আন্তর্জাতিক

জিম্মিদের মুক্তির জন্য যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন : হামাস

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রায় তিন সপ্তাহ আগে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস যোদ্ধাদের মারাত্মক তাণ্ডবের পর গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির বিপরীতে যুদ্ধবিরতির দাবি পুনরায় উল্লেখ করেছেন হামাস কর্মকর্তা আবু হামিদ।

প্রতিশোধমূলক বিমান হামলার পাশাপাশি ইতিমধ্যে স্থল অভিযানও শুরু করেছে ইসরায়েল। তবে, যুক্তরাষ্ট্র এবং আরব দেশগুলো ওই অভিযান বিলম্বিত করার জন্য অনুরোধ করেছে। কারণ, ওই অভিযান ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

এদিকে, গাজা সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের দ্বারা মার্কিন বাহিনীর উপর হামলার প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুটি মার্কিন যুদ্ধবিমান সিরিয়ায় ইরানের অস্ত্র ও গোলাবারুদ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত এক মতামত জরিপে বলা হয়েছে, প্রায় অর্ধেক ইসরায়েলি অন্তত ২২৪ জিম্মির মৃত্যুর আশঙ্কায় এখন স্থল আক্রমণ বন্ধ রাখার পক্ষে।

রাশিয়ার সংবাদপত্র কমারসান্ট মস্কো সফররত হামাস প্রতিনিধি দলের সদস্য আবু হামিদকে উদ্বৃত করে জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় অংশ নেওয়া হামাস সদস্যদের খুঁজে বের করার জন্য সময়ের প্রয়োজন ছিল।

আবু হামিদ বলেন, ‘তারা কয়েক ডজন লোককে আটক করেছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক এবং গাজা উপত্যকায় হামলাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য আমাদের সময় দরকার।’

রয়টার্স জানিয়েছে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত চার জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হামাস যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই স্পষ্ট করেছিল যে, তারা জিম্মিদের মুক্তি দিতে চায়।

তবে তিনি বলেন, এই কাজটি সম্পূর্ণ করার জন্য একটি শান্ত পরিবেশ প্রয়োজন। ইসরায়েলি বোমা হামলায় ইতিমধ্যেই ৫০ জিম্মি নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে অন্তত দুটি এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।

মধ্য গাজার বাসিন্দারা বলেছেন, তারা গুলি বিনিময়ের পাশাপাশি সীমান্তে ভারী গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলার মতো শব্দ শুনেছেন।

ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের বিমান হামলায় হামাসের তিন সিনিয়র যোদ্ধা নিহত হয়েছে, যারা গত ৭ অক্টোবরের হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এরা দারাজ তুফাহ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার বলেও দাবি করেছে তেল-আবিব।

যদিও হামাসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

পাশাপাশি, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি আইনজীবী জেহাদ আল-কাফারনার গর্ভবতী স্ত্রী নিহত হয়েছেন।

স্ত্রীর লাশের সামনে দাঁড়িয়ে জেহাদ আল-কাফারনা কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, ‘আমার জীবন, আমার হৃদয়, আমি তোমাকে ভালোবাসি।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *