মামলায় অভিযুক্ত করা হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে: ট্রাম্প
ডেস্ক রিপোর্ট: মামলায় অভিযুক্ত করা হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে: ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত
ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেলে ওয়াশিংটনের একটি আপিল আদালতে শুনানিতে অংশ নিয়ে একথা জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক প্রতিবেদনে ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, তাকে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে কাজ করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এ সময় চলমান মামলায় তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হলে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির হুমকি দেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি তারা আমাকে নির্বাচন থেকে দুরে সরিয়ে রেখে জয়ী হতে চায়। তবে এমনটি করতে দেয়া হবে না। দেশে বিশৃঙ্খলা হবে। প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দেয়া হবে।’
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি কোনো ভুল করিনি, একেবারেই ভুল কিছু করিনি। আমি দেশের জন্য কাজ করছি এবং ভোটার জালিয়াতির বিরুদ্ধে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি, কারণ আমাদের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।
এর আগে সোমবার (৮ জানুয়ারি) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্ট ও সরকারপ্রধান হিসেবে অবশ্যই আমার দায়মুক্তির সুবিধা ছিল।’
চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন কৌঁসুলিদের অভিযোগ, ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়ের পর ফল পাল্টে দিতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের কাজে বাধা দেওয়া এবং সরকারি ব্যবস্থার সঙ্গে প্রবঞ্চনার চেষ্টা করেছিলেন।
ট্রাম্পের যুক্তি, ২০২০ সালের ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে, তা খারিজ করে দেয়া উচিত। কারণ, দাফতরিক দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো কাজের জন্য সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা যায় না।
গত ১ ডিসেম্বর ট্রাম্পের ওই যুক্তি খারিজ করে দেন বিচারক তানিয়া চুটকান। এর বিরুদ্ধে আপিল আদালতে আবেদন করেন তিনি। ট্রাম্পের ওই আবেদনের ফলে তার বিরুদ্ধে করা মামলার বিচারকাজ স্থগিত হয়ে যায়। আগামী মার্চে ওই বিচারকাজ আবার শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করবে ইইউ
বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করবে ইইউ
রাজনৈতিক, মানবাধিকার ও ব্যবসা বাণিজ্যে একযোগে বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইইউ এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের ভিত্তিতে ইইউ-বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারি পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে নির্বাচনে সব দল অংশ না নেয়ায় ইইউ দুঃখ প্রকাশ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, ইইউ তার নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মিশনের আসন্ন প্রতিবেদন এবং সুপারিশগুলো প্রকাশ করার জন্য কর্তৃপক্ষের সমঝোতাকে স্বাগত জানায়। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার একই চেতনায়, নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ সময়মতো এবং পূর্ণ তদন্ত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে ইইউ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইইউ নির্বাচনকালীন সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহবান জানায়। আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, যথাযথ প্রক্রিয়া এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে এ সময় এবং তার পরেও সম্মান করা এবং সমুন্নত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, বিরোধী ব্যক্তিদের আটক অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
ইইউর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানকে সম্মান করতে এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপে সম্পৃক্ত হতে ইইউ সব অংশীদারকে জোরালভাবে উৎসাহিত করে। গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ‘সেন্সরশিপ’ বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করে ইইউ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ‘জিএসপি প্লাস’ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা পাওয়াসহ রাজনৈতিক, মানবাধিকার, বাণিজ্য এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে চিহ্নিত করে এমন অগ্রাধিকার নিয়ে ইইউ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।
;
ফের ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেরিং তোবগে
ছবি: সংগৃহীত
ভুটানের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) জয় পেয়েছে।
দুই–তৃতীয়াংশ আসনে জয় পাওয়ার মধ্য দিয়ে আবারও ক্ষমতায় যাচ্ছে দলটি। নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেরিং তোবগে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) চতুর্থ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ বছর আগে ২০০৮ সালে দেশটিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর এটি চতুর্থ নির্বাচন।
এই নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, জাতীয় সংসদের ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩০টিতে জয় পেয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, প্রথম জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শেরিং তোবগের দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)। ভুটান টেনড্রেল পার্টি (বিটিপি) পেয়েছে ১৭টি আসন।
ভুটানের নির্বাচন কমিশন বুধবার (১০ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল ঘোষণা করবে। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেরিং তোবগে। এর আগে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তারও আগে ভুটানের প্রথম সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন এই শেরিং তোবগে।
;
তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন ইমরান ও বুশরা
ইমরান খান। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের আগে ইমরান খানকে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) অভিযুক্ত করেছেন দেশটির দুর্নীতিবিরোধী আদালত।
ইসলামাবাদভিত্তিক জবাবদিহিতা আদালতের বিচারক মুহাম্মদ বশির রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে শুনানি পরিচালনা করেন, যেখানে ইমরানকে বন্দী রাখা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছিল দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।
এনডিটিভি জানিয়েছে, অভিযোগ পড়ার সময় ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি উপস্থিত ছিলেন। দুজনই অবশ্য দোষ স্বীকার করেনি।
একদিন আগে ইমরানের স্ত্রী আদালতে হাজির হতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত শুনানি পিছিয়ে দেয়।
মামলায় বলা হয়েছে, ৭১ বছর বযিসি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রী বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের কাছ থেকে ১০৮টি উপহার পেয়েছিলেন, যার মধ্যে ৫৮টি তারা নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রকে বাধ্যতামূলক মূল্য পরিশোধ করার সময় এগুলোরও অবমূল্যায়ন করা হয়েছিল।
উপহারের মধ্যে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের দেওয়া একটি গহনা সেট অন্তর্ভুক্ত ছিল, যেটি ইমরান দম্পতি তোশাখানায় জমা করার পরিবর্তে কম দামে রেখে দিয়েছিলেন।
এই মামলাটি অন্য তোশাখানা মামলার থেকে ভিন্ন, যেখানে ইমরানকে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) অযোগ্য ঘোষণা করে এবং পরে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি থেকে আয় লুকানোর জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করে।
ইসিপি ইমরানকে অযোগ্য ঘোষণা করে এবং গত ৬ ডিসেম্বর অযোগ্যতার বিরুদ্ধে তার আবেদন খারিজ করে দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
;
চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করতেন মার্কিন নৌ কর্মকর্তা!
ছবি: সংগৃহীত
চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মার্কিন নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে দুই বছরের বেশি সময়ের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গত অক্টোবরে ২৬ বছর বয়সী ওয়েনহেং ঝাও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযুক্ত হন।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের স্পর্শকাতর সামরিক তথ্য পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে এবং তিনি ঘুষের বিনিময়ে চীনা গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য দেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়েনহেং ঝাও ক্যালিফোর্নিয়ার একটি নৌ-ঘাঁটিতে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সামরিক মহড়া, অপারেশনাল অর্ডার এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সম্পর্কে চীনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য দিয়েছেন বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপে মার্কিন ঘাঁটিতে অবস্থিত একটি রাডার সিস্টেমের জন্য বৈদ্যুতিক চিত্র এবং ব্লুপ্রিন্টও চীনা কর্মকর্তাদের কাছে সরবরাহ করেছেন ওই কর্মকর্তা।
মার্কিন বিচার বিভাগ বলছে, ঝাওয়ের নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছিল। নিজের নিরাপত্তা ছাড়পত্র কাজে লাগিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও রেকর্ডের জন্য সংরক্ষিত সামরিক ও নৌ স্থাপনায় প্রবেশ করে তথ্য নিয়েছেন তিনি। সেগুলোই চীনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে সরবরাহ করেছেন।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।