রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় ২ যুবক নিহত
ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় ২ যুবক নিহত
ফাইল ছবি
রাজধানীতে পৃথক ট্রেনের ধাক্কায় ২ যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাত দশটায় মগবাজার ও রাত সাড়ে দশটায় বিমানবন্দর থেকে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন- বিমানবন্দর রেলস্টেশনে অজ্ঞাত (২৩) ও মগবাজার রেলগেটে মো. রেজওয়ান খান সাইমন (২৫)।
রেজওয়ান খান সাইমনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী বলেন, মগবাজার রেলগেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবক পড়ে থাকে। পরে আমরা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে আমরা ঐ যুবকের নাম রেজওয়ান খান সাইমন জানতে পেরেছি। তার বাসা রমনা থানার ৪১৭ নয়াটোলা এলাকায়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, মগবাজার ট্রেনের ধাক্কায় আহত এক যুবককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি কমলাপুর রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
অন্যদিকে পৃথক আরেক ঘটনায় বিমানবন্দর রেলস্টেশনের রেললাইন পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত যুবক গুরুতর আহত হয়। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রেলওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সানু মং মারমা।
তিনি বলেন, সোমবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের রেললাইন পারাপারের সময় অজ্ঞাত ওই যুবক ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে রাত পৌনে দশটার দিকে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। আমরা ঘটনাস্থলের আশেপাশের লোকদের জিজ্ঞেস করে তার পরিচয় জানতে পারিনি। তবে প্রযুক্তির সহায়তায় তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে
জামালপুরে পরিত্যাক্ত জায়গায় পড়ে আছে মর্টার শেল
ছবি: বার্তা২৪.কম
জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে পরিত্যাক্ত জায়গায় একটি মর্টার শেলের সন্ধান পাওয়া গেছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কোজগড় এলাকায় মহাসড়কের পাশে এই মর্টার শেলটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহরাব হোসেন ও র্যাবের সদস্যরা। মর্টার শেলটি দেখতে ভীড় করছে উৎসুক জনতা। তাই এর আশপাশের জায়গাজুড়ে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে, জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টে যোগাযোগ করেছি। আগামীকাল সকালে ঘাটাইল ক্যান্টনম্যন্ট থেকে সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এসে মর্টার শেলটি উদ্ধার করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে মর্টার শেলটি কিভাবে এখানে এসেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।
স্থানীয় শ্রমিক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বোমার মতো একটি বস্তু দেখতে পাই। পরে আমি বিষয়টি আমার দোকান মালিক ও স্থানীয় মেম্বারকে জানাই।
এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঘটনা স্থলে এসে জায়গাটি ঘিরে রাখে। পুলিশের সাথে র্যাবের সদস্যরাও উপস্থিত হয় ঘটনা স্থলে।
;
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানালেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান
ছবি: বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইফুল আলম মাসুদ।
টানা চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সাইফুল আলম মাসুদ।
এ সময় তার সঙ্গে ছেলে আহসানুল আলম মারুফ, আশরাফুল আলম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ভারত, রাশিয়া ও চীনসহ ১১ দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার শুভেচ্ছা জানান। নিজ নিজ দেশের পক্ষ থেকে ফুলেল অভিনন্দন জানান তারা।
টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে ২০১৮ সালেই রেকর্ড গড়েছিল আওয়ামী লীগ। চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে নতুন নজির সৃষ্টি করেছিলেন শেখ হাসিনা। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সেই রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করছে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল ও তার সভাপতি।
;
ভোট বেশী পড়েছে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে, কম পড়েছে ঢাকা-১৫ আসনে ভোট এলো, এলো ভোট
ছবি: বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে, ৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ঢাকা-১৫ আসনে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো ফলাফল একীভূত করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জ- ৩ আসনে ভোটের হার সবচেয়ে বেশী। এই আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন দুইলাখ ৪৯ হাজার ৯৯২ ভোট। ভোটের হার ৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। এই আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৯০ হাজার ২৯৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী এম নিজাম উদ্দিন ভোট পেয়েছেন ৪৬৯ ভোট।
আর সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ঢাকা-১৫ আসন। এখানে ভোট পড়েছে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫০৭ জন। নৌকা প্রতীকে কামাল আহমেদ মুজমদার ভোট পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৩২ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভোট পেয়েছে লাঙ্গলের প্রার্থী সামসুল হোক পেয়েছেন দুই হাজার ৪৪ ভোট।
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনের তফসিল ঘোষণা করেন। এর মধ্যে এক বৈধ প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন বাতিল করে ইসি। ময়মনসিংহ-৩ আসনে অনিয়মের কারণে ভোটের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়। সব মিলিয়ে ২৯৮ আসনের ফলাফল প্রকাশ করে ইসি।
;
ভোটের হারে এগিয়ে আ.লীগ, জাপা’র অর্জন সাড়ে ৩ শতাংশ ভোট এলো, এলো ভোট
ছবি: বার্তা২৪.কম
সদ্য শেষ সংসদ নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ। তার মধ্য সবচেয়ে বেশী ভোট পেয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৬৫ শতাংশ। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৪ শতাংশ ভোট। আর সংসদে বিরোধী হতে যাওয়া জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র তিন শতাংশ ভোট।
সারাদেশ থেকে পাঠানো নির্বাচন কমিশনে তৈরী করা ফলাফল যাচাই বাছাই করে এই তথ্য পাওয়া যায়।
ইসির তৈরি করা ফলাফলে দেখা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২২ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ীরা তিন কোটি ২১ হাজার ২০০ ও দলটির বিজিত প্রার্থীরা ৩৮ আসনে ২৫ লাখ দুই হাজার ১১৮ ভোট অর্থাৎ দলটির প্রার্থীরা মোট ভোট পেয়েছেন প্রায় তিন কোটি ২৫ লাখ ২৩ হাজার ৩১৮ ভোট।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) জয়ী ১১ প্রার্থী নয় লাখ ৪৩ হাজার ৫১১ ভোট পেয়েছেন, দলটির বিজিত প্রার্থীরা পেয়েছেন সাত লাখ ৬২ হাজার ৩৪২ টি ভোট। অর্থাৎ জাপার প্রার্থীরা পেয়েছেন প্রায় ১৭ লাখ ৫ হাজার ৮৫৩ ভোট।
অন্যদিকে ৬২টি আসনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৫০ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৯ ভোট। আর স্বতন্ত্র থেকে বিজিত প্রার্থীরা ১৫৪ আসনে পেয়েছেন ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ৫৩৪ ভোট। অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন প্রায় এক কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ৮৯৩ ভোট।
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন চার কোটি ৬৪ লাখ ৬৪ ভোট। অবশিষ্ট ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার ৪০৩ ভোট জাতীয় পার্টি-জেপি, জাসদ ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির জয়ী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং অন্য ২৩টি দলের বিজিত প্রার্থীরা পেয়েছেন, যা প্রদত্ত ভোটের ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ।
২৯৮টি আসনের মোট ভোটার ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৪১ জন। ভোট পড়েছে চার কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৭ জন (৪২ শতাংশ)। এ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬৫ শতাংশ ভোট।
আর জাতীয় পার্টি পেয়েছে ৩ দশমিক ৪ এক শতাংশ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ ভোট।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।