শুরুতেই ফিরলেন দুই ওপেনার
ডেস্ক রিপোর্ট: শুরুতেই ফিরলেন দুই ওপেনার
ছবি: সংগৃহীত
লক্ষ্যটা মামুলির কাতারেই। তবে তা শুরুতেই কঠিন বানিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। আরও একবার ব্যর্থ টপ অর্ডার। কেবল ৩ রান করেই ফিরলেন ওপেনার লিটন দাস।
বিস্তারিত আসছে…
রোমাঞ্চ ছড়িয়ে কিউইদের হারালো অজিরা
ছবি: সংগৃহীত
ম্যাচ গড়িয়েছিল শেষ বল পর্যন্ত, কিন্তু লড়াই করেও জিততে পার লো না নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের হাই স্কোরিং ম্যাচে তাদের হার মাত্র ৪ রানে।
অস্ট্রেলিয়ায় দেয়া ৩৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ আগ্রাসীভাবেই করে নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং উইল ইয়াং অজি বোলারদের উপর চওড়া হয়েই খেলছিলেন। কিন্তু দলীয় ৬১ থেকে ৭২ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে তারা।
কিন্তু এরপরই দলের হাল ধরেন দুই ব্যাটার রাচীন রবীন্দ্র এবং ডেরিল মিচেল। মিচেল ৫৪ রানে আউট হলেও সেঞ্চুরি করেন রাচীন। তবে দলীয় ২৯৩ রানে তিনি আউট হলে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় কিউইরা।
রাচীন খেলেন ৮৯ বলে ১১৬ রানের এক দারুণ ইনিংস। যদিও এরপর দলকে শেষ পর্যন্ত একাই টেনে গিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার জিমি নিশাম। শেষ ২ বলে কিউইদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭ রান। কিন্তু এবার আর নিশাম পারলেন না, কাটা পড়লেন রান আউটে। যার ফলে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড।
অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন পেসার জশ হ্যাজেলউড এবং মিচেল স্টার্ক।
;
সাকিবদের সামনে ডাচদের ২২৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ
ছবি: সংগৃহীত
যেন জোড়ায় জোড়ায় উইকেট তুললেন সাকিবরা। শুরুতেই দুই উইকেট, ৬৩ রানের মাথায় দুটি, ফের ১৮৫ রানের মাথায় দুটি। দলীয় বোলিং নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত থামে ২২৯ নেদারল্যান্ডস। যদিও একসময় মনে হচ্ছিল ইনিংস গুঁটিয়ে যাবে দুই’শয়ের মধ্যেই। তবে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু রান যোগ করেন টেল-এন্ডাররা।
কলকাতায় ইডেন গার্ডেনসে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ওভার বেশ দেখেশুনেই খেলেন দুই ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড ও বিক্রমজিৎ সিং। তবে বিপত্তি আসে পরের ওভারেই। টুর্নামেন্টে অফ-ফর্মে থাকায় নিজেদের সবশেষ দুই ম্যাচের একাদশে ছিলেন না তাসকিন আহমেদ। দুই ম্যাচ ফিরে পেলেন একাদশের জায়গা। এবং নিজের প্রথম ওভারেই দেখালেন চমক। ফেরান বাঁহাতি ব্যাটার বিক্রমজিৎকে (০)। পরের ওভারেই আরেক ওপেনার ও’ডাউডকে খালি হাতে ফেরান শরিফুল ইসলাম।
ওয়েসলি বারেসিকে নিয়ে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে রানের চাকা সচল রেখে এগোচ্ছেন কলিন অ্যাকারম্যান। ৫৯ বলে করেন ৫০ রানের জুটি। তবে এরপর বেশিক্ষণ তাদের থিতু হতে দিলেন না বোলাররা। ৬ বলের মধ্যেই এই দুই ব্যাটারকে দেখান সাজঘরের পথ। ১৩ ওভার ৪ বলে বারেসিকে ফেরানোর উইকেটে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পরের ওভারেই দেখা মেলে ঠিক একই চিত্র, তবে ১৮০ ডিগ্রী উলটোভাবে। সাকিবের বলে এবার ক্যাচ নেন মুস্তাফিজ।
বাস ডি লিডকে এবারের চাপ সামলে এগোতে থাকেন স্কট এডওয়ার্ডস। দলের কঠিন সময়ে খেললেন আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। তবে তিনি ফিরতে পারতেন খালি হাতেই। শুরুর তিন বলেই দুবার ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তবে সেটিকে তালুবন্দি করতে পারেননি ফিল্ডাররা। তবে বেশিক্ষণ টিকেননি ডি লিড (১৭)। দলীয় ১০৭ রানের মাথায় ফেরেন তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে।
তবে সাকিবদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ষষ্ঠ জুটি। সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখ্টকে নিয়ে দারুণ ছন্দে এগোতে থাকেন এডওয়ার্ডস। ১৭ ওভার পর সেই কাঙ্ক্ষিত উইকেট এনে দেন মুস্তাফিজ। ৮৯ বলে ব্যক্তিগত ৬৮ রানে এডওয়ার্ডস ফিরলে ভাঙে তাদের ৭৭ রানের জুটি। পরের ওভারেই এঙ্গেলব্রেখ্টকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ফেরান শেখ মাহেদী। শেষে লোগান ভন বিক ১৬ বলে খেলেন ২৫ রানের এক ক্যামিও ইনিংস। শরিফুল, তাসকিন, মাহেদী ও মুস্তাফিজ সকলে নেন দুটি করে উইকেট।
;
ছক্কার রেকর্ড অজিদের
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা মোট ২০টি ছক্কা মেরেছেন
ওপেনিং জুটির তান্ডবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়া। কিউইদের সঙ্গে ৩৮৮ রানের এই সংগ্রহ অজিদের সর্বোচ্চ রান।
শনিবার ধর্মশালায় টসে জিতে অজিদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েই ভুল করে ফেললেন লাথাম। শুরু থেকেই মারমুখী ব্যাটিং প্রদর্শন করতে থাকে ওয়ার্নার-হেড জুটি। প্রথম পাওয়ার-প্লে তে বিনা উইকেটে সেই জুটি সংগ্রহ করে ১১৮ রান। অল্পের জন্য নিজের শতক পুরো করতে পারেননি ওয়ার্নার, কিন্তু তাঁর সহযোগী ট্র্যাভিস হেড ৫৯ বলে ঠিকই এবারের আসরে নিজের প্রথম শতকটি তুলে নেন। যেকোনো অস্ট্রেলিয়ানের জন্য প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে নামা প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি করার অনবদ্য রেকর্ডটিও গড়ে ফেললেন তিনি।
২০১৬ সালে অজিরা করেছিল ৩৭৮ রান, বিশ্বকাপে কিউইদের বিপক্ষে যে কোনো দলের জন্যই এটি সর্বোচ্চ রান। ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়া আরও একবার করেছিল ৩৪৮ রান। বিশ্বকাপে কখনও ৩০০ এর বেশি রান তাড়া করে জেতেনি কিউইরা।
আজ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা মোট ২০টি ছক্কা মেরেছেন। ওয়ানডে ইতিহাসে এক ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এটি। আগের রেকর্ডটি ছিলো ভারতের বিপক্ষে ২০১৩ সাথে বেঙ্গালুরুর মাঠে ১৯ টি ছক্কা। ২০তম ওভারে ওয়ার্নার ফিরে যাওয়ার সময় শুরুর জুটির রান রেট ছিল ৯.১৩। ওয়ানডেতে অন্তত ১০০ বল খেলা উদ্বোধনী জুটির মধ্যে এটাই সেরা রান রেট। আগের সেরাটি ছিলো ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয়ের ৯.০৮ , যেটি তারা করেছিলো ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
;
অজিদের বিপক্ষে সমান তালে লড়ছে কিউইরা
ছবি: সংগৃহীত
ধর্মশালায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের ইনিংসের শুরুটা বেশ ভালোই করেছে নিউজিল্যান্ড। ২২ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৫৪ রান।
অস্ট্রেলিয়ায় দেয়া ৩৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ আগ্রাসীভাবেই করে নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং উইল ইয়াং অজি বোলারদের উপর চওড়া হয়েই খেলছিলেন। কিন্তু দলীয় ৬১ থেকে ৭২ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে তারা।
কিন্তু এরপরই দলের হাল ধরেন দুই ব্যাটার রাচীন রবীন্দ্র এবং ডেরিল মিচেল। মিচেল এখন পর্যন্ত অপরাজিত আছেন ৫১ রানে এবং রবীন্দ্র অপরাজিত আছেন ২৯ রানে।এখন পর্যন্ত অজিদের হয়ে দুইটি উইকেটই নিয়েছেন পেসার জশ হ্যাজেলউড।এর আগে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ৩৮৮ রানের পাহাড়সম পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া। তাদের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার ট্রাভিস হেড।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।