থাইল্যান্ডের নিজস্ব শিশু দিবস
ডেস্ক রিপোর্টঃ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন আন্তর্জাতিক বাবা দিবস, আন্তর্জাতিক মা দিবস বা আন্তর্জাতিক শিশু দিবস পালন করলেও থাইল্যান্ড জাতীয় বাবা দিবস, মা দিবস এবং জাতীয় শিশু দিবস পালন করে। জাতীয় শিশু দিবসে পুরো দেশেই যেন উৎসবমুখর পরিবেশ হয়ে উঠে। সকল প্রতিষ্ঠানে শিশুদের জন্য থাকে বৈচিত্র্যময় সব আয়োজন।
প্রতি বছরের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় শনিবার পালন করা হয় জাতীয় শিশু দিবস৷ পথে পথে শিশুদের নানা রং আর ঢংয়ের পোশাক, হাতে খেলনা, বাবা মায়ের হাত ধরে ঘুরে বেড়ানো, সিনেমা দেখা, সবকিছু মিলিয়ে পুরো দিনটিই শিশুদের।
প্রথমবারের মতো জাতীয় শিশু দিবস দেখলাম থাইল্যান্ডে। ব্যাংকক যেন এক উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। তবে এখানে যেহেতু স্থানীয়দের দিন শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা বাজলেই, তাই শিশুদের ঘিরে আয়োজনগুলোও বিকেলের মধ্যে শেষ হয়।
১৯৫৬ সাল থেকে থাইল্যান্ডে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। সেভেন ইলেভেনের মতো ঘরের কাছের সুপারশপ থেকে শুরু করে, স্থানীয় কাঁচাবাজার, বিলাশবহুল শপিং মল, সিনেমা হল অথবা সশস্ত্রবাহিনীর গ্রাউন্ড সবখানেই থাকে শিশুদের জন্য নানা আয়োজন আর উপহার। পরিবারের বড়রা শিশুদের মাঝে বিতরণ করে উপহার। নতুন পোশাক পড়ে উৎসবে যোগ দেয়।
প্রতিবছরের মতো এ বছরও দিবসটির প্রতিপাদ্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাভিসিন৷ এ বছরের প্রতিপাদ্য, ‘বিস্তৃত দৃষ্টিকোন থেকে দেখা, গঠনমূলক চিন্তা করা, ভিন্নতাকে সন্মান করা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সামিল হওয়া।’ মূলত শিশুদের গঠনমূলক খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষা ও বিনোদনে সাজানো থাকে দিনটির নানা আয়োজন।
ভোর থেকেই ব্যাংককসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় নানা আয়োজন। ডনমুয়েং এয়ারপোর্টের থাই রয়েল এয়ারফোর্সের গ্রাউন্ডে জমে উঠে শিশুদের উৎসব। পুরো এলাকায় যেমন মেলার পশরা বসে। আমরাও যাই শিশুদের উৎসবের অংশ হতে।
থাই রয়েল এয়ারফোর্সের যুদ্ধ বিমানের মহড়া সকল বয়সীদের মুগ্ধ করে৷ সব শেষে ছিল রং ছুড়ে যাওয়া বিমানের ধন্যবাদ জ্ঞাপন। শিশুরা ঘুরে দেখার সুযোগ পায় বিমানবাহিনীর বিভিন্ন অস্ত্র, সরঞ্জাম আর যুদ্ধযান। শিশুদের জন্য বিনামূল্যে স্ন্যাকস আর খেলনা বিতরণ করা হয় এখানে।
এয়ারফোর্স গ্রাউন্ড থেকে আমরা যাই রাতচায়োথিনে এভিনিউ শপিং মলে। মলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আয়োজন করা হয়েছে শিশুদের জন্য গেমিং কার্ট, ভাষা প্রতিযোগীতা, লেগো, রং করাসহ নানা আয়োজন। আর হাত ভর্তি করে উপহারতো রয়েছেই।
এদিন সিনেমা হলগুলোতে শিশুদের জন্য বিশেষ সিনেমা প্রদর্শনী হয়েছে বিনামূল্যে। এছাড়াও খাবারের দোকান থেকে শুরু করে সকল স্থানেই ছিল বিশেষ উপহার।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।