নতুন মন্ত্রিসভায় নারী মাত্র ৩ জন
ডেস্ক রিপোর্ট: নতুন মন্ত্রিসভায় নারী মাত্র ৩ জন
ডা. দীপু মনি, সিমিন হোসেন রিমি ও রুমানা আলী টুসি
দ্বাদশ জাতীয় সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মিলিয়ে জায়গা পেয়েছেন ৩৬ জন। এর মধ্যে নারী মাত্র তিনজন। তবে তারা কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন, তা এখনও জানা যায়নি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চাঁদপুর-৩ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন নতুন মন্ত্রিসভার ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় ডাক পাওয়া নারীরা হলেন ডা. দীপু মনি, সিমিন হোসেন রিমি ও রুমানা আলী টুসি। এর মধ্যে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন ডা. দীপু মনি। প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন সিমিন হোসেন রিমি ও রুমানা আলী টুসি। এর আগেও দুই দফায় মন্ত্রী হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ডা. দীপু মনি।
সিমিন হোসেন রিমি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে। তিনি গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে অধ্যাপক রুমানা আলী টুসি গাজীপুর-৩ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাদে গত মন্ত্রিসভায়ও তিনজন নারী ছিলেন। তারা হলেন ডা. দীপু মনি, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ও বেগম হাবিবুন নাহার। নতুন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নারী সদস্যের সংখ্যা চারজন।
রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জানান, নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ নেয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যারা মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন তাদেরকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে টেলিফোন করা হয়েছে।
নতুন মন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে শপথ নেবেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। শপথগ্রহণ শেষে নবনিযুক্ত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা নিজ নিজ শপথবাক্যে স্বাক্ষর করবেন।
তিনি আরও জানান, শপথের পর প্রধানমন্ত্রী দফতর বণ্টন করবেন। পরে প্রজ্ঞাপন আকারে তা প্রকাশ করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের অগ্নিকাণ্ড
ছবি: বার্তা২৪.কম
কক্সবাজারের উখিয়ার ৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২ টা ৪৫ এর দিকে ঐ ক্যাম্পের বি ব্লকের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ইতিমধ্যে ৮/৯টি ঘর ভস্মীভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অগ্নিকাণ্ড পুরোপুরি বন্ধ না হলেও ক্যাম্পের প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকরা তাৎক্ষণিক অগ্নিনির্বাপণে কাজ করায় নিয়ন্ত্রণে আছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। চারটি ইউনিট সেখানে পৌঁছেছে।’
উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে ৫ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুড়ে যায় ১ হাজারের বেশি ঘর। গেলো বছরের ৩১ ডিসেম্বর একিভাবে আরও একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৪০-৫০ টি রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক ঘর।
এর আগে চলতি বছর ৫ মার্চ একই ক্যাম্পের অন্য একটি ব্লকে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। ওই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় দুই হাজার ২০০ ঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। ২০২১ সালের ২২ মার্চ তিনটি ক্যাম্পে এক সঙ্গে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১১ জন নিহত ও ৫ শতাধিক আহত হন। পুড়ে যায় ৯ হাজারের বেশি ঘর।
;
মাথায় ইট পড়ে মৃত্যু, বাসায় ফেরা হলো না বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তার
ছবি: বার্তা২৪.কম
রাজধানীর রমনা থানার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নারী কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম- দিপু সানা। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (এডি) হিসেবে সদরঘাট শাখায় কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া। তবে তিনি ব্যস্ত থাকায় বিস্তারিত জানাতে পারেননি।
রমনা সূত্রে জানা গেছে, মৌচাক ফখরুদ্দীন হোটেলের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় উপর থেকে ইট পরলে ঘটনাস্থলে সানা দিপুর মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পুলিশের তদন্ত চলছে।
নিহত সানার স্বামী তরুণ বিশ্বাস বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় শান্তি নগর থেকে হেটে বাসায় যাচ্ছিলো। রমনা থানা থেকে ফোন দিয়ে তার মৃত্যুর কথা জানানো হয়। সানার বাড়ি সাতক্ষীরা।
মাথায় ইট পড়ে মৃত্যুর ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ফুটেজে দেখা গেছে, সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে হাতে একটি ব্যাগ নিয়ে হেটে বাসা ফিরছিলেন সানা। হঠাৎ মাথায় ইট পড়লে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুকিয়ে পড়েন তিনি।
নিহত সানার তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে। সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় থাকতেন। বর্তমানে নিহতের মরদেহ আজগর আলী হাসপাতালে রয়েছে। দিপু সানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৫-২০০৬ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলো। তিনি ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
;
অবশেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলছে বৃহস্পতিবার
ছবি: বার্তা২৪.কম
অবশেষে দীর্ঘ আড়াই মাস পর রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলছে আগামীকাল। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল ৩ টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে দলটি।
বুধবার রাতে গণমাধ্যমে দলের পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলনের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে আমন্ত্রণপত্রে জানানো হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টনে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর থেকে তালাবন্ধ থাকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এতদিন পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীরা কেউ কার্যালয়ে যাননি।
;
বরিশালে ১৮ প্রার্থীর ১৬টিতে জামানত হারালেন জাপার প্রার্থী
ছবি: বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগের ২১ আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ১৮ আসনে নির্বাচন করে ১৬টিতে জামানত হারিয়েছেন। বরিশাল-২,বরিশাল-৫ ও বরগুনা-১ আসনে অবশ্য মনোনয়পত্র দাখিলকারী দুজন প্রার্থী নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে নির্বাচন বর্জন করেন। পিরোজপুর-৩ আসনে মহাজোট সমর্থিত জাপা প্রার্থী ভোটের মাঠে ছিলেন না। ফলে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবেও তাকে জামানত হারাতে হয়েছে। ওই আসনটিতে ৭ বারের এমপি ডা. রুস্তম আলী ফরাজীকে বাদ দিয়ে এবার মোঃ মাসরেকুল আজম রবি’কে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো।
বরিশাল-২ ও বরিশাল-৫ সংসদীয় আসন দুটিতে প্রার্থী হয়েছিলেন ইকবাল হোসেন তাপস। কিন্তু ৩১ আগস্ট ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান। একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে বরগুনা-১ আসনের জাপা প্রার্থীও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বরিশাল বিভাগের ২১ আসনে জাতীয় পার্টি যে ১৮টিতে প্রার্থী দিয়েছিলেন তার ৩টিতে মহাজোট তাদের পক্ষে নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও দলটির প্রার্থীদের পক্ষে ভোটের মাঠে ছিল না আওয়ামী লীগ। অবশিষ্ট ১৫টি আসনের ৩টির প্রার্থীরা ভোটের মাঠে ছিলেন না। ১২টি আসনের প্রার্থীদেরও ভোটের মাঠে দেখা যায়নি।
বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু ও পটুয়াখালী-১ আসনে রুহুল আমীন হাওলাদার নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকলে রুহুল আমীন হাওলাদারকেও হয়তো একই পরিণতি বরণ করতে হত। তার স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্না বরিশাল-৬ আসনে মহাজোটের সমর্থন নিয়ে দুবার এমপি হলেও এবার তিনি জামানত হারিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ইকবাল হোসেন তাপস জানান, ‘দক্ষিণাঞ্চল কেন সারা দেশেই দলটি ক্রমশ অস্তিত্ব হারাতে বসেছে’। তিনি এজন্য কতিপয় নেতার ব্যক্তিগত সাময়িক সুবিধা লাভের প্রবনতাকে দায়ী করে বলেন, ‘এসব নেতা শুধু জাতীয় পার্টিকেই ধ্বংস করলেন না দেশেরও ভয়াবহ ক্ষতি করেছেন’।
তার মতে, ঐসব নেতা যে দলের লেজুরবৃত্তি করছেন, সে দলটি জাতীয় পার্টিকে বারবার ব্যবহার করে ক্ষমতার আসনে আরোহণ করলেও অদূর ভবিষ্যতে তাদের জন্যও করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে’।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।