শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
ডেস্ক রিপোর্ট: লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা চলতি সপ্তাহে বৈরুতে হামাস নেতাকে হত্যার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে ৬২টি রকেট ছুড়েছে।
এদিকে, গত শনিবার বৈরুতে লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় লেবাননকে আঞ্চলিক সংঘাতে টেনে নেওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান।
হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মহান নেতা শেখ সালেহ আল-আরুরিকে হত্যার অপরাধের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসাবে উত্তর ইসরায়েলের মেরন বিমান নিয়ন্ত্রণ ঘাঁটিতে ৬১টি বিভিন্ন ধরণের রকেট নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লাহ।’
আল-জাজিরা জানিয়েছে, এর আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছিল, প্রায় ৪০টি রকেট মেরন বিমান নজরদারি ঘাঁটির দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে, ওই হামলায় হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি।
পরে শনিবার লেবাননের জামা’আ ইসলামিয়া গ্রুপ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা উত্তর ইসরায়েলের কিরিয়াত শমোনায় দুটি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
লেবাননে নিযুক্ত আল-জাজিরার সংবাদদাতা বলেছেন, হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় গুলি বিনিময় অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি আক্রমণ লেবাননের ভূখণ্ডের বেশ ভেতরে আঘাত হেনেছে এবং সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার ভেতরের একটি বাড়িতে আঘাত হেনেছে।
অন্যদিকে গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ বলেছেন, লেবাননকে অবশ্যই হামাসের উপ-প্রধান আল-আরুরির হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।
গত মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে ইসরায়েলের হামলায় হামাস নেতা আল-আরুরি নিহত হন।
নাসরাল্লাহ ইসরায়েলকে সংঘাত সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেছেন, যদি ইসরায়েল লেবাননের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তার গ্রুপের লড়াইয়ের জন্য কোনও নিয়ম থাকবে না।
ইইউ পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল শনিবার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক উত্তেজনা এড়াতে আরুরির হত্যা অত্যাবশ্যক ছিল।
ইসরায়েলকে সতর্ক করেও তিনি বলেছেন, ‘আঞ্চলিক সংঘাতে লেবাননকে টেনে নেওয়া এড়াতে হবে। আঞ্চলিক সংঘাত থেকে কেউ জিতবে না।’
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, দক্ষিণ লেবাননে যেকোনও বড় মাপের বোমা হামলা এই অঞ্চলে একটি বিস্তৃত বিস্ফোরণ ঘটাবে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।