সারাদেশ

ভ্রমন খাতে আয় বাড়লেও সেবা বাড়েনি বন্দরে

ডেস্ক রিপোর্ট: ভ্রমন খাতে আয় বাড়লেও সেবা বাড়েনি বন্দরে

ছবি: বার্তা২৪.কম

বেনাপোল (যশোর) বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সড়ক পথে গেল বছর ১১ লাখ ৮১ হাজার ৮ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে গেছে। এর আগে ২০২২ সালে ভারতে গিয়েছিল ১০ লাখ ৬১ হাজার ৮৪৮ জন। যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ১৬০ জন।

এসময় ভ্রমণকর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব এসেছে ১০০ কোটির কাছাকাছি আর ভারত সরকারের ভিসা ফি বাবদও আয় হয়েছে প্রায় একই পরিমানে অর্থ। কিন্তু সরকারের রাজস্ব আয় বাড়লেও ভ্রমন খাতে কাঙ্ক্ষিত সেবা বাড়েনি। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের আশ্বাস দ্রুত সেবা বাড়াতে কাজ শুরু হবে।

ঢাকার মগবাজার এলাকার পাসপোর্টধারী যাত্রী আব্দুর রহিম জানান, চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছেন। পদ্মা সেতুর কল্যানে ভোর সাড়ে ৩ টার মধ্যে বাস পৌঁছেছে বেনাপোল বন্দরে। আর বন্দর খুলছে সকাল সাড়ে ৬ টায়। বন্দরে যাত্রী ছাউনি না থাকায় প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে দীর্ঘ সময় কুয়াশার মধ্যে ঠান্ডায় পরিবার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সময় পার করতে হচ্ছে। সাথে রয়েছে দালাল শ্রেনীর হয়রানি।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, প্রতিবছর ভ্রমন খাতে বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১০০ কেটি ও ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারেরও প্রায় একই পরিমানে অর্থ আদায় করছে। তবে যাতায়াত বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত সেবা বাড়েনি এই রুটে।

দুই সীমান্তের দির্ঘ লাইনে অসুস্থ্য হয়ে মাঝে মধ্যে যাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনা দেখা যায়। দিন দিন ভ্রমন খাতে কর বাড়াচ্ছে দুই দেশ। তবে কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছেনা। বাংলাদেশ অংশে যাত্রী ছাউনি ও ভারত ইমিগ্রেশনে পর্যাপ্ত জনবল না থাকা এ দুর্ভোগ থেকে কোন ভাবে মুক্তি মিলছেনা।

ট্রাভেল ব্যবসায়ী উজ্বল বিশ্বাস জানান, যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে তবে ভারত ইমিগ্রেশনে জনবল না বাড়ায় সীমান্ত অতিক্রম করতে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা কেটে যায়।

বেনাপোল স্থলবন্দরে যাত্রী নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জিব কুমার বড়াল জানান, যাত্রীরা যাতে কোনভাবে হয়রানির শিকার না হয় বিভিন্ন ভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। এছাড়া নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের তত্বাবধায়ক নাহিদুজ্জামান শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে বার্তা২৪.কমকে জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে কলকাতার দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এই রুট দুই দেশের যাত্রীদের পছন্দের। বর্তমানে পদ্মা সেতু চালুতে এপথে যাত্রী যাতায়াত আরো বেড়েছে। এতে দেখা গেছে গেল বছর তার আগের বছরেরর চেয়ে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ১৬০ জন। বর্তমানে প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৬ থেকে ৭ হাজার পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে থাকে। এদের অধিকাংশ ভ্রমণ করেন চিকিৎসা সেবা নিতে। যাত্রী সেবা বাড়াতে কাজ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে যাত্রী ছাউনি ও বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের পরিধি বাড়াতে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা

ছবি: বার্তা২৪.কম

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে পালংখালীর ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি/৬ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম হুজিত উল্লাহ। তিনি ১৯ নং ক্যাম্পের ফয়জুল করিমের ছেলে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন জানান, ক্যাম্পে থেকেই হুজিত উল্লাহকে ছয়-সাতজন মুখোশধারী তুলে নিয়ে যায়। এবং তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও তার মাথায় গুলি করে হত্যা করে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

ওসি বলেন, ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এর আগে শুক্রবার উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সদস্যদের হামলায় ক্যাম্পের সাব মাঝি রহিম উল্লাহ নিহত হয়েছে।

নিহত রহিম উল্লাহ ঐ ক্যাম্পের এম ২৭ ব্লকের গণি মিয়ার ছেলে এবং সি ব্লকের সাবেক সাব মাঝি। শুক্রবার রাতে দশ থেকে বারো জন আরসা সদস্যের একটি দল রহিমকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গলায় কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

;

ফটিকছড়িতে শুরু হচ্ছে ৪ দিনের পৌষমেলা, থাকছে জব্বারে বলি খেলা

ছবি: সংগৃহীত

হারিয়ে যাওয়া আবহমান বাংলা পুরনো ঐতিহ্য কবির গান ও বলি খেলাসহ নানা আয়োজন নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বারমাসিয়া গ্রামে দুদিন পর শুরু হতে যাচ্ছে ৪ দিনব্যাপী পৌষমেলা। আগামী সোমবার এ মেলা শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার জব্বারের বলী খেলা দিয়ে শেষ হবে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান পৌষমেলা-১৪৩০ আয়োজক কমিটির সভাপতি এবং আহমেদ শামসুল আনোয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সুজাউদ্দীন জাফর।

সুজাউদ্দিন জাফর বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড না থাকলে শিক্ষার্থীরা যেমন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় না, তেমন দেশ জাতি ও সুনাগরিকতা সম্পর্কেও সঠিক ধারণা গড়ে উঠে না। তাতে দেশে শিক্ষার হার বাড়লেও প্রগতি নিশ্চিত হয় না। তাই স্কুলের বৃহত্তম সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা পৌষ মেলা আয়োজন করি। পৌষ মেলায় কবির লড়াই, বলি খেলার আয়োজন থাকছে। এবারের পৌষ মেলার মূল প্রতিপাদ্য- অবহেলিত দারিদ্রপীড়িত জনগণের মাঝে শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ সৃষ্টি করা, ছাত্র-যুব তথা গ্রামবাসীর সামনে বাঙালির হাজার বছরের চিরায়ত গ্রামীন সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য উপস্থাপন করা। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা, বাল্যবিবাহ, মাদক আসক্তি, মোবাইল আসক্তি, যৌতুকপ্রথা, নারী নির্যাতনসহ নানাবিধ সামাজিক ব্যধির বিরুদ্ধে সমাজে সচেতনতা গড়ে তোলা।

তিনি জানান, ২০২৩ সালের ১২-১৪ জানুয়ারি তৌহিদুল আনেয়ার হাইস্কুলে প্রথম পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী বলীখেলা। এবারও সারাদেশ থেকে আসা ৪০ জন বলি খেলায় অংশ নিবেন। এবারের পৌষ মেলা শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি সকাল ১০টায়। ১৬ জানুয়ারি সকাল ১১টায় শিক্ষার্থীদের বাইসাইকের র‍্যালি ও প্রচারণা, ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলবে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প এবং ১৮ জানুয়ারি বেলা ১টায় শুরু হবে বলি খেলা।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলি খেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি জহর লাল হাজারী বলেন, ঐতিহাসিক বলি খেলার প্রচার ও প্রসারে তৌহিদুল আনোয়ার স্কুল এগিয়ে এসেছে। সারাদেশের বলিরা এতে অংশ নিবেন। কবির লড়াইতে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের লোক কবিরা অংশ নিবেন।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাউছার বেগম, গবেষক শরীফ শমশির, কবি ইউসুফ মোহাম্মদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুর কাদের মনজুর, আবদুল জব্বারের বলি খেলার সভাপতি জহর লাল হাজারি, জব্বারের বলি খেলার রেফারি ও সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মালেক, আবদুল জব্বারের দুই নাতি আকতার আনেয়ার চঞ্চল ও শওকত আনেয়র বাদল, সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসেন প্রমুখ।

;

একমাত্র আ.লীগ পারে নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে: পপি

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবার ভোটযুদ্ধে নেমে ৫৪ হাজার ৪৯১ ভোট পেয়ে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসন থেকে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সোমনাথ সাহা পেয়েছেন ৫২ হাজার ৫৬৬ ভোট।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সংসদীয়-১৪৮ (ময়মনসিংহ-৩) আসনের স্থগিত হওয়া ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে ৯২টি ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত ফলাফলে নৌকার প্রার্থী নিলুফার আনজুম পপিকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

ফলাফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিলুফার আনজুম পপি বলেন, আওয়ামী লীগ পারে উৎসব মুখর পরিবেশ একটা নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে। আজকের এই বিজয় আপনাদের সবার।

তিনি আরও বলেন, জয়-পরাজয় থাকবেই। প্রতিযোগিতা তীব্র না হলে জয়ের আনন্দ পাওয়া যায় না। আজকে এই কেন্দ্র থেকে যে বিজয় এসেছে। প্রতিটা মানুষ যেভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকাকে, তাদের প্রাণের মার্কাকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে যেভাবে সাথী করে এই আজকের বিজয় সুনিশ্চিত করেছে। তাতে আবার প্রমাণিত হল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মানেই গণতন্ত্র ও উন্নয়ন।

এর আগে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটির ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় ওই ভোটকেন্দ্রের ভোট বাতিল ও ভোটের ফলাফল স্থগিত করা হয়। এতে করে আসনের নির্বাচনী চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা আটকে যায়।

ফলে ওইদিন ভোটগ্রহণ শেষে আসনের মোট ৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯১টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ওই ৯১ কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকার প্রার্থী নিলুফার আনজুম পপি পান ৫৩ হাজার ১৯৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সোমনাথ সাহা পান ৫২ হাজার ২১১ ভোট। এরমধ্যে ৯৮৫ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন।

এদিকে নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ১৩ জানুয়ারি শনিবার সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আসনের স্থগিতকৃত ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের শুরু থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত একটানা উপস্থিত ছিলেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভুঞা এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিমসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

স্থগিতকৃত কেন্দ্রের মোট ৩ হাজার ৩২ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৬৭৭ টি। এরমধ্যে নৌকার প্রার্থী নিলুফার আনজুম পেয়েছেন ১ হাজার ২৯৫ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সোমনাথ সাহা পেয়েছেন ৩৫৫ ভোট। ভোটগ্রহণ শেষে শনিবার বিকালে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

;

নির্বাচন প্রসঙ্গে ৬ আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান সরকারের

৬ আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ সংস্থার পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক বিবৃতি বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যে বলা হয়, ‘উক্ত ছয় সংস্থার বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন দেশ ভূয়সী প্রশংসা করেছে এবং নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য।’

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয় ‘২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মোট এক হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী এবং ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এ নির্বাচনে কোনো কোনো জায়গায় বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ভোট প্রদানের হার ৭০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি ছিল। তবে, শহর এলাকায় তুলনামূলকভাবে কম ভোটার উপস্থিতির কারণে সারাদেশে গড় ভোটের হার ছিল ৪১ দশমিক ৮ অর্থাৎ প্রায় ৪২ শতাংশ।’

মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করে, ‘স্বাধীন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির সহিংসতা এবং নির্বাচন বানচাল করার হুমকি সত্ত্বেও, হাতে গোনা কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের দিনটি ছিল শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর। আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক, যারা সক্রিয়ভাবে মাঠে থেকে নির্বাচনের প্রতিবেদন করেছে, তারা তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এর সত্যতা প্রকাশ করেছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংযম এবং আইনি সীমানা মেনে সহিংসতার ঘটনাগুলোর মোকাবেলা করেছে। রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়নি। নির্বাচন বানচালের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, আগুন দিয়েছে, মানুষকে হত্যা ও আহত করেছে এবং জনজীবন ব্যাহত করেছে তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপগুলো প্রয়োজনীয় ছিল।’

তাই এই যৌথ বিবৃতি বিভ্রান্তিকর, একতরফা এবং অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণতন্ত্র বিরোধী ও নির্বাচন বিরোধী শক্তি যারা নির্বাচনকে বানচাল করার অপচেষ্টা করেছিল তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য এই বিবৃতি উদ্দেশ্যমূলকভাবে জারি করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান।’

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *