বিনোদন

১২ হাজার কোটির বাজার দেখলো বলিউড!

ডেস্ক রিপোর্টঃ করোনাকালে বলিউড বক্স অফিস মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তবে ২০২৩ ছিল বলিউডের ফিরে আসার বছর। একাধিক সিনেমা বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙেছে। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেয়া এই ছবিগুলো বলিউডে সুদিন ফিরিয়েছে।

শাহরুখ খানের জওয়ান (৬৪৩.৮৭ কোটি) ও পাঠান (৫৪৩.০৫ কোটি), সানি দেওলের গাদার টু (৫২৫. ৪৫ কোটি) এবং রণবীর কাপুরের অ্যানিমেল (৫৩৭. ১৭ কোটি) ছবিগুলো শুধু ভারতের বক্স অফিসেই পার করেছে ৫০০ কোটির মাইলফলক! এর আগে আমির খানের দঙ্গল (৩৮৭.৩৮ কোটি) ছিল বলিউডের সর্বোচ্চ আয় করা ছবি।

২০২৩ সালে হিন্দি চলচ্চিত্রগুলো সমগ্র ভারতের বক্স অফিস কালেকশনে অবদান রেখেছে ৪৪ শতাংশ। ২০২১ সালে ছিল ১৯ শতাংশ এবং ২২ সালে ছিল ৩৩ শতাংশ। হিন্দি ছবির এই সাফল্যের পেছনে অন্যতম কারণ হলো থিয়েটারে ছবি মুক্তি দেয়া, এমনটাই মনে করেন বক্স অফিস বিশেষজ্ঞরা। কিছু ছবি আবার বলিউডের তারকা ও দক্ষিণ ভারতীয় নির্মাতার শক্তিশালী গল্পের রসায়নে বক্স অফিস মাতিয়েছে।

‘পাঠান’ ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোন ও শাহরুখ খান

২০২৩ সালে বক্স অফিস থেকে আয় হয়েছে ১২ হাজার কোটি রুপির বেশি। এর আগে ২০১৯ সালে বক্স অফিস থেকে আয় হয়েছিল ১০ হাজার ৯৪৮ কোটি রুপি।

পিভিআর ইনক্স-এর নির্বাহী পরিচালক সঞ্জীব কুমার বিজলী এই প্রসঙ্গে বলেছেন,‘এই বছরটি নিঃসন্দেহে বিগত বছরগুলো থেকে ভালো ছিল। অনেক ছবি মুক্তি পেয়েছে, হিট হয়েছে। বোঝা যাচ্ছে যে এক ধরনের ছবি নির্মাণের সুযোগ নেই, দর্শক বিরক্ত হয়ে যাবে। এই খাতের সৌন্দর্য হলো সব পরিসরের, ধরনের এবং বাজেটের ছবি।’

‘রকি অর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবিতে আলিয়া ভাট ও রণবীর সিং

কিছু ছবি হয়েছে ‘স্লিপার হিট’। অর্থাৎ ধীরে হলেও বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করেছে ছবিগুলো। এই তালিকায় আছে রণবীর সিং-আলিয়া ভাটের রকি অর রানি কি প্রেম কাহানি (৩৬০ কোটি), আয়ুষ্মান খুরানার ড্রিম গার্ল টু (১০৪.৯০ কোটি), কার্তিক আরিয়ানের সত্যপ্রেম কি কথা (৭৭.৫০ কোটি), ভিকি কৌশল-সারা আলী খানের জারা হাটকে জারা বাঁচকে (৮৮ কোটি), ভিকি কৌশলের আরেক ছবি  স্যাম বাহাদুর (৭২.৬৫ কোটি) এবং বিক্রান্ত মাসের টুয়েলভথ ফেল (৫২.১৮ কোটি)।

বুকমাইশো-এর সাকসেনা বলেছেন, গত বছর দর্শক বড় বাজেটের তারকাবহুল ছবির পাশাপাশি কম বাজেটের ভালো গল্পের ছবিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। কন্টেন্ট ভালো হলে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তির পর দেখার অপেক্ষা করেননি দর্শক, হলেই দেখে ফেলেছেন।

‘টাইগার থ্রি’তে সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ

বিপরীত চিত্রও আছে। ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ মাত্র ১০০ কোটি কামিয়েছে। ‘টাইগার থ্রি’ আয় করতে পেরেছে ২৮৫ কোটি। সালমান খানের তারকা খ্যাতি সিনেমাগুলোর সাফল্যের জন্য যথেষ্ট ছিল না। অক্ষয় কুমারের সামাজিক বার্তা ছড়ানো কম বাজেটের সিনেমাগুলোও তেমন ভালো ব্যবসা করেনি গত বছর।

গত বছরের বেশ কিছু ছবি ভালো ব্যবসা করলেও সিকুয়েলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায়। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সুপার হিট বলা হলেও পরবর্তী কিস্তিতে আগ্রহী নয় ডিজনি ইন্ডিয়া। জিও স্টুডিও আগ্রহ দেখালেও এখনও এই প্রজেক্টের ব্যাপারে কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আরেকটি ছবি হলো ‘ইমমরটাল অশ্বআত্মা’। এই ছবির দায়িত্ব জিও নিলেও ছবির ব্যাপারে কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি।

তথ্যসূত্র : বলিউড লাইফ

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *