সারাদেশ

হবিগঞ্জে দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ

ডেস্ক রিপোর্ট: তাদের রাজনীতি করার অধিকার নিয়েই প্রশ্ন ড. মিজানের

গণপরিবহণে হামলা ও আগুন দিয়ে যারা জনগণকে জিম্মি করেন তাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনীতি করার অধিকারই থাকা উচিত কিনা- এই প্রশ্নটিই সর্বাগ্রে বিবেচ্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন বিরোধী চলমান সহিংসতায় সাধারণ মানুষের প্রাণহানি, রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির চর্চা-সহ অন্যান্য প্রসঙ্গে বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।

বার্তা২৪.কম: নির্বাচন এলেই যে নাশকতার চিত্র আমরা দেখতে পাই, সাধারণ মানুষ সেখানে সবার আগে আক্রান্ত হন। নির্বাচনের প্রধান অংশীজন হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলো এবিষয়ে কতটুকু দায়িত্বশীল বলে আপনি মনে করেন?

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান: যারা গণপরিবহণে আগুন ধরিয়ে দেয়, সাধারণ যাত্রীদের উপর আক্রমণ করে-প্রাণ হরণ করে, তাদের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা শব্দটি ব্যবহার করাই উচিত নয়। রাজনীতি মানুষ করে জনকল্যাণের জন্য, সেখানে নৃশংস্যতার পন্থা যারা অবলম্বন করে তাদের কোনভাবেই দায়িত্বশীল বলা যায় না। যে ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (৫ জানুয়ারি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়া), যারা ঘটিয়েছে-আমি মনে করি, এরা জনগণের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জনগণেরই উচিত এদের প্রতিহত করা। কিন্তু জনগণের প্রতিভূ হিসেবেই যেহেতু রাষ্ট্র রয়েছে, সেখানে রাষ্ট্রের কাছে নাগরিক হিসাবে আমাদের দাবি, যারা জনগণের বিরুদ্ধে অগতান্ত্রিক ও নৃশংসতম পন্থা অবলম্বন করে; তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এবং অতি দ্রুত তা যেন করা হয়, এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর সুযোগ যেন তারা আর না পায়।

বার্তা২৪.কম: আমরা জানি যে, ঐতিহ্যগতভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বড় নাশকতার ঘটনা ঘটলে আন্দোলন আহ্বানকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। বিএনপি আহুত এই আন্দোলনের সময়ে এত নাশকতার পরও তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেনি। এটি কোন রাজনৈতিক চর্চা হতে পারে?

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান: যারা এসব নাশকতার ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা হচ্ছে ফৌজদারী অপরাধে অভিযুক্ত আসামি। এরা জনগণকে ভীত করার জন্য এসব কর্মকাণ্ড করছে, তারা জনগণকে জিম্মি করে নিজেদের ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ উদ্ধারে এ ধরণের পন্থা বেছে নিয়েছে। এ রকম পন্থা যারা বেছে নেয়, তাদের কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনীতি করার অধিকারই থাকা উচিত কিনা-এই প্রশ্নটিই সর্বাগ্রে বিবেচ্য।

বার্তা২৪.কম: ভোটারদের মানবাধিকার রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের কাছে কি ধরণের পদক্ষেপ আপনি প্রত্যাশা করেন?

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান: আমি তো মনে করি যে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বিজিবি, সেনাবাহিনী পর্যন্ত রাস্তায় নেমেছে। আমি প্রত্যাশা করব, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই বিজিবি, সেনাবাহিনী, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন আরও বেশি নজরদারিতে থাকেন, রাজনীতির নামে কোন দুষ্কৃতিকারী এ সমস্ত অপরাধ করে যেন পার পেয়ে যেতে না পারে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *