সারাদেশ

‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই’

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই’

ছবি: বার্তা২৪.কম

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদন আরও বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নবনিযুক্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর পরিবাগে মন্ত্রীর বাসভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ কর্তৃক মন্ত্রীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকালে মন্ত্রী এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এটি দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত করতে হবে। একইভাবে প্রাণিসম্পদের উৎপাদনও বৃদ্ধি করতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, মো. আবদুল কাইয়ূম ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, যুগ্ম সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মো. হেমায়েত হোসেন, মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

নির্বাচনী সহিংসতায় বেলকুচি ও এনায়েতপুরে ৭ মামলা

ছবি: বার্তা ২৪.কম

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের নির্বাচনে নৌকা জয়ের পর থেকে বেলকুচি ও এনায়েতপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও বসতবাড়ি ভাঙচুরের বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় দুই থানায় ৭টি মামলা হয়েছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাত থেকে ওই সব এলাকায় অভিযান শুরু করেছে সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশ। অভিযান চলাকালে নৌকার সমর্থক সাবেক এক শ্রমিক দল নেতাকে গ্রেফতারও করেছেন তারা।

ডিবির ওসি জুলহাজ উদ্দীন জানান, নির্বাচনের পর থেকে গত কয়েকদিনে বেলকুচি ও এনায়েতপুরের বেশ কয়েকটি গ্রামে সংঘর্ষ, মারধর ও বসতবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি পুলিশের কয়েকটি টিমের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। শুক্রবারও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযানকালে বৃহস্পতিবার রাতে আমিরুল ইসলাম আকন্দ নামে একজনকে গ্রেফতারের পর বেলকুচি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রেফতার আমিরুল ইসলাম ২০১০ সালে সিরাজগঞ্জের মুলিবাড়িতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভায়স্থলে ট্রেন পোড়ানো মামলার আসামি। সে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন শ্রমিক দল বেলকুচি পৌর শাখার সভাপতি ছিলেন। তিনি সম্প্রতি উপজেলার সূবর্ণসাড়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে ফজলু শেখ নিহতের মামলার প্রধান আসামি শ্রমিক লীগ নেতা মোতালেব সরকারের ভাগিনা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আব্দুল মমিন মন্ডল নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর আমিরুল আওয়ামী লীগে যোগ দেন। নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বিজয়ী হওয়ার পর বেলকুচি উপজেলায় বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, মারধরের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে আমিরুল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী গত কয়েক দিনে সহিংসতার ঘটনায় বেলকুচি থানায় আরো ৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বেশকিছু নেতাকর্মীকে আসামি করা হলেও আমিরুল ছাড়া কেউ গ্রেফতার হয়নি।

অপরদিকে, এনায়েতপুর থানায় খামার গ্রামের একটি হিন্দু বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা হয়েছে বলে থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান।

;

ফিরোজ রশীদ ও সুনীল শুভ রায়কে জাপা থেকে অব্যাহতি

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়কে দলীয় সকল পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কাজী ফিরোজ রশিদ ও সুনীল শুভ রায়কে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন।

যা ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম। 

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিক্ষোভের ঘটনার পর তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেদিন বিক্ষোভের সময় অন্যদের মধ্যে সুনীল শুভ রায় উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় পার্টির ইতিহাসে গত ১০ জানুয়ারি নজির বিহীন ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন নেতাকর্মীরা। পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় বনানীতে দিনভর বিক্ষোভ করেন কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে কো-চেয়ারম্যান, বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সিনিয়র অনেক নেতা অংশ নেন। পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষুব্ধ নেতারা আসতে শুরু করেছিলেন বেলা ১১টায়। আর ৩টার দিকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ফিরে যান। তাদের আগমনের খবরে আগেই মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব সাইদুর রহমান টেপা, প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম শাহজাদা পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে মূল ফটকের ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলে বাইরে নিয়ে যান। গেটের বাইরে রাস্তার ওপর বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

;

৭ জানুয়ারি সরকার নয়, জনগণের বিজয় হয়েছে: খেলাফত মজলিস

ছবি: বার্তা ২৪.কম

খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি দেশে একটি তামাশার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ভুল করে নাই। ৭ জানুয়ারি সরকার নয়, জনগণের বিজয় হয়েছে। বিজয়ী জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। প্রতিনিধিত্বশীল দলগুলোকে বাদ রেখে সরকার প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ ও মন্ত্রীসভা গঠন করেছে তার বৈধতা জনগণ দিবে না।

শুক্রবার (১২ জপানুয়ারি) বাদ জুমা গণ প্রত্যাখ্যাত ডামি নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। পরে সেখান থেকে মিছিল শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে সমাপ্ত হয়।

তিনি বলেন, নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সবকিছুতেই জাতির সাথে তামাশা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে প্রকৃত ভোটারের গড় উপস্থিতি একেবারেই কম ছিল। পিঠা ভাগাভাগির এই নির্বাচনে সরকারি দল নিজেদের মধ্যেও ভাগাভাগি সুষ্ঠুভাবে করতে পারেনি। যার কারণে স্বতন্ত্র বা ডামি প্রার্থীরা হাইকোর্টে পর্যন্ত রিট করেছে, নির্বাচন বয়কট করেছে।

খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিছিল পূর্ববর্তি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ডা: আবদুর রাজ্জাক, সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মাওলানা নুরুল হক, আবুল হোসেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা ফারুক আহমদ, হুমায়ুন কবির আজাদ, এনামুল হক হাসান, মাওলানা কামাল হোসাইন, এডভোকেট সানাউল্লাহ, গিয়াস উদ্দিন, মহিউদ্দিন জামিল, এইচ.এম এরশাদ, এডভোকেট এনায়েত রাব্বি, মতিউর রহমান, নুর মুহাম্মদ প্রমুখ।

;

এ বিজয় জনগণের, এ বিজয় গণতন্ত্রের: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে। এ বিজয় জনগণের বিজয়। এ বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। লাখো শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

টানা চতুর্থ মেয়াদে এবং পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করে নবনির্বাচিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নিয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

জাতীয় সৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা নিবেদন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন এর আগে রীতি মেনে একই কর্সূচির আওতায় শুক্রবার সকাল ১০টায় নবনির্বাচিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নিয়ে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে নবনির্বাচিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ফুল দেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে। নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রীরাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভায় থাকা ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। শপথের পরে তাদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *