সারাদেশ

বিএনপির বিরুদ্ধে সেগুনবাগিচায় বাস ভাঙচুরের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: নীলফামারীতে সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। হঠাৎ সবজির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। 

বাজার ঘুরে দেখা যায় পাইকারি বাজারের আমদানি না থাকায় এসব সবজি প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। ব্যবসায়ীরা বলছেন বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম কমে আসবে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা।

তারা আরও বলেন কিছুদিন আগে প্রচুর বৃষ্টির কারণে এসব সবজির সরবরাহ কমেছে বলেই দাম কিছুটা বেড়েছে। অথচ সাধারণ ক্রেতরা বলছেন নীলফামারীর বাজারে দাম ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

বড়বাজারে দেখা যায় সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও বিক্রি হচ্ছে উচ্চ দামে। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আদা, রসুনের চড়া দাম মূল্যবৃদ্ধি সূচকে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। শীতের প্রধান সবজি ফুলকপি এবং বাঁধাকপি কৃষকেরা বাজারে তুলতে শুরু করেছে।

ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা। সরকারি নির্ধারিত ৩৬ টাকা মূল্যে আলু বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও সেটি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা প্রতি কেজি। দেশি আলু (পাকড়ি) বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি।

কোনো কোনো বাজারে আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। ৩০ টাকা কেজির মূলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়। বেগুনের দাম এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৬০/৭০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫-৫০ টাকা প্রতি কেজি।

করলার দাম প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুখি কচু ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ টাকা কেজি। ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা পটল ৬০ টাকা পেঁপে ৪০ টাকা লাউ প্রতি ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা, এবং পেঁপে ৪০ টাকা।

লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি, আদা ২৪০টাকা, রসুন ২৪০ টাকা, কাঠ কচু ৪০/৫০টাকা, মিষ্টি লাউ ৫০ টাকা, পালং শাক ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। 

গত সপ্তাহ থেকে এ সপ্তাহে প্রতিটি সবজির দাম ১৫ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

বাজার করতে আসা রিক্সা চালক হালিম বলেন, ‘সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার করতে এসে দেখি সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা গরীব মানুষ। দাম বেশি হওয়ায় অল্প পরিমাণে সবজি কিনেছি। তাতে পুরো সপ্তাহ যাবেনা। এতেই আমার বাজেটের টাকা শেষ। মাছ মাংসের দোকানের দিকে যাওয়া তো আমাদের মত গরিব মানুষের জন্য দুঃস্বপ্ন। সাধারণ মানুষ এসব সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।’ 

জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শামসুল আলম বলেন, ‘আমাদের বাজার মনিটরিং কমিটি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছেন।’ 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *