রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটে আগুন
ডেস্ক রিপোর্ট: সাভার ও আশুলিয়ায় কোন চাঁদাবাজ রাখব না বলে জানিয়েছেন ঢাকা-১৯ এর সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। যারা ফুটপাত ও বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করেন তাদের ভাল হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নবনির্বাচিত এই সংসদ সদস্য আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় সিক্ত হন তার কর্মী-সমর্থকদের ভালোবাসায়। হাজারও সমর্থক ও সাধারণ জনগণ তাকে ফুলের মালা নিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় সাংবাদিকদের সাথে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
সাভার-আশুলিয়ায় ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান ও সাবেক সংসদ সদস্য মুরাদ জংকে হারিয়ে ভোটের লড়াইয়ে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
জাতীয় নির্বাচনে অশনিসংকেত আশুলিয়ার ধামসোনা ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে মাত্র দুই মাস আগে পদত্যাগ করেন। তিনি আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে সম্মানিত ভোটারগণের ভোটে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আমি আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি, সম্মানিত ভোটারদের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। হেভিওয়েট প্রার্থী আপনাদের মিডিয়ার সৃষ্টি। আপনারা মিডিয়ারা বিভিন্ন সময় প্রচার করেছেন ওই দুইজন প্রার্থীকে নিয়ে। আমাকে নিয়ে সেরকম প্রচারণা হয়নি। আমি মনে মনে হেসেছি, যেই সংসদ সদস্য হোক, আমাকে টপকিয়ে হতে হবে। তবে আমার উচ্চতা অনেক বেশি, আমাকে টপকানো অনেক কঠিন কাজ। কিন্তু আমার কথা, হয়ত যারা নিজেদের হেভিওয়েট মনে করেছেন, কিংবা যারা সাভার আশুলিয়ার সম্মানিত হেভিওয়েট ব্যক্তিবর্গ নিজেদের মনে করেছেন তারা হয়ত এগুলো আমলে নেয়নি। কিন্তু সম্মানিত ভোটারগণের অনুভূতি আমি বুঝি, তাদের পালস বুঝি, এ কারণে আমি আগেই বলেছিলাম জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ নিশ্চিত।
তিনি আরও বলেন, সম্মানিত ভোটারগণ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যু চায় না। এজন্য আমাকে তারা ভোট দেবেন, এই বিশ্বাস আমার ছিল। এজন্যই বাংলাদেশের মধ্যে আমার মনে হয় সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন ঢাকা-১৯ আসনে হয়েছে। সেই আসনে সম্মানিত ভোটারগণ ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে আমাকে বিজয়ী করেছেন। আমি যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেই প্রতিশ্রুতি আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।
চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, সাভার ও আশুলিয়ায় কোন চাঁদাবাজ রাখবো না। যারা ফুটপাত ও বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করেন তাদের ভাল হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি। সেই সাথে সন্ত্রাসীদের প্রয়োজনে সাভার ছাড়া হতে হবে। সে যে কেউ হোক না কেন। আমি চাই সাভারকে উন্নয়নের রোল মডেল করার।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনে মোট ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সংসদ সদস্য ঈগল মার্কার মুরাদ জং পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট। আর নৌকা প্রতীক নিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৬ জন আর এবারে মোট ভোট সংগ্রহ হয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৬৫০টি।
উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর দেশের জনবহুল ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাছে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন তিনি। নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র ভাবে ট্রাক মার্কায় নির্বাচনে অংশ নেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।