আন্তর্জাতিক

চীনকে পর্যটক পাঠানো বাড়ানোর আহ্বান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক বিতর্কের কারণে ভারতীয় পর্যটকদের ভ্রমণ বাতিলের হিড়িক পড়ায় মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) চীনকে মালদ্বীপে পর্যটক পাঠানোর প্রচেষ্টাকে বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজু।

চীনে তার পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার ফুজিয়ান প্রদেশে মালদ্বীপ বিজনেস ফোরামে তার ভাষণে চীনকে দ্বীপ রাষ্ট্রটির ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে অভিহিত করেছেন মুইজু।

তিনি বলেন, ‘চীন আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে একটি।’

তিনি ২০১৪ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কর্তৃক চালু করা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের প্রশংসা করে বলেন, তারা মালদ্বীপের ইতিহাসে প্রত্যক্ষ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করেছে ।

তিনি মালদ্বীপে পর্যটকদের প্রবাহ জোরদার করার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান।

তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘কোভিডের আগে চীন আমাদের (মালদ্বীপের) এক নম্বর বাজার ছিল এবং এটি আমার লক্ষ্য যে, আমরা চীনে ওই অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করবো।’

এ ছাড়াও মালদ্বীপের মিডিয়া জানিয়েছে, দুই দেশ ভারত মহাসাগরের দ্বীপে একটি সমন্বিত পর্যটন অঞ্চল গড়ে তুলতে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্পে স্বাক্ষর করেছে।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মালদ্বীপের কিছু মন্ত্রীদের অবমাননাকর মন্তব্যের পরে ভারতের সঙ্গে দ্বীপ রাষ্ট্রটির সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

মুইজ্জুর সরকার অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অবমাননাকর পোস্টের জন্য তিনজন উপমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে।

এ ছাড়াও, ওই অবমাননাকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে মালদ্বীপ অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি (এমএটিআই)।

এদিকে মুইজ্জু বলেছেন, তার প্রশাসন চীনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি এটিকে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রতীক হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

মালদ্বীপ এবং চীন ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে চীনপন্থী প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন প্রশাসনের সময় এফটিএ স্বাক্ষর করেছিল। তবে তার উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহের প্রশাসন চুক্তিটি বাস্তবায়ন করেনি বলে মালদ্বীপের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *