এ নির্বাচনে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে নির্বাচিত করি স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার জন্য।

সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোঃ ইউনুসের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, বরিশাল-৬ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল হাফিজ মল্লিক নৌকা, বরিশালের সন্তান অভিনেতা মীর সাব্বির।

‘তামাশার ডামি নির্বাচন বর্জন করুন’ 

ছবি: বার্তা ২৪

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তানিয়া রব বলেছেন, ‘অবৈধ ক্ষমতাকে নবায়ন করার তামাশার ডামি নির্বাচন বর্জন করুন। ভোট জালিয়াতি করে এই সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। এরা ভোটের নামে জনগণের সাথে প্রহসন করছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অপমান করছে। আগামী ৭ জানুয়ারি সরকার আরও একটি নীলনকশার পাতানো ডামি নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে।’ 

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার বাজারে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। পরে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন বেগম তানিয়া রব।

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে সরকারি দল নিজেদের মধ্যে সিটের ভাগ বাটোয়ারার কাজও প্রায় সম্পন্ন করে ফেলছে। এবং সুবিধাবাদী মিত্রদের মধ্যে ভিক্ষার মতো কিছু আসনও বিতরণ করেছে। সংসদে কারা বিরোধী দল হবে তাও তারা ঠিক করে দিচ্ছে। কথিত নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখানোর জন্য সরকারি দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিদ্রোহী প্রার্থী, অনুগত প্রার্থীসহ হরেক রকমের প্রার্থী দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। কারা ডামি হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকবে তাও ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে।’ 

তানিয়া রব বলেন, ‘একতরফা ডামি নির্বাচনের প্রত্যাখ্যানের বার্তা দেশের প্রতিটি ঘরে, প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে দেব । এই জিম্মি দশা থেকে আমরা দেশ ও জনগণকে মুক্ত করার যে আন্দোলন করছি সেই আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হব।’ গণসংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনকে বিদায় করি ও জনগণের বিজয় নিশ্চিত করার আন্দোলনে সবাইকে সম্পৃক্ত হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেএসডির কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা দিবা, রামগতি উপজেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বাবলু, স্বেচ্ছাসেবক পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুব পরিষদের সভাপতি মো. হান্নান হাওলাদার, জাতীয় যুব পরিষদের কমলনগর উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক এহসান রিয়াজ প্রমুখ।

;

টিআইবি মাঝে মাঝে রাজনৈতিক দলের মতো বিবৃতি দেয়: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর মতো সিভিল সোসাইটি অর্গাইনাইজেশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, কিন্তু সংস্থাটি মাঝে মাঝে রাজনৈতিক দলের মতো বিবৃতি দেয়।’

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে এক বিবৃতিতে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

টিআইবি’র সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন ভিত্তি করে গণমাধ্যমে ‘আওয়ামী লীগের ৮৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি’ শিরোনামে সংবাদ এলে তথ্যমন্ত্রী চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন যে, গ্রামেও ৫ কাঠা জমির দাম ১ কোটি টাকা, আর ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে ১ কোটি টাকার নিচে জমি নাই। অর্থাৎ দেশে বহু মানুষই কোটিপতি। এ নিয়ে টিআইবি আবার ব্যাখ্যা দিলে মন্ত্রী তার বিবৃতিতে বলেন, ‘জনগণ টিআইবি’র কথায় বিভ্রান্ত হয়নি। আমার বিশ্লেষণে তারা ঠিক বুঝতে পেরেছে যে, “কোটপতি” শব্দটি এখন বিশেষ কোনো ভার বহন করে না।’

পদ্মাসেতুতে কল্পিত দুর্নীতি নিয়ে টিআইবি’র নানা বিবৃতির কথা স্মরণ করিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতুতে অর্থায়ন করবে না জানানোর পর টিআইবি বলেছিলো- বিকল্প উৎস হতে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা (দুর্নীতির অভিযোগ থেকে) দৃষ্টি সরানোর উপায় বলে মনে হতে পারে এবং যদি এই সিদ্ধান্ত সফলও হয় তাতেও সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে না।

আবার তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের পদত্যাগের পরেও টিআইবি মন্তব্য করেছিলো যে -এখন অনেক দেরি হয়ে গেল, কয়েক মাস আগে বিশ্বব্যাংক যখন দুর্নীতির অভিযোগ আনলো তখনই পদত্যাগ হওয়া উচিত ছিল।

অথচ পরে কানাডার ফেডারেল আদালতে প্রমাণ হয়েছে, পদ্মাসেতু নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়ই নি। অর্থাৎ টিআইবি’র এ সব বিবৃতি ছিলো ভিত্তিহীন, মনগড়া।

করোনা মহামারির সময়ও টিআইবি একের পর এক বিবৃতি দিয়েছে, যার অনেকগুলোই পরে ভ্রান্ত প্রমাণ হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, দুর্নীতির নানা কল্পিত চিত্রের পাশাপাশি টিআইবি বলেছিল, দেশের ৭ দশমিক ৮ ভাগ মানুষ অর্থাৎ প্রায় দেড় লাখ মানুষ না কি করোনায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। অথচ এ সময় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো ৩০ হাজারেরও কম।

পূর্ব উদাহরণ দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে টিআইবি আমাদের মহান জাতীয় সংসদকে সংসদকে “পুতুল নাচের নাট্যশালা” বলেছিল। আর তারা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যার বিরূদ্ধে কোনো বিবৃতি দেয় না, অথচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কেউ কিল-ঘুষি খেলে বিবৃতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এগুলো রাজনৈতিক দলের মতো আচরণ।

একইসাথে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে গণতন্ত্রকে সংহত করতে, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন ও সুশাসনের জন্য টিআইবি’র মতো প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তাদের প্রতিবেদন-বিবৃতি যেন একপেশে তথ্যনির্ভর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না হয়, সেটিই প্রত্যাশা।

;

‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর কোনো অন্যায়-অবিচার সহ্য করা হবে না’

‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর কোনো অন্যায়-অবিচার সহ্য করা হবে না’

ফেনী-২ আসনের নৌকার প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেছেন, মুসলমানরা যেমন দেশের নাগরিক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও এ দেশের নাগরিক। সবার সমান অধিকার রয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর কোনো অন্যায় অবিচার হলে তা আমি সহ্য করব না। এমন কাজ কেউ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের তুলাবাড়িয়া হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় নৌকার গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নিজাম হাজারী বলেন, আমার বাবা কমিশনার থাকা অবস্থায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য কাজ করেছে। তার ছেলে হিসেবে আমার ও দায়িত্ব তাদের নিরাপত্তা দেয়া। আমি নিজাম হাজারী বেঁচে থাকতে ফেনীর কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু হতে দিব না।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য না হলেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য কেউ থাকুক বা না থাকুক আমি আজীবন আপনাদের হয়ে থাকব। এসময়, ভোটে নির্বাচিত হলে এলাকার অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

পথসভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, অতি উৎসাহী কেউ জালভোট দিতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে। ভোটারদের গাড়িতে করে ভোটকেন্দ্রে এনে আবার পৌঁছে দিতে হবে। কেউ কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা করবেন না। আমি জালভোটের এমপি হতে চাই না, আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে চাই।

গণসংযোগে গেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উলুধ্বনি দিয়ে, গলায় ফুলের মালা এবং গাঁদা ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেন নিজাম হাজারীকে।

পথসভায় ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিম উল্ল্যাহ বিকম, কালিদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ডালিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শম্ভু বৈষ্ণব, স্থানীয় ভোটকেন্দ্র প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা নেপাল চন্দ্র শীল, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মানিক, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকরামুজ্জামান রাজু, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সাধারণ ভোটাররা অংশ নেন।

এর আগে ইউনিয়নের আলোকদিয়া, ভালুকিয়া, কালিদহ, সিলোনিয়া, গোবিন্দপুর, তুলাবাড়িয়া ভোটকেন্দ্রে গণসংযোগ করেন নিজাম উদ্দিন হাজারী। বিকালে তার বালিগাঁও ইউনিয়নে পথসভা ও গণসংযোগ করার কথা রয়েছে।

;

ভাঙা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬ লেনের সড়ক করে দেব: প্রধানমন্ত্রী 

ভাঙা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬ লেনের সড়ক হবে: প্রধানমন্ত্রী 

বরিশালে নির্বাচনী জনসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ভাঙা থেকে  কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬ লেনের রাস্তা করে দেবো। এই বরিশালে আর কষ্ট আর থাকবে না। বরিশাল বিভাগ ছিলো অন্ধকার। আওয়ামী লীগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছে। ৮ লাখ ৪১ হাজার ৬’শ ২৩ জন হতদরিদ্রকে বিনামূল্যে ঘর দিয়েছি। এই বাংলাদেশে কেউ হতদরিদ্র থাকবে না।’ 

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অনুষ্ঠিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট দেশ হবে। তাই দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে দেশকে স্মার্ট দেশ করবো। অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। আজকে ৬ লাখ ৮০ হাজার ফিল্যান্সার ঘরে বসে আয় করছে। এজন্য ১০৯টি আইটি পার্ক করেছি। প্রত্যেক স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব করেছি। ভোলার গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে ঢাকায় নিয়েছি। ভবিষ্যতে এই গ্যাস বরিশালের শিল্পাঞ্চলে দেওয়া হবে।’ 

এ সময় তিনি তরুণসহ জনসাধারনের কাছে ভোট প্রার্থনা করে বলেন, ‘ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। এই নৌকায় ভোট দিলে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।’ 

এর আগে তিনি ঢাকা থেকে সড়কপথে বরিশাল পৌঁছান। এরপর তিনি ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানের মঞ্চে বক্তৃতা দিতে উঠেন। জনসভা উপলক্ষে চার স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। জনসমাবেশে যোগদিতে দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলা-উপজেলা থেকে দলীয় নেতাকর্মীসহ জনসাধারণের স্রোত তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে জনসাধারণ বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, রঙ-বেরঙের টি শার্ট, ক্যাপ পরে সড়ক ও নৌপথে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু উদ্যানের আশপাশের সব সড়ক লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একনজর দেখতে সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা নগরীতে অবস্থান নেন। এদের মধ্যে নারী, তরুণ-তরুণীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। তারা হাতে লাল-সবুজ পতাকার সঙ্গে রং বেরঙের পোশাক পড়ে নগরীতে প্রবেশ করায় উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে বরিশাল।

ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। মাঠে জায়গা না পেয়ে নেতাকর্মীসহ জনসাধারণ আশাপাশের সড়ক ও খালি জায়গায় অবস্থান নিয়েছে। জনসভাকে কেন্দ্রে করে দলীয় প্রতীক নৌকার প্রতিকৃতি নিয়েও এসেছেন অনেকে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানাসহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।

পটুয়াখালীর শ্রমজীবী আক্কাস উদ্দিন বলেন, ‘ প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখতে এসেছি। তার শাসন আমলে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। তাই নিজে থেকে এই জনসভায় এসেছি।’ 

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, টহল পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠে রয়েছে। সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। মাঠ ও আশপাশে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গোটা নগরী নিরাপত্তার চাঁদরের ঢেকে দেওয়া হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, ‘জনসভায় যোগ দিতে আসার সময় ও ফিরে যাওয়ার সময় জনসাধারণ যাতে কোন ভোগান্তিতে না পড়েন সেজন্য পর্যপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যানজট এড়াতে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মাঠে রয়েছে। নৌপথে টল দিচ্ছে নৌপুলিশের সদস্যরা।’ 

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *