খেলার খবর

বোলিংটাই কাল হলো শান্তর 

ডেস্ক রিপোর্ট:  

৪৯ রানেই নেই কিউইদের পাঁচ উইকেট। পুঁজিটা মামুলি হলেও ম্যাচের সেই ক্ষণে দখলদারিত্বে শান্তরাই। সেখানে হঠাতই বোলিংয়ে এলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অনেকটা বাজি ধরার মতো কাণ্ডই বটে! নেপথ্যে, পিচে দুই বাঁহাতি ব্যাটার, যেখানে এক অফ-স্পিনার আক্রমণে আনা। শেখ মাহেদির চার ওভার ততক্ষণে শেষ, এতে আফিফ ছাড়া অপশন কেবল শান্ত নিজেই। সেখানে রিস্কটা নিলেন নিজেই। এতেই কি হলো কাল! 

কেন সেই কাল তা বুঝতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে যাওয়া যাক। এদিন সকাল থেকেই সেখান বৃষ্টি। আগের ম্যাচের মতো এটিও ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা। তবে টসের পর সময়মতোই শুরু ম্যাচ। সেখানে ১১০ রানের মামুলি সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ৪৯ রানের কিউইদের পাঁচ উইকেট তুলে নেয় শরিফুল-মাহেদি। এতে সবাই অঙ্ক কষতে শুরু করে বৃষ্টি আইনের! কেননা বৃষ্টি সম্ভাবনা তখন এলো তীব্র হয়ে। সেই অবস্থায় ডিএলএসে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টি শুরু হলে ম্যাচ থাকতো শান্তদের দখলেই। তবে সেখানে ভুলটা যে করলেন শান্তই। 

১০ম ওভারে বল করতে এসে এক ছক্কা ও এক চারে দিলেন ১৪ রান। এতেই হয়ে গেল সেই কাল! বৃষ্টি আইনে এগিয়ে গেল কিউইরা। সেখান থেকে ম্যাচে গড়িয়েছে আরও ২৮ বল। তবে সেই ওভারের পাওয়া মোমেন্টাম কাজে লাগিয়ে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে কিউইরা। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে ১৭ রানের জয় সিরিজ বাঁচাল স্বাগতিকরা।

অধিনায়কত্বের স্বাদটা আগেই পেয়েছেন শান্ত। তবে পূর্ণ সিরিজে অধিনায়ক হওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে বিশ্বকাপের পরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। এরপর কিউই সিরিজে সাদা বলের দুই সিরিজে সেখানে তার অধীনে, প্রত্যেকটাতেই পেয়েছে একটা না একটা ‘নতুন’ কিছুর দেখা। তবে একটু এদিক ওদিক হলে আরও ভালো কিছুর দেখাও পেয়ে যাওয়া যেত, কিউইদের মাটিতে সিরিজ জয়ের। 

সব মিলিয়ে দারুণ এক বছর কাটল শান্তর। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান, ফর্মে ফেরা, অধিনায়কত্বে সফল শুরু, এবং শেষ এসে দেখলেন মুদ্রার ওপিঠও। 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *