কুষ্টিয়া-৩ আসনে নির্বাচন স্থগিতের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর
ডেস্ক রিপোর্ট: কুষ্টিয়া-৩ আসনে নির্বাচন স্থগিতের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর
ছবি: বার্তা ২৪.কম
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন স্থগিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু শহরের আড়ুয়াপাড়া নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিভিন্ন কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের মারধর ও রক্তাক্ত করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। আবার বিভিন্ন কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টেদের জাতীয় পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পরেও কোনো রকমের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রতিটি কেন্দ্রে অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
তিনি জানান, নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি হানিফ প্রতিটি কেন্দ্রে গিয়ে প্রভাব বিস্তার করেছে। প্রশাসন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিশেষভাবে সহযোগিতা করছে। তাই আমি এই নির্বাচন স্থগিত করে পুনরায় নির্বাচন গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি। ঈগল প্রতীকের প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু কুষ্টিয়া পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলীর ছেলে। হেভিওয়েট প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ নির্বাচনের মাঠে তনু ছিল প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী।
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে গুলি করা সেই যুবকের পরিচয় শনাক্ত
প্রকাশ্যে গুলি করা সেই যুবকের পরিচয় শনাক্ত
চট্টগ্রাম-৮ আসনে খুলশীর পাহাড়তলী কলেজ কেন্দ্রে ভোট চলাকালে নৌকা ও ফুলকপি প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে গুলি করা ওই যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম শামীম আজাদ।
স্থানীয়রা বলছেন, শামীম একজন ছাত্রলীগ কর্মী। ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিনের অনুসারী।
তবে কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন বলেছেন, ‘আমার অনেক অনুসারী আছে। কে কোথায় কী করছে, তা আমার পক্ষে খবর রাখা সম্ভব নয়।’
পাহাড়তলী কলেজের সামনের গুলাগুলির ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘গুলির ঘটনা ঘটেছে কি না বা সেখানে কী হয়েছে, আমি জানি না। ঘটনাস্থলে তো আমি ছিলাম না।’
শামীম আজাদকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন কি না জানতে চাইলে ওয়াসিম বলেন, ‘হ্যাঁ, চিনি। সে ছাত্রলীগ কর্মী।’
যিনি গুলি করেছেন তার বিষয়ে জানতে চাইলে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, ‘যিনি গুলি করেছেন তাকে আমরা খুঁজছি।’
রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে নগরের খুলশী এলাকায় পাহাড়তলী কলেজের ভোটকেন্দ্রের সামনে দু’পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হন।
আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মো. মহিউদ্দিন (বাচ্চু)। ফুলকপি প্রতীকের প্রার্থী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম।
;
কোনো ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সামাল দিচ্ছে: ডিবি
ছবি: বার্তা২৪.কম
ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘দেশে অনেক কেন্দ্র, দুই একটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তারপরও সব জায়গায় পুলিশ আছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আছে। যেখানেই ঘটনা ঘটছে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সামাল দিচ্ছে। কোথাও কোনো ঝামেলা হচ্ছে না।’
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও সরকারি সংগীত কলেজের ভোটকেন্দ্র ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষ নির্বিঘ্নে ঘর থেকে বের হয়েছে এবং তারা ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন। উত্তরা, ওয়ারী, লালবাগ, রমনা ডিভিশন ঘুরে আমি ভোট দিলাম তেজগাঁও ডিভিশনে। সব জায়গায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছেন। হরতালের কারণে মানুষ ঘরে বসে নেই, সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ভোট দিচ্ছেন। নির্বাচনে একটু সামান্য ঘটনা ঘটতেই পারে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরক্ষরোক্ষভাবে হচ্ছে। সব জায়গায় মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, সারাদেশে অনেকগুলো কেন্দ্র। সেখানে এক দুইটি জায়গায় সাধারণভাবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। ইউনিয়ন পরিষদ বা যে কোনো নির্বাচনে ঘটনা ঘটতে পারে। এটা জাতীয় নির্বাচনে ঘটনা ঘটতেই পারে। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তারপরও সব জায়গায় পুলিশ আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ডিবি আছে। যেখানেই ঘটনা ঘটছে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সামাল দিচ্ছে। কোথাও কোনো ঝামেলা হচ্ছে না।
;
কক্সবাজার-১ আসনে নির্বাচন বর্জন করলেন এমপি জাফর আলম
ফাইল ছবি
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ভোট বর্জন করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে জাফর আলম লেখেন, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্বে অধিকাংশ কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি ও আমার এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে আমি ভোট বর্জন করলাম।
চকরিয়া-পেকুয়া আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন প্রার্থী। যেখানে বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরারিম।
এদিকে এই আসনে এর আগে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন সিকদার ভুট্রো। এছাড়া দুপুরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ।
;
টাঙ্গাইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন
ছবি: বার্তা ২৪.কম
টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর -গোপালপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন।
এ সময় ইউনুস ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ নৌকা প্রতীকে ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দেয়ায় বাধ্য করেছে অন্যথায় তার কর্মীরা ভোটারদের নানাভাবে হয়রানি ও গালমন্দ করা হচ্ছে। প্রশাসন থেকে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না। ফলে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছেন।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।