সারাদেশ

নতুন মন্ত্রী পরিষদ: ফোন পেলেন জিল্লুল হাকিম

ডেস্ক রিপোর্ট: নতুন মন্ত্রী পরিষদ: ফোন পেলেন জিল্লুল হাকিম

ছবি: সংগৃহীত

নতুন মন্ত্রী পরিষদে ফোন পেয়েছেন রাজবাড়ী-২ (পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: জিল্লুল হাকিম। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আনন্দ বিরাজ করছে। একাধিক সূত্র বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়েছেন জিল্লুল হাকিম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিকী ঈগল পাখি প্রতিক নিয়ে ৪৬ হাজার ৪৬৬ পেয়েছেন। মো. জিল্লুল হাকিম ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৩৮ ভোটের ব্যবধানে পঞ্চমবারের মতো জয়লাভ করেন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু কায়সার খান বেসরকারি ভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার আনন্দবাজার গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মো: আবুল হোসেন নিজেও ছিলেন একজন সমাজসেবক এবং শিক্ষানুরাগী। জিল্লুল হাকিমের পৈতৃক বাড়ি পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.জিল্লুল হাকিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) পাশ করেছেন।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মো.জিল্লুল হাকিম মুক্তিযুদ্ধকালীন গোয়ালন্দ মহকুমা কমান্ডার ছিলেন।তিনি সংসদ সদস্যের পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ি।তার স্ত্রী সাঈদা হাকিম ও দুই ছেলে মিতুল হাকিম ও রাতুল হাকিমও সফল ব্যবসায়ি।

তিনি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। মোট ছয়বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে প্রথম নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরের বার অর্থাৎ ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নাসিরুল হক সাবুর কাছে হেরে যান তিনি। পরবর্তী ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নাসিরুল হক সাবুকে পরাজিত করে ফের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জিল্লুল হাকিম।

২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। সর্বশেষ তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হলেন।

নতুন সংসদে ২৫ মন্ত্রী, ১১ প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পুরোনো ও নতুনদের নিয়ে এই মন্ত্রিসভা গঠন করা হচ্ছে।

পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন- আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ড. হাছান মাহমুদ, আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির, আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আবদুছ সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফরহাদ হোসেন, ফরিদুল হক খান, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও নাজমুল হাসান পাপন।

টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হচ্ছেন- শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন ও গত মন্ত্রিপরিষদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন- সিমিন হোসেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, মহিবুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বেগম রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, আহসানুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের দরবার হলে এই শপথ অনুষ্ঠিত হবে। নতুন মন্ত্রিসভা ৩৬ সদস্যবিশিষ্ট হতে পারে বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি। এরপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে তারাই হবে দেশের নতুন সরকার। শপথ নেওয়া পর্যন্ত আগের মন্ত্রিসভা বহাল থাকবে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোট হয়। নওগাঁ-২ আসনের প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ওই আসনের নির্বাচনের জন্য নতুন করে শিডিউল দেয়া হয়েছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। আর সংঘর্ষের ঘটনায় ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্বাচন এ মাসের ১৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

২৯৮ আসনের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২ আসন ও জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের হার এবার বেশি। তারা ৬২টি আসনে জয় পেয়েছেন। আর মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে একটি করে আসন পেয়েছেন। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমও কক্সবাজারের একটি আসন থেকে জয় পেয়েছেন।

;

মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ যারা

মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ যারা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পুরোনো ও নতুনদের নিয়ে এই মন্ত্রিসভা গঠন করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে দ্বাদশ সংসদের মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার জন্য নতুনদের মধ্যে শপথ নিতে ফোন পেয়েছেন- ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আব্দুস শহীদ, র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির, আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আবদুছ সালাম, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, ডা সামন্ত লাল সেন ও স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সিমিন হোসেন রিমি, মোহাম্মদ এ আরাফাত, মহিবুর রহমান, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বেগম রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, আহসানুল ইসলাম।

এদিকে এখন পর্যন্ত ফোন পেয়েছেন যারা; তারা হলেন- আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ড. হাছান মাহমুদ, আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির,  আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্র, আবদুছ সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফরহাদ হোসেন, ফরিদুল হক খান, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, ডা সামন্ত লাল সেন ও স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের দরবার হলে এই শপথ অনুষ্ঠিত হবে। নতুন মন্ত্রিসভা ৩৬ সদস্যবিশিষ্ট হতে পারে বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি। এরপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে তারাই হবে দেশের নতুন সরকার। শপথ নেওয়া পর্যন্ত আগের মন্ত্রিসভা বহাল থাকবে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোট হয়। নওগাঁ-২ আসনের প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ওই আসনের নির্বাচনের জন্য নতুন করে শিডিউল দেয়া হয়েছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। আর সংঘর্ষের ঘটনায় ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্বাচন এ মাসের ১৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

২৯৮ আসনের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২ আসন ও জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের হার এবার বেশি। তারা ৬২টি আসনে জয় পেয়েছেন। আর মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে একটি করে আসন পেয়েছেন। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমও কক্সবাজারের একটি আসন থেকে জয় পেয়েছেন।

;

এ‌ক বছরে ৩৪৯ কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার ক‌রে‌ছে র‍্যাব

ছবি: বার্তা২৪.কম

গত এক বছরে রাজধানীর বি‌ভিন্নস্থা‌নে অ‌ভিযান চা‌লি‌য়ে মোট ৩৪৯ জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার ক‌রে‌ছে র‌্যা‌পিড অ‌্যাকশন ব‌্যা‌টালিয়ন (র‌্যাব)। সেই স‌ঙ্গে ২০১৭ সাল থে‌কে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে কিশোর গ্যাংয়ের এক হাজার ১২৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর ম‌ধ্যে ৩০ জনকে অর্থদণ্ড এবং ১০ জনকে মুচলেকা নি‌য়ে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। 

বুধবার (১০ জানুয়া‌রি) সন্ধ্যায় র‌্যাব সদর দফতরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খন্দকার আল মঈন, বিশ্বের পশ্চিমা দেশগুলোতে গ্যাং ও কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্ব দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের কিশোররা বিদেশী এই গ্যাং কালচার রপ্ত করে কয়েক দশক পূর্বে। শুরুতেই সন্ত্রাসী ভাবমূর্তি না থাকলেও ধীরে ধীরে কিশোর গ্যাং সদস্যরা সন্ত্রাসী ভাবাপন্ন হয়ে উঠে। গ্যাংয়ে-গ্যাংয়ে দ্বন্দ্ব, আন্তঃকোন্দল, চাঁদাবাজি, এলাকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও মাদক সিন্ডিকেটে জড়িত। এসব কিশোর নানাবিধ হত্যাকাণ্ড, সংঘাত ও অন্যান্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ে ভবিষ্যত জীবন নষ্ট করছে। শুরুতেই ঢাকা কেন্দ্রিক থাকলেও পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরেও ছড়িয়ে পড়ে গ্যাং কালচার।

তি‌নি ব‌লেন, কিশোর গ্যাং তথা গ্যাং কালচার এবং উঠতি বয়সি ছেলেদের মাঝে ক্ষমতা বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক গ্রুপের সাথে অন্য গ্রুপের মারামারি করা বহুল আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গ্যাং সদস্যরা এলাকায় নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করার জন্য উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে দল বেধে ঘুরে বেড়ায়, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায়, পথচারীদের উত্ত্যক্ত করে এবং ছোট খাট বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের উপর চড়াও হয়ে মারামারি-খুনোখুনি করে। এছাড়াও তারা নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য একই এলাকায় অন্যান্য গ্রপের সাথে প্রায়ই কোন্দল ক‌রে থাকে। এই আধিপত্যের বিষয়টিকে তারা তাদের ক্ষমতা হিসেবে ভাবে এবং কোন ঘটনায় কেউ কোন প্রতিবাদ করলেও ক্ষমতা জাহির করতে মারামারি করাসহ অনেক সময় খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। 

এ‌ক বছ‌রে উল্লেখযোগ্য ঘটনায় গ্রেফতা‌রের তথ‌্য জা‌নি‌য়ে তি‌নি জানান, গত ২৮ জানুয়ারি রাতে রাজধানী আদাবরের সন্ত্রাসী গ্রু‌পে “বিডিএসকে” গ্যাং এর প্রধান হৃদয় ওর‌ফে হিটার হৃদয়সহ ৮ জন সদস্যকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্রসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

২৯ জানুয়ারি “কিশোর গ্যাং” লিডার জালাল ওরফে পিচ্চি জালাল বাহিনীর ১৬ সদস্যকে, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০ সদস্যকে, ২২ মার্চ ৪৩ জন সদস্যকে, ২৮ এপ্রিল রাজধানীর আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর লিখন হত্যাকাণ্ডের পলাতক আসামি কিশোর গ্যাং সদস্য অনিক (২০) এবং জোবায়েরকে (১৯), ২৬ মে রাজধানীর দারুস সালাম এলাকার চাঞ্চল্যকর সিয়াম (১৪) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও চিহ্নিত আসামি কিশোর গ্যাং লিডার পটেটো রুবেল ও তার সহযোগী রকিকে, ১৬ জুন “নুরু গ্যাং” গ্যাং গ্রুপের প্রধান মাহিদুল ইসলাম সুজন ও তার ৩ সহযোগীকে, ১৬ জুলাই ‘‘পিচ্ছি জয়” গ্রুপের ৩ জন সদস্যকে, ৮ সেপ্টেম্বর “স্যুটার আনোয়ার” গ্রুপের সদস্য রাফাত, তুষার আহমেদসহ ৭ জনকে, ২৮ নভেম্বর ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১২ জন এবং ছিনতাই এর প্রস্তুতিকালে ১২ জন ছিনতাইকারীসহ কিশোর গ্যাংয়ের মোট ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও ব‌লেন, ২০১৭ সালে উত্তরায় স্কুল ছাত্র আদনান হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি আলোচনায় আসে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ বেশ কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্যদের গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরবর্তীতে উত্তরা, গাজীপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় স্কুল ছাত্র শুভসহ আরো কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। কিশোর গ্যাং নামক অপসংস্কৃতি রোধকল্পে র‌্যাব এই সকল হত্যাকাণ্ডের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসামিদের গ্রেফতার করে।   

;

শপথ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ডাক পেলেন যারা

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পরে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, যারা নতুন মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পেয়েছেন তাদের শপথ গ্রহণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

অনেকেই এরই মধ্যে ফোনও পেয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরা হচ্ছেন- আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ড. হাছান মাহমুদ, আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির,  আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্র, আবদুছ সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফরহাদ হোসেন, ফরিদুল হক খান, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, ডা সামন্ত লাল সেন ও স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সিমিন হোসেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, মহিবুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বেগম রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আহসানুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নতুন সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *