জয়পুরহাট

জয়পুরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট:

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জয়পুরহাটের-২ আসনের দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (আইন) মোঃ আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।  

জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছারোয়ার হোসেন স্বাধীন, ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম, আক্কেলপুর  উপজেলার আকন্দপাড়ার এসআই টুটুল, জয়পুরহাট সদর উপজেলার সুন্দরপুরের  মোঃ সুজাইয়াত  এবং কামরুল ও ক্ষেতলালের মোঃ রাশেদ সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেয়া হয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,  জয়পুরহাট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের জহুরুল ইসলামের কর্মীকে মারধরের করা হয়। এঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জয়পুরহাট-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিতে ভাদশা ইউপির চেয়ারম্যান ছারোয়ার হোসেন স্বাধীনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। ক্ষেতলালের চৌমুহনী বাজার ও মিনিগাড়ী গ্রাম থেকে জয়পুরহাট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর কাঁচি প্রতীকের পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। এঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী জয়পুরহাট-২ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিতে  মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম ও মোঃ রাশেদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। 

জয়পুরহাট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আজিজ মোল্লার কাঁচি প্রতীকের ক্যাম্পে অনধিকার প্রবেশ করে পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলে আগুন পুড়িয়ে ফেলা ও  কাঁচি প্রতীকের লোকজনদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আজিজ মোল্লা জয়পুরহাট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আজিজ মোল্লা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

জয়পুরহাট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর কাঁচি প্রতীকের কর্মী শ্রী মানিক চন্দ্র দেবনাথকে কাঁচি প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে যেতে বাঁধা ও তাকে গালিগলাজ, ভয়ভীতি দেখানো হয়। এঘটনায়  স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিতে লিখিত অভিযোগ দেন।  দুটি নির্বাচনী  অনুসন্ধান কমিটি এসব ঘটনার সত্যতা পেয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে। নির্বাচন কমিশন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (আইন) মোঃ আব্দুছ সালাম গত ৫ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পৃথক  চিঠিতে জয়পুরহাট সদর, আক্কেলপুর ও ক্ষেতলাল নির্বাচন কর্মকর্তাদের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন।

আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সামাদ  বলেন, আজ ৬ জানুয়ারি বিকেলে সাড়ে পাঁচটায় নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরীণ সাইটের মামলার নির্দেশনা পেয়েছি। এরপর  জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল করিমের নির্দেশে আমরা রাতে কার্যালয়ে এসেছি। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডলের সহযোগিতায় আমরা রাতেই আদালতে মামলা করব।  

জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়  বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ শনিবার রাতেই  ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথক আমলী আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল করিম  বলেন, নির্বাচন কমিশনের মামলার নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশ পালন করা হচ্ছে।

হারুনুর রশীদ।

 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় ডেইলি জয়পুরহাট-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *