বিনোদন

বগুড়ায় ডিবির অভিযানে মিলল বিপুল পরিমাণ নকল ‘ডার্বি’

ডেস্ক রিপোর্টঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় একটি অবৈধ সিগারেট কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল সিগারেট, জাল স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল উদ্ধার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ডিবির একটি দল উপজেলার উথুলী থেকে প্রায় ডার্বি ব্র্যান্ডের প্রায় ১ লাখ ৬০ শলাকা নকল সিগারেট, পৌনে দুই কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্প ও ব্র্যান্ডরোল, স্টার ও ডার্বি ব্র্যান্ডের খালি প্যাকেট ও সিগারেট তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।

অভিযানে অংশ নেয়া বগুড়া জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘উথুলী এলাকায় একটি বাড়িতে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির নামে নকল সিগারেট তৈরি হচ্ছে বলে জানতে পারি। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে ডার্বি সিগারেটের ১ লাখ ৬০ হাজার শলাকা, স্ট্যাম্পের প্যাকেট, ব্যান্ড রোল, অসংখ্য স্কচটেপ ও ফুয়েল পেপার উদ্ধার করেছি।’

এদিকে বগুড়া জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজ হাসান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আনুমাণিক ডার্বি সিগারেটের ১ লাখ ৬০ হাজার শলাকা, পৌনে দুই কোটি টাকার স্ট্যাম্প ও ব্র্যান্ডরোল, অসংখ্য স্কচটেপ ও ফুয়েল পেপার উদ্ধার করা হয়েছে।’

ডিবি সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে এসএম টোব্যাকো শিবগঞ্জের নিভৃত এলাকায় কারখানা স্থাপন করে অবৈধভাবে নকল সিগারেট উৎপাদন করছে। এসব সিগারেটের প্যাকেটে নকল ট্যাক্স স্ট্যাম্প ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছে।

২০২১ সালে করা এক অভিযানে এসএম টোব্যাকোর কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম ছিল সুরাইয়া সরকার। তবে সম্প্রতি কাগজপত্র দেখে জানা যায় কারখানার মালিকের নাম নূর ইমরান শাহরিয়ার সরকার। ২০২১ সালে বগুড়ার সাথী সিনেমা হল ভবন ব্যবহার করে অবৈধ সিগারেট উৎপাদন করতো ওই প্রতিষ্ঠান। শতকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে র্যা ব তা সিলগালা করে দেয়। এর কিছুদিন পর শিবগঞ্জের নিভৃত এলাকায় আবার কারখানা স্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আইন অনুযায়ী একটি সিগারেট কারখানা স্থাপন করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ প্রায় ১৯টি অনুমোদন লাগে। এছাড়া সিগারেট বাজারজাত করতে হলে ৮১ শতাংশ পর্যন্ত ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয়। মূলত এই বিপুল অংকের ট্যাক্স ফাঁকি দিতেই অবৈধ সিগারেট কারখানা গড়ে ওঠে।

এসএম টোব্যাকো মূলত দুবাই, সেনর গোল্ড, স্মার্ট ব্ল্যাক ইত্যাদি সিগারেট উৎপাদন করে। এসব সিগারেট সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে অনেক কমদামে বিক্রি করে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ বেশি লাভের আশায় জনপ্রিয় ব্র্যান্ড নকল করে অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদন করছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *