সারাদেশ

অবৈধ গাড়িতে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীর প্রচারণা, ২০ হাজার টাকা জরিমানা

ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচনে সহিংসতা ঘটবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি না তবে এরকম কোন পরিস্থিতি যদি তৈরি হয় তখন সেটা আমরা সবাই সমন্বিতভাবে প্রতিহত করবো বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার সচিব জাহাংগীর আলম।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে দুইঘণ্টা ব্যাপী বৈঠক শেষে ইসি সচিব এই কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন যেসব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ আছে তাদের প্রধানদের সঙ্গে আজকে আমাদের মিটিং হয়েছে, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সকল কমিশনার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার মহোদয়সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাহিনীগুলোর প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। সকল বাহিনী মাঠ পর্যায়ে তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নেমে গেছে। এটা একটা ফলোআপ মিটিং ছিল। কোন বাহিনীর কত জন, কোথায় কিভাবে কাজ করছেন সেই পরিকল্পনা তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে মাননীয় কমিশনকে অবহিত করেছেন।

ইসি সচিব বলেন, এই পর্যন্ত মাঠে যে পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অবস্থা, তা এখন পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত নির্বাচনে বড় ধরণের কোনো আশঙ্কা করছেন না। তবে যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে এজন্য প্রত্যেকেই তারা তাদের নিজ নিজ গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরো সক্রিয় রাখবে, যাতে কোনো ধরণের ঘটনা ঘটার আগেই তা নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কত সংখ্যা মোতায়েন থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রত্যেক বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী তারা মোতায়েন থাকবে। কেন্দ্রগুলোর অতীত ইতিহাস, ভোটারের সংখ্যা এই সমস্ত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রে দুই জন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র তিনজন, অতিগুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ এভাবে নিয়োজিত করা হয়েছে।

নির্বাচনী মাঠে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য কিভাবে থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা, তারা তো পেট্রোল ডিউটি করবেন। তারপর বিজিবি ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে পেট্রোল ডিউটি করবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা বিভিন্ন কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান করবে।

পাশাপাশি বেসামরিক প্রশাসন যারা রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার আছেন, তাদের চাহিদা অনুযায়ী তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ে সেই সমস্ত জায়গাগুলোতে কাজ করবেন। জনগণের মধ্যে যেন ভীতি না থাকে, যে ভোটকেন্দ্রে গেলে তাদের কোনো বিপদ না এই বিষয়টি নিয়ে তারা কাজ করবে।

সশস্ত্র বাহিনী কী সেখানে মুভ করবে বা সেটা প্রতিহত করার কোনো ব্যবস্থা নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী মাঠে রয়েছে, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য। সুতরাং যেখানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটবে বেসামরিক প্রশাসন যেখানে মনে করবে সেখানে তারা মোকাবিলা করবে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *