সারাদেশ

নয়াপল্টনে পুলিশের অবস্থান

ডেস্ক রিপোর্ট: নয়াপল্টনে পুলিশের অবস্থান

নয়াপল্টনে পুলিশের অবস্থান

মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। তবে রাস্তায় হরতালকারীদের দেখা যায়নি।

তবে, রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকেই রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। কার্যালয়ের এক পাশে দেওয়া হয়েছে বেষ্টনী। এসময় বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।

সকাল থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল করছে। দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি কিছুটা কম। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনের মঞ্চ থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের ঘোষণা দেন। পরে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ভোর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দেখা গেছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। চলছে টহল।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, রোববার বিএনপি এবং জামায়াত সারা দেশে সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। স্বাভাবিক চলাফেরা করা জনগণের মৌলিক অধিকার। জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, নাগরিকের চলাফেরার ক্ষেত্রে কোন ধরনের বাধার সম্মুখীন হলে বা আইনি সহায়তার প্রয়োজন হলে নিকটস্থ পুলিশের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

এদিকে, হরতালেও বাস চলবে বলে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানান, বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের ডাকা রোববারের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ব্যাপারে সমিতির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঢাকার পরিবহন কোম্পানি, রুট মালিক সমিতি এবং শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে তাৎক্ষনিক আলোচনায় সিন্ধান্ত হয়েছে, হরতালের দিন ঢাকা শহর ও শহরতলী এবং আন্তজেলা রুটে বাস-মিনিবাস চলাচল অব্যাহত থাকবে।

হরতালে রাজধানীতে যানচলাচল স্বাভাবিক

ছবি: বার্তা২৪.কম

মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলোর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে রাজধানীতে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও।

রোববার (২৯অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর রামপুরা, সাতরাস্তা, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগানসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা। সন্দেহজনক মনে হলে তল্লাশি করা হচ্ছে পথচারীদের।

হরতালে রাজধানীতে যানচলাচল স্বাভাবিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অফিসগামী যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কারও চোখে পড়ে না। হরতালের প্রভাবে তো রাস্তায় গাড়িই নাই। অনেকের অফিস আছে, পরীক্ষা আছে।

আলমগীর নামে একজন বলেন, আধাঘণ্টার বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু কোনো বাস নাই। আজ যাদের অফিস আছে তাদের তো বিপদে পড়তে হয়েছে।

খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ডে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষায় আছেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা সাহেদুর রহমান। তিনি বলেন, আমার অফিস ফার্মগেটে। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো বাস পাচ্ছি না। কীভাবে যাবো তাই ভাবছি।

;

হরতালের প্রভাব পড়েনি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের চিত্র।

বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের প্রভাব পড়েনি ঢাকা আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ জেলার ৩৭ কিলোমিটার এলাকায়। তবে ঢাকামুখী যানবাহনের সংখ্যা কম রয়েছে বলে অভিযোগ অপেক্ষামাণ যাত্রীদের।

রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত মহাসড়ক এলাকা ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের প্রায় প্রতিটি স্টেশনে মোতায়েন রয়েছে ১০-১৫ সদস্যের একটি করে পুলিশ টিম। এছাড়াও হাইওয়ে পুলিশের টহল কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কোথাও বিএনপি বা জামায়াতের কোন নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি। অথবা মানিকগঞ্জের কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু।

ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা সেলফি পরিবহনের এক চালক বলেন, ‘হরতালের প্রভাব কেমন হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সকালবেলায় এমনিতেই বাস কম চলে। বেলা বাড়লে হরতাল সম্পর্কে সঠিক বিষয় বুঝা যাবে।’

মহাসড়ক এলাকায় পূর্বের চেয়ে কম যানবাহন চলাচল করছে বলেও জানান তিনি।

নয়াডিঙ্গি বাসস্ট্যান্ডে সাভারের এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, প্রায় ৩০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে থেকে তিনি ঢাকামুখী বাস পাচ্ছেন না। তার মতে, মহাসড়ক এলাকায় ঢাকামুখী বাস কিছুটা কম চলাচল করছে।

হরতাল সম্পর্কে সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুখেন্দু বসু বলেন, ‘মানিকগঞ্জে বিএনপির ডাকা হরতালের কোনও প্রভাব নেই। দূরপাল্লার বাস মহাসড়ক এলাকায় কিছুটা কম থাকলেও লোকাল বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে জেলা পুলিশের পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের টহল কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছোট ছেলে গ্রেপ্তার

তাজওয়ার এম আউয়াল। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস চেয়ার‍ম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছোট ছেলে তাজওয়ার এম আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রাত ১২টার পর গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পুরোনো একটি মামলায় তাজওয়ার এম আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে থানাহাজতে রাখা হয়েছে।

কী মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি পরদর্শক আমিনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মামলার কাগজপত্র না দেখে বিষয়টি বলতে পারবেন না।

;

পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রদল নেতারা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি : সংগৃহীত

‘পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রদল নেতারা। তার ফুটেজ আমাদের কাছে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে এ কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আপনারা দেখেছেন, একজন পুলিশ সদস্যকে কীভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের ছোড়া ঢিলে যখন ওই পুলিশ সদস্য নিচে পড়ে যান তখন একদল ছাত্রদল নেতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। পুরো ঘটনার ছবি আমাদের কাছে আছে। শুধু পিটিয়েই নয়, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তার মাথা ক্ষত বিক্ষত করেছে। পরবর্তীতে ওই পুলিশ সদস্য ইন্তেকাল করেছেন। এ দৃশ্য সবার মনে দাগ কেটেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুরো পরিস্থিতি পুলিশ অনেক ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। বৃষ্টির মতো তারা ইটপাটকেল ছুঁড়েছে। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ক্ষণে ক্ষণে ঢিল মারছিল। গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে, এমন তথ্য আমাদের কাছে আগেই ছিল। আমাদের পুলিশ বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আগুন লাগিয়ে দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের ছোটবড় স্থাপনায় আগুন দেয়। এছাড়া কয়েকটি সরকারি স্থাপনায় আগুন দেয়। জাজেজ কমপ্লেক্সে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আগে থেকেই ঘোষণা দিয়েছিল তারা ১০ লাখ লোক সমাবেশে আনবে। তাদের (বিএনপি) সমাবেশ প্রধান বিচারপতির বাসভবন পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। ঘটনার সূত্রপাত সেখানে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাচ্ছিল ওই মিছিলে বিএনপি হামলা করে। শুধু হামলা করেই বিএনপি ক্ষান্ত হয়নি তারা দুটি পিকআপে আগুন দেয়। এরপর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে পড়ে। এ সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না। পুলিশ আইনানুযায়ী তাদের কাজ করেছে। তাদের সরিয়ে দিয়েছে।’

২০১৪ সালে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি করেছিল সেই পরিস্থিতি আবারও করার পায়তারা করেছে বিএনপি এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি হরতাল ডেকেছে। তারা গাড়ি-বাস পুড়িয়েছে। যে-ই গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করবে গাড়ি ভাঙচুর করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো আমরা।’

এ সময় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *