সারাদেশ

স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা সঙ্কা। আর এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে গণপরিবহন চলবে কি না সেটি পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা। তবে সকাল থেকে স্বাভাবিক দিনের মতো বাস চলাচলের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাস মালিকরা।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে গণপরিবহনের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে বেশ কয়েকজন পরিবহন মালিকরা এ তথ্য জানান।

বাস মালিক ও পরিবহন ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পরিবহন বন্ধ বা চালু রাখার বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবহন ব্যবসায়ীদের কিছু জানানো হয়নি। আবার পরিবহন ব্যবসায়ীদের মালিক সমিতির পক্ষ থেকেও পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।

এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিবহনের মালিক বাবুল শেখ বলেন, ‘আমাদের বাস চলবে। আমাদের সেই প্রস্তুতি আছে। বাস চললে শ্রমিকরা টাকা পাবেন, আমরা টাকা পাবো। না চললে পাবো না।’

এই ব্যবসায়ী জানান, সড়কে কোনো ঝামেলা না থাকলে বাস চলতে সমস্যা নেই।

আগামীকাল রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচলের বিষয় জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাস চলাচলের বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক সমাবেশ তো এখন নিয়মিত। আমরাও পুলিশের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করিনি। রাস্তা চালু থাকলে বাস চলবে।’

পরিবহন ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের এ নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপি বলেছে তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে। যদি সেটা হয় তাহলে তো বাস চলতে সমস্যা নাই। আমাদের প্রস্তুতি আছে। সকাল থেকেই বাস চলবে।’

এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর সকল কর্মসূচি মৎস্য ভবন, বিজয়নগর, প্রেসক্লাব, পল্টন, গুলিস্থান ও মতিঝিল এলাকা কেন্দ্রিক। এ এলাকাটি ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পূর্ণ। তবে শনিবার এ সকল ‘করপোরেট’ প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। সেদিক থেকে চাকুরীজীবীদের শনিবার ওই এলাকামুখী চাপ কম থাকার কথা।

পাশাপাশি ছাপাখানা নির্ভর বিজয়নগর, পল্টন এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ ব্যবসায়ী আগামীকাল দোকান বন্ধ রাখবেন।

বাইতুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ বা মার্কেটের পক্ষ থেকে দোকান খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে কোনো নোটিশ দেয়নি। শুক্রবার মার্কেট বন্ধ থাকে। শনিবার ব্যাংক নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ থাকে। তবে অনেকেই দোকান খোলে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কাল (শনিবার) দোকান খুলবো না। কারণ যে অবস্থা, রাজনৈতিক ঝামেলার মধ্যে আমরা যেতে চাই না। কাস্টমারও এর মধ্যে আসবে না। দোকান খোলা রেখে লাভও নাই।’

এ দিকে পল্টন, গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার যাদের অফিস খোলা তাদের কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত জানানো হয় নি। ফলে পেশাগত কারণে বাধ্য হয়ে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। ঝুঁকি থাকলেও কিছুই করার নেই বলছেন চাকরিজীবীরা।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *