সারাদেশ

নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার তত বাড়ছে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।

নির্বাচনে অন্য প্রার্থীদের জয়ের খুব একটা সম্ভাবনা না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল আর বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থীর ডাব প্রতীকের মধ্যে শক্ত লড়াই হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটারা।

বগুড়া-৪ আসনে ২ জন দলীয় প্রতীকে ও ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ৩৩৭ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৭০ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়া ভোটার রয়েছে ৬ জন।

সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিএনপির চার বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে মাঠে অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। বিগত দিনে এমপি থাকা সময়ের নেতাকর্মীরা তার হয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ সমর্থিত ভোটারের একটি অংশ ভোটের মাঠে ডা. জিয়াউল হক মোল্লার ঈগল প্রতীকের পক্ষে প্রচারণায় নামায় তিনি নৌকার প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে।

এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডাক্তার জিয়াউল হক মোল্লার জনপ্রিয়তা রয়েছে। কাহালু স্টেশন রোডের ইহসান নামের এক ভ্যানচালক বলেন, হামি জিয়াউল হক মুল্লাক ভোট দিমু। মোল্লা ডাক্তার গরিবের অনেক উপকার করে, বিপদ-আপদে আসে গরিবের কথা শোনে। হামাগরে মত গরিবকে মোল্লা মেলা উপকার করে, তাই হামরা ঈগল মার্কাতভোট দিমু। যেটি মোল্লা আছে সেটি অন্য কোন মার্কার খাওয়া নাই, মোল্লা না দাঁড়ালে আলমক হামরা ভোট দিনোনি।

আকলিমা নামের এক গৃহবধূ বলেন, আমরা শিক্ষিত মানুষকে ভোট দিব। যেন সংসদে গিয়ে আমাদের কষ্টের কথা এলাকার কষ্টের কথা বলতে পারেন। মোল্লা ভালো মানুষ। তাই চাই উনি বিজয়ী হোক।

এদিকে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি হতে মনোনয়ন নিয়ে (ডাব) নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। ইউটিউবার হিসেবে আলোচিত-সমালোচিত হিরো আলম ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে নির্বাচন করেন। ২০২২ সালের উপ নির্বাচনে হিরো আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে এবার স্বতন্ত্র নয়, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি হতে তিনি ডাব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এলাকার তরুণরা চান হিরো আলমকে। এলাকার যুবক-তরুণদের দেখা যায় ডাব প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করতে। কাহালুর দরগা হাটা গ্রামের শরিফ শেখ, সুমন, সিয়ামসহ বেশ কয়েকজন তরুণ বলেন, আলমের লেখাপড়া নাই, তবুও সাহস করে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে, তার এই সাহসে আমরা সাপোর্ট করি। আলম ইউটিউবার হিসেবে জনপ্রিয় আমাদের সকলের কাছে। আলমকে দেখে আমাদের তরুণদের অনেক কিছু শিখার আছে। তাই আমরা চাই আলম বিজয়ী হোক।

এই আসনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন ১৪ দলীয় জোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। দীর্ঘদিন ধরে জাসদের রাজনীতি করলেও তিনি এই আসনে দলের সাংগঠনিক অবস্থার পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এলাকায় তার জনপ্রিয়তা খুবই কম, এলাকার লোকজনের মুখে শোনা যায় তিনি এলাকাতেই আসেন না। এলাকার লোকজনরা তাকে এলাকায় দেখেন না বললেই চলে।

এছাড়া আগে থেকেই মনোনীত জাতীয় পার্টির মো. শাহিন মোস্তফা কামাল ফারুক (লাঙল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *