সারাদেশ

গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোট বন্ধের নির্দেশ ইসির

ডেস্ক রিপোর্ট: ছবি: বার্তা২৪.কম

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের ভোট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নিয়ে পরে ইসির পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ফলে আগামী ৭ জানুয়ারি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ভোটগ্রহণ হবে না।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এবার গাইবান্ধা-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা), আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ফারজানা রাব্বী বুবলী (ট্রাক), শামসুল আজাদ শীতল (ঈগল পাখি), বিকল্প ধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) এবং এনপিপির ফারুক মিয়া (আম)।

এর আগে, ভোটের চার দিন আগে গত ৩ জানুয়ারি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এই আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার। সরকারের একতরফা নির্বাচন, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন।

ইসির সাথে ওআইসির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের বৈঠক   ভোট এলো, এলো ভোট

ছবি: বার্তা২৪.কম

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খানের সভাপতিত্বে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন, ফরহাদ আহমেদ খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

বৈঠকে ওআইসির তিন সদস্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল ফর পলিটিক্যালের অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ইউসুফ মোহাম্মদ আল দুবাই।

  ভোট এলো, এলো ভোট ;

ঢাকায় পুরুষের তুলনায় নারী ভোটার কম

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা জেলার আসন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা মহানগরের মধ্যে পড়েছে ১৫টি নির্বাচনী আসন ও বাকি ৫ টি আসন পড়েছে ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানা ও উপজেলায়।

ঢাকা জেলায় মোট ভোটার আছেন ৭৮ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪২ লক্ষ ৯ হাজার ৭১৫ জন। আর মহিলা ভোটার আছেন ৩৯ লক্ষ ৫১ হাজার ৬৩৭ জন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৮৮।

ঢাকা জেলার ২০টি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোট ১৫৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী আছেন ১৩ জন। নৌকা নিয়ে লড়বেন মোট ১৯ জন প্রার্থী, ১৫টি আসনে লাঙ্গল নিয়ে লড়বেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। আর অন্যান্য দলের মধ্যে আছেন আরও ১০২ জন প্রার্থী। এছাড়াও এখান থেকে বিভিন্ন প্রতীকে মোট ২০ জন প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে লড়বেন।

এবারের নির্বাচনে ঢাকা জেলায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩০৪৩টি। এ আসনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার আছে ঢাকা-১৯ আসনে। এ আসনের মোট ভোটার ৭,৫৬,৪১৯। আর সর্বনিম্ন ভোটার আছেন ঢাকা-৪ আসনে। এ আসনটির মোট ভোটার সংখ্যা ২,৫৪,৫৮৪।

জানা যায়, এবারের নির্বাচনে ২৯৯ সংসদীয় আসনে মোট ২৮টি রাজনৈতিক দলের ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী নির্বাচনে লড়াই করবেন। তারমধ্যে ২টি রাজনৈতিক দলের ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন ৪৩৬ জন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। গত ২ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটারসংখ্যা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮৫২।

  ভোট এলো, এলো ভোট ;

‘সমাবেশে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো’

ছবি: বার্তা২৪.কম

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত নোঙর প্রতীকের প্রার্থী শরীফ বাদশা কুতুবদিয়ায় নিজের শেষ নির্বাচনী সমাবেশে হামলার অভিযোগ তুলে বলেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে তিনি নির্বাচন বর্জন করবেন।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, মহেশখালী কুতুবদিয়ার স্থানীয় প্রশাসন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। তারা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর (নৌকা) সমর্থকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আগামীকালের (শনিবার) মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে পথসভায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালিয়ে বেশ কয়েক জনকে আহত করার অভিযোগ তুলেন তিনি।

  ভোট এলো, এলো ভোট ;

নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে বদ্ধপরিকর কুষ্টিয়া প্রশাসন

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে বদ্ধপরিকর কুষ্টিয়া প্রশাসন। এর জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মধ্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্বে করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা।

বৈঠকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা ভোট গ্রহণে নিযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন।

এতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু আনছারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা জানান, এরই মধ্যে নির্বাচন গ্রহণের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাবসহ সকল বাহিনী প্রস্তুত আছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ব্যালটসহ নির্বাচনী কর্মকর্তা উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। দুর্গম তিনটি ইউনিয়নে ব্যালট নিরাপত্তা দিয়ে আগের দিন পাঠানো হবে। থাকবে ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে। অন্যসব ব্যালট ভোটের দিন সকালে কেন্দ্র কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

কুষ্টিয়ার-৪টি আসনে মোট ৫৭৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে ২৪৬টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।

  ভোট এলো, এলো ভোট ;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *