সারাদেশ

গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট: গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলা

ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য দেশটিরর বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে, গাজায় গণহত্যার ওই অভিযোগ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে ইসরায়েল।

দক্ষিণ আফ্রিকা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েল জেনোসাইড কনভেনশন মেনে চলার বাধ্যবাদকতা লঙ্ঘন করেছে। সেটাই আইসিজে’র কাছে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই অভিযোগে আরও বলা হয়, ইসরাইল গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে।

আবেদনে দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, ইসরায়েল বৃহত্তর ফিলিস্তিনের অংশ হিসেবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস করার জন্য প্রয়োজনীয় সুনির্দিষ্ট জাতীয় ও জাতিগত উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে।

এ ব্যাপারে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হাইয়াত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, আইসিজে’র কাছে করা দক্ষিণ আফ্রিকার এমন অপবাদ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছে ইসরায়েল।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের ওপর হামাসের নজিরবিহীন হামলার মধ্যদিয়ে এ যুদ্ধ শুরু হয় এবং প্রায় দ্বাদশ সপ্তাহ ধরে চলছে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এ যুদ্ধে গাজার উত্তরাঞ্চলের বিস্তৃর্ণ এলাকা একেবারে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।

এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের ভয়বহ হামলায় প্রায় ১,১৪০ জন নিহত হয় এবং এদের বেশিরভাই বেসামরিক নাগরিক।

এছাড়াও হামাস যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এসব জিম্মির মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

অন্যদিকে হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় কমপক্ষে ২১,৫০৭ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলের কাছে ১৪ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলারের যুদ্ধাস্ত্র বিক্রির অনুমোদনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কংগ্রেসের পর্যালোচনা ছাড়া ‘জরুরি পরিস্থিতি’ দেখিয়ে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে চলতি মাসের শুরুতেও জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করে ইসরায়েলের কাছে ১৪ হাজার ট্যাঙ্কের গোলা সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলের অনুরোধে অস্ত্র বিক্রির ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

সংস্থাটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জরুরি পরিস্থিতির কারনে ইসরাইল সরকারের কাছে অবিলম্বে অস্ত্র বিক্রির প্রয়োজনীতার বিষয় নিশ্চিত হওয়ায় কংগ্রেসের পর্যালোচনা উপেক্ষা করা হয়েছে।

মার্কিন সেনাবাহিনীর মজুদ থেকেই অস্ত্রগুলো সরবরাহ করা হবে বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

এ ছাড়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল এসব অস্ত্র ব্যবহার করে আঞ্চলিক হুমকি মোকাবেলাসহ নিজস্ব প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করবে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এতে ১২০০ ইসরায়েলি প্রাণ হারায়।

এর পর পরই ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে বোমাবর্ষণ ও পরে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে। তাদের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ২১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

;

রামমন্দির উদ্বোধনে যোগ দেওয়া নিয়ে দোটানায় কংগ্রেস

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা সোনিয়া গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়্গে রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে এখনও দোটানায় রয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।

আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সোনিয়া গান্ধীর যোগ দেওয়া নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) কংগ্রেস অফিসিয়ালি জানিয়েছে, ‘এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। যথা সময়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে রামমন্দিরের উদ্বোধনকে কাজে লাগিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে গোটা দেশে হিন্দু ভাবাবেগ তৈরি করতে চাইছেন তা বুঝতে পারছে কংগ্রেস। সেখানে যোগ দিলে কংগ্রেস কার্যত মোদির রাজনৈতিক কৌশলের কাছে বশ্যতা স্বীকার করবে। এতে করে মোদি মঞ্চে বসে প্রচারের আলো উপভোগ করবেন। কংগ্রেস নেতা-নেত্রীদের অতিথির আসনে বসে হাততালি দেওয়া ছাড়া গতি থাকবে না।

আবার অনুষ্ঠানে যোগ না দিলে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে রামমন্দির-বিরোধী বলে প্রচার চালাবে বিজেপি। এনডিটিভি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সোনিয়া, খড়্গে ও অধীর চৌধুরীর কাছে অযোধ্যার অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ এসেছে। এর আগে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেছিলেন, সোনিয়া গান্ধী নিজে না গেলেও তাঁর প্রতিনিধি যাবেন। কিন্তু কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রের বক্তব্য, সনিয়া, খড়্গেদের নামে যে আমন্ত্রণপত্র এসেছে, তা নিয়ে অন্য কেউ যেতে পারবেন না। ফলে ওই কৌশল নেওয়ার রাস্তাও বন্ধ।

সমাজবাদী পার্টি থেকে সিপিএমের মতো ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দল ইতিমধ্যেই অযোধ্যার অনুষ্ঠানে যাবে না বলেছে। কিন্তু, কংগ্রেসের পক্ষে ওই অবস্থান নেওয়া সহজ নয়। তাছাড়া কংগ্রেসের মধ্যেও ভিন্ন মত রয়েছে। কারণ কংগ্রেসের একাংশের নেতারা বলছেন, ‘রাজীব গান্ধীর আমলেই রামলালার পুজোর জন্য বাবরি মসজিদের তালা খোলা হয়েছিল।’

;

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়াবে ১ জানুয়ারি

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়াবে ১ জানুয়ারি

আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৪ এ বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়াবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদম শুমারি ব্যুরো। গত এক বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত কোটি বৃদ্ধি পেয়ে তা আগামী ১ জানুয়ারিতে ৮০১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৯ জনে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যান দপ্তর ইউএস সেনসাস ব্যুরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চলতি ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বেড়েছে ৭ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার ৫৪১ জন, এবং বছরজুড়ে বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে জন্ম নিয়েছে ৪ দশমিক ৩ জন শিশু এবং মারা গেছে ২ জন।

২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বাড়লেও পূর্ববর্তী বছর ২০২২ সালের তুলনায় এই বৃদ্ধির হার ১ শতাংশ কম বলে জানিয়েছে ইউএস সেনসাস ব্যুরো।

এদিকে, ২০২৩ সালে আমেরিকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ০.৫৩ শতাংশ। অর্থাৎ বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে অর্ধেক। এ বছর আমেরিকায় বেড়েছে ১৭ লাখ মানুষ। নতুন বছরের প্রথম দিন আমেরিকার জনসংখ্যা হবে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ৭০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করেছিল বৈশ্বিক জনসংখ্যা। তার ১১ বছর পর ২০২২ সালের নভেম্বরে ৮০০ কোটিতে পৌঁছেছিল জনসংখ্যা।

তবে বিবৃতিতে মার্কিন পরিসংখ্যান দপ্তর উল্লেখ করেছে, জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটিতে পৌঁছাতে ১১ বছর সময় লাগলেও ৮০০ কোটি থেকে ৯০০ কোটিতে পৌঁছাতে ১৪ বছর সময় লাগবে । উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর নিম্নজন্মহার এবং তরুণ ও সন্তান জন্মদানে সক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমতে থাকাই হচ্ছে এর সবচেয়ে বড় কারণ।

;

এক রাতে আড়াইশো বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় ২৫২ বাংলাদেশিসহ ৫৬৭ আটক 

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাংসারে আব্দুল্লাহ হুকুম এপার্টমেন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৫২ জন বাংলাদেশিসহ ৫৬৭ জন বিদেশি অভিবাসীকে আটক করেছে মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগ।

অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটনের কারণে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১ টা ১৫ মিনিট থেকে এই অভিযান চালানো হয়। 

কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক সামশুল বাদরিন মহসীন বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরেই ওই এপার্টমেন্ট এলাকায় স্থানীয়দের থেকে তথ্য নেয়া হচ্ছিল। বিদেশি অভিবাসীদের উৎপাতে তারা বিরক্ত হচ্ছিল। এরপর গত রাত সোয়া একটা থেকে সকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।’ 

তিনি বলেন, ‘অভিযান চলাকালীন সময়ে ১ হাজার অভিবাসীর তথ্য যাচাই করা হয়। এর মধ্যে ২৫২ জন বাংলাদেশি, ১৬৩ জন নেপালি, ৭৫ জন মিয়ানমারের নাগরিক, ৭২ জন ইন্দোনেশিয়ান, ৪ জন ফিলিপাইন এবং একজন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়। অভিবাসন সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের আটক করা হয়।’ 

এই অভিবাসীদের বয়স ৪ মাস থেকে ৫৫ বছর পর্যন্ত। এদেরকে বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাদরিন বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, অভিবাসীরা একটি রুমে আট থেকে দশজন বসবাস করেন ৷ মাসে ১ হাজার রিঙ্গিত বা প্রায় ২০ হাজার টাকা ভাড়া দেন তারা।’ 

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *