সারাদেশ

‘গুড সিটিজেনশিপ অ্যাওয়ার্ড’ জিতলেন ১ম বাংলাদেশি 

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের তরুণ সমাজকে ডিজিটাইল ডিভাইসে আরও বেশি ট্রেনিং দেওয়া, তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা, কারিগরি-ভোকেশনাল ট্রেনিং দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।’

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় গণভবনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইন্ডাস্ট্রি ফোর্থ রেভ্যুলুশনের জন্য প্রস্তুত করবো আমরা। সেভাবে আমাদের ইয়াং জেনারেশনকে তৈরি করবো।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল ২০৩০ পর্যন্ত দিয়েছে, আমরা রিকুয়েষ্ট করেছি ৩২ পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য। সে ঘোষণাও আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যেগুলো আমাদের দেশের জন্য কার্যকর সেটা করবো। আমাদের লক্ষ ২০৪১। বাংলাদেশ হবে, স্মার্ট বাংলাদেশ। সেখানে কোনো হতদরিদ্র থাকবে না। দারিদ্রের হার আমরা কমাবো। প্রত্যেক মানুষের জন্য জব অপরচুনিটি সৃষ্টি করবো। প্রত্যেকের ব্যাসিক নিড খাদ্য, বাসস্থান ও শিক্ষা যা যা আমরা করছি সেগুলোকে আরও সাসটেইনেবল করবো।

আমরাই জিতেছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা এখন আশাবাদী, সরকার গঠন করবো। সরকার গঠন করে আমাদের কাজ হচ্ছে, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু। সে কাজটা আমাদের করতে হবে। সেখানে যেমন কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, আবার কিছু সুযোগ সুবিধাও আমরা পাবো।

তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী, কীভাবে আগাবো, কীভাবে কাজ করবো ইতোমধ্যে আমরা সে প্রস্তুতি নিয়েছি। সরকারে থাকতে আমরা কমিটি/সাব কমিটি করে দিয়েছি, কাজ করছি। সে কাজগুলো সম্পন্ন করবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে যারা ভূমিহীন, ঘরহীন, আমরা তাদের বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি। সামান্য কিছু বাকি আছে আমাদের সেটা সম্পন্ন করতে হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ ঘর পাবে এবং সুন্দরভাবে বাঁচবে। বিদ্যুৎ সারা দেশে দিতে পেরেছি, সেটাকেও আমাদের টেকসই করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি, খাদ্য সংরক্ষণ সে ব্যবস্থা করে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ উৎক্ষেপণ করেছি, ২ করতে হবে। কমিউনিকেশনের জন্য আরও উন্নতমানের স্যাটেলাইট আমরা উৎক্ষেপণ করবো। সে পরিকল্পনা আমাদের আছে। তাছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার যে উন্নয়ন আমরা করছি সেটা গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত আমরা নিয়ে গেছি। আরও কিছু জায়গা বাকি আছে সেগুলো আমরা করবো।

হতদরিদ্রের হার শূন্যে নামিয়ে আনা আওয়ামী লীগের লক্ষ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের হার ছিল ৪১.১৬ ভাগ, সেটাকে কমিয়ে ১৮.৭ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আমাদের লক্ষ্য এই দারিদ্রের হার কমানো। সেটা আমরা পারবো বলে বিশ্বাস আছে। দ্বিতীয়টা হচ্ছে এক্সট্রিম প্রোপার্টি, যা হতদরিদ্র সেটা ছিল ২৫.১ ভাগ, সেটা ৫.৬ ভাগে নামিয়েছি। এখন আমার লক্ষ দেশের একটি মানুষ ও হতদরিদ্র থাকবে না। অন্তত সবার জীবন একটু হলেও ভাল হবে। সেভাবে আমাদের কিছু কাজ বাকি আছে। সেটা আমরা করতে পারবো।

তিনি বলেন, বন্ধু প্রতিম দেশ থেকে সবসময় আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি। তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাছি। পররাষ্ট্র নীতি আমাদের খুব স্পষ্ট। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়। কারণ আমরা সবার সাথে বন্ধুত্ব চাই। কারো সাথে আমাদের ঝগড়া করার নেই। কারণ আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে। উন্নয়নে যারা আমাদের সহযোগিতা করবেন, সেটা আমরা হিসেব করেই নিবো এবং আমাদের দেশকে উন্নত করবো।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *