সারাদেশ

পঞ্চগড়ের ২ আসনে নৌকার জয়

ডেস্ক রিপোর্ট: পঞ্চগড়ের ২ আসনে নৌকার জয়

ছবি: বার্তা২৪.কম

রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়ের দুইটি আসনে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার দুই প্রার্থী। এর মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনে নৌকার প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাত সম্রাট ট্রাক প্রতিকে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২১০ ভোট। এদিকে পঞ্চগড়-২ আসনে নৌকার প্রার্থী নুরুল ইসলাম সুজন ৫ম বারের মত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ৪র্থ বারের মত এবার ১ লাখ ৮১ হাজার ৭২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর রহমান রিপন পেয়েছেন ৭৬২৭ ভোট।

রোববার রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন। এসময় পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিয়াজ উদ্দীন, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুধাংসু কুমার সাহা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

চাঁদপুরের ৫ আসনেই নৌকার জয়

চাঁদপুরের ৫ আসনেই নৌকার জয়

উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের ৫ টি আসনেই শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

৭ জানুয়ারি রোববার রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান।

তথ্য মতে, চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনে ড. সেলিম মাহমুদ নৌকা নিয়ে পেয়েছেন ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৩০৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামি ফ্রন্টের সেলিম প্রধান চেয়ার প্রতীকে ৫ হাজার ৭৭৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

চাঁদপুর-২ মতলব আসনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৯৯ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসফাক আহমেদ ঈগল প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৩৩৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

চাঁদপুর-৩ সদর ও হাইমচর আসনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নৌকা প্রতীকে ১ লক্ষ ৮ হাজার ১৬৬ ভোট পেয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া ঈগল প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে সাংবাদিক মুহাম্মদ শফিকুর রহমান নৌকা প্রতীকে ৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট পেয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ আসনেরই সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া ঈগল প্রতীক নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৩৫ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। তাদের দুজনের ভোটের ব্যবধান ছিলো মাত্র ১ হাজার ৩৩ ভোট।

চাঁদপুর-৫ আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ৮৩ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মাইনুদ্দিন ৩৮ হাজার ৬৩৬ ভোট ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সফিকুল আলম ২২ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

চাঁদপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহারে সকলে সহযোগিতা করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’ 

এর আগে সকাল ৮ টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

;

১৪ দলের শরিকদের আসন এক ধাক্কায় ৮ থেকে কমে ২

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকরা মাত্র দুটি আসনে জয়লাভ করেছে। অনেক দেনদরবার করে এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ছয়টি আসনে সমঝোতা হয়। এর মধ্যে জাসদ তিনটি, ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি ও জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি। তবে জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির একটি করে আসনে জয় পেয়েছে। সমঝোতার বাকি চার আসনে হেরেছে শরিকরা।

বর্তমানে ১৪ দলের শরিকদের ৮ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য রয়েছেন। এবার এক ধাক্কায় তা কমে দুই-এ দাঁড়াল।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবার বরিশাল-২ আসন থেকে ও বগুড়া থেকে জাসদের রেজাউল করিম তানসেন বগুড়া-৪ আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। হেরেছেন টানা ৩৭ বছরের সংসদ সদস্য জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার মতো নেতা। এছাড়া লক্ষ্মীপুর-৪ আসন থেকে হেরছেন জাসদ নেতা মোশাররফ হোসেন।

বরিশাল-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৩৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৬১ ভোট। এ নিয়ে জোট থেকে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি তিনবার ঢাকা-৮ থেকে নির্বাচিত হন।

বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীকে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা ডা. জিয়াউল হক মোল্লা পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট। এ আসনে মোট ভোটারদের মধ্যে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ২০১৪ সালে এ আসন থেকে প্রথম নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে হারলেও ২০২৩ সালের উপ-নির্বাচনে তিনি জয়ী হন।

;

পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী জিল্লুল হাকিম

জিল্লুল হাকিম

পঞ্চমবারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন রাজবাড়ী-২ (পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিকী ঈগল প্রতীক নিয়ে ৪৬ হাজার ৪৬৬ পেয়েছেন। মো. জিল্লুল হাকিম ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৩৮ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু কায়সার খান বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

রাজবাড়ী-২ (পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী) আসনে ১৯৪ কেন্দ্রের মধ্যে ফলাফল প্রাপ্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১৯৪টি। আসনটিতে ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোটার উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় মো. জিল্লুল হাকিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত করেছেন। আমার এলাকায় যে অসমাপ্ত উন্নয়নমূলক কাজ রয়েছে সেগুলো দ্রুত শেষ করতে চাই। এ সময় তিনি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া আদায় করেন এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার আনন্দবাজার গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মো. আবুল হোসেনও ছিলেন একজন সমাজসেবক এবং শিক্ষানুরাগী। জিল্লুল হাকিমের পৈতৃক বাড়ি পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) পাশ করেছেন।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মো. জিল্লুল হাকিম মুক্তিযুদ্ধকালীন গোয়ালন্দ মহকুমা কমান্ডার ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্যের পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। তার স্ত্রী সাঈদা হাকিম ও দুই ছেলে মিতুল হাকিম ও রাতুল হাকিমও সফল ব্যবসায়ী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি মোট ছয়বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। ১৯৯৬ সালে প্রথম নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরের বার অর্থাৎ ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নাসিরুল হক সাবুর কাছে হেরে যান তিনি। পরবর্তী ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নাসিরুল হক সাবুকে পরাজিত করে ফের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জিল্লুল হাকিম।

২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। সর্বশেষ তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হলেন।

;

মধ্যরাতে ইসিতে নৌকার প্রার্থী, দাবি ভোট পুন:গণনার   ভোট এলো, এলো ভোট

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী প্রথমে বিজয়ী ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিছুক্ষণ পর আবার ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ট্রাক প্রতীকে মোল্লা সজল ভোট পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৩১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী হারুনর রশীদ (মুন্না) ৫০ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়েছেন।

তবে নৌকার প্রার্থী মুন্নার দাবি তিনি সব কেন্দ্রে বিজয়ী হয়েছেন। এই জন্য তার সমর্থকেরা বিজয় মিছিলের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কেন্দ্র ভিত্তিক ভোট পুনরায় গণনার দাবি নিয়ে সোমবার মধ্যরাতে ইসিতে এসেছেন মুন্না।

রোববার (৭ জানুয়ারি) মধ্যরাতে নির্বাচন কমিশনে এসে ভোট পুনরায় গণনা করার দাবি জানান তিনি।

মুন্না বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমি বিজয়ী হয়েছি। আমার দল আওয়ামী লীগ এটা দেখবে। ভোট কারচুপি হয় নি তবে গণনায় ভুল হয়েছে। সহকারী রিটার্নিং অফিসার ভুল করেছে। আমরা ৬১৩ ভোটে জিতেছি। কিন্তু ২৯৭ ভোটে হার দেখানো হয়েছে। ১৮৭টি কেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনার দাবি জানায়।
 

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *