সারাদেশ

সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি-জামায়াতের ডাকে সারাদেশে রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংঘর্ষ, বিক্ষিপ্ত ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার দূরপাল্লার বাস বন্ধ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে। বিভিন্ন জেলার হরতালের প্রভাব নিয়ে বার্তা২৪.কম জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। 

রাজশাহী

কঠোর অবস্থানে রাজশাহীতে আইনশৃঙখলা বাহিনী রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত হরতালের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। অন্যান্য দিনের মতোই রাজশাহীতে চলছে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন। তবে অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম। নগরীর বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দল দুটির কোনো নেতাকর্মীকে সড়কে দেখা যায়নি।

নগরীর মালোপাড়ায় তালাবদ্ধ দেখা গেছে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ও। তবে সকাল থেকেই নগরীর ১২টি পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বিভাগীয় এই শহরে মানুষ নিজ নিজ প্রয়োজনে রাস্তায় বের হচ্ছেন। দোকানপাটও খুলতে থাকে। এমনকি সড়কগুলোতে আস্তে আস্তে সব ধরনের যানবাহন নামতে শুরু করেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কর্ম-চাঞ্চল্যের পাশাপাশি বাড়তে শুরু করেছে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহন। চলছে রিকশা-অটোরিকশা। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজশাহীর কোথাও বিএনপির নেতাকর্মীদের পিকেটিং করার খবর পাওয়া যায়নি। তবে যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে বাসে। ফলে রাজশাহী-নাটোর, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী-নওগাঁসহ আশপাশের জেলাগুলোর সঙ্গে বাস চলাচল কমে গেছে। এসব জেলা থেকে বাস আসছেও কম বলে জানান রাজশাহী সড়ক পরিবহনের নেতৃবৃন্দ।

বরিশাল

হরতালে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি বরিশালে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি বরিশালে। রোববার সকাল থেকে নগর ও জেলার কোথায় কোন বিএনপি বা জামায়াতের মিছিল বা পিকেটিং এর খবর পাওয়া যায়নি।

সেইসাথে বরিশাল নদী বন্দর থেকে জেলার আভ্যন্তরীন ও জেলার বাহিরের বিভিন্ন রুটে স্বাভাবিক নিয়মে লঞ্চ চলাচল করছে। তবে স্বাভাবিক দিনের থেকে যাত্রী কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন বরিশাল থেকে ভোলাগামী সোহাগী-১ লঞ্চের মাষ্টার নয়ন।

এদিকে বরিশাল নগরের রুপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে আভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লার রুটের বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

কুড়িগ্রাম

 দূরপাল্লার বাস বন্ধ কুড়িগ্রামে বিএনপির ডাকা রোববারের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কারণে সকালে কুড়িগ্রাম থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। তবে কুড়িগ্রাম-রংপুর আন্তজেলা মিনিবাস সার্ভিস চালু রয়েছে।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম সদর সহ কয়েকটি উপজেলা ঘুরে হরতালের প্রভাব চোখে পড়েনি। বিএনপি অফিসসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে পুলিশের সতর্ক অবস্থান লক্ষ করা গেছে। সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি বাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাময়িক অবস্থান নেয় এবং সকালে জেলা বিএনপি একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। এছাড়া তাদের আর কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। সকালে কাঁঠালবাড়িতে অটোরিকশা ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকলে পরে পুলিশ গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।

জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক আশরাফুল হক রুবেল বলেন,‘হরতালেন সমর্থনে সকালে আমরা একটা বিক্ষোভ মিছিল করেছি। অধিকাংশ নেতা-কর্মী ঢাকায় অবস্থান করছে। এ কারণে জেলায় তেমন কর্মসূচি নেই।’

নোয়াখালী

দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে নোয়াখালীতে পুলিশের অভিযানে জামায়াত-বিএনপি সন্দেহে ৮৪জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলার সোনাপুর বাস স্টেশন থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস স্টেশন ছেড়ে যায়নি। জেলার ৯টি উপজেলার অভ্যন্তরীণ রুটে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। স্কুল,কলেজ ও অফিসমুখী লোকজনও ছিলেন রাস্তায়। জেলায় হরতালে কোনো প্রভাব পড়েনি।

বেলা বাড়ার সাথে সাথে জেলা শহরের অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলতে থাকে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহলে রয়েছে। এখানো পর্যন্ত হরতালের সমর্থনে জেলার কোথাও মিছিল বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। হরতালে সমর্থণে মাঠে ছিলনা বিএনপি-জামায়াতের নেতা কর্মিরা।

কুষ্টিয়া

সিএনজি, রিকশা চলছে কুষ্টিয়ায় কুষ্টিায়ায় রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে চলছে ঢিমেতালে হরতাল। সিএনজি, রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করলেও দূরপাল্লার এবং অভ্যান্তরীন সড়কেও কোনো বাস কুষ্টিয়া ছেড়ে যায়নি।

হরতালের দিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াত নেতা-কর্মীরা কোনো পিকেটিং বা সভা-সমাবেশ করতে দেখা যায়নি। কুষ্টিয়া শহরের ব্যস্ততম মজমপুর, চৌড়হাস, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, রেলগেট, এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে, বিএনপির ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতালে কুষ্টিয়ায় তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। হরতাল সফল করতে বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, হরতালের বিপক্ষে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরে মিছিল করেছে।

শহরের এনএস রোড ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা বেলা বাড়ার সাথে শহরের কিছু দোকানপাট খুলেছেন।

চট্টগ্রাম

হরতালের প্রথম ভাগ থেকেই চট্টগ্রামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোনো অঘটন ঘটেছে-এমন খবর পাওয়া যায়নি। তবে সড়কে সেভাবে চলছে না গাড়ি। দূরপাল্লার গাড়ির পাশাপাশি শহরেও চলছে না তেমন গণপরিবহন। এ কারণে সকালে অফিসগামী মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

হরতাল সমর্থনে রোববার সকালে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় মিছিল বের করে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ সড়কে অবস্থান করে তাঁরা সটকে পড়েন। অন্যদিকে বিএনপি কোথাও মিছিল করেছে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলে দায়িত্বরত ইদ্রিস আলীও বলেন, কোথাও মিছিল হয়েছে কিনা সেটা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ‘হরতালকে সামনে রেখে শনিবার রাত থেকেই আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এছাড়া ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া নেতা-কর্মীদের অনেকে এখনো ফেরেননি। সেজন্য এখনো কোথাও মিছিল হয়েছে কিনা বলা যাচ্ছে না।’

কক্সবাজার

সকাল থেকে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোন বাস। কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কে বিভিন্ন রুটে চলাচলরত অসংখ্য বাস টার্মিনালের অভ্যন্তরে পার্কিং করে রাখা হয়েছে। আড্ডা দিয়ে সময় পার করছেন হেলপার ও চালকেরা। কিছু কিছু কাউন্টার খোলা থাকলেও বন্ধ রয়েছে টিকেট বিক্রি। তবে জরুরিভাবে নোহা, মাইক্রো ও মোটর সাইকেল রাইডে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন অনেকেই।

কক্সবাজারে সকাল ৯টার দিকে শহরের হলিডের মোড়, আদর্শ গ্রাম ও আলির জাহাল থেকে হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল বের করে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করে তারা। তবে মিছিল ও বিক্ষোভ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পুলিশ আসার আগে নেতাকর্মীরা সটকে পড়ে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে আটকের খবরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। কয়েকটি স্থানে পিকেটিং করার চেষ্টা করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।

হরতালের বিরুদ্ধে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ। মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে শহীদ দৌলত ময়দানে গিয়ে সমাবেশ করে। এছাড়া শহরজুড়ে মোটর শোভাযাত্রা বের করে জেলা ছাত্রলীগ।

সিলেট

সিলেটে উত্তাপ বাড়ছে, দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। 

রোববার (২৯অক্টোবর) সকাল থেকে সিলেট নগরী ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে পিকেটিং চলছে। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং পুলিশের পক্ষ থেকে টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও গাড়ি ভাংচুর ও রিকশায় আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।

জানা যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তেলিবাজার, লালাবাজারে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ও অতিরবাড়ি নামকস্থানে সকাল ১০টার দিকে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে দক্ষিণ সুরমা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কোহিনূর আহমদ ও সহ দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম। 

টাঙ্গাইল

বিএনপি-জামাতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দূরপাল্লার গণপরিবহন তেমন দেখা মিলছে না। তবে, এ মহাসড়কে লেগুনা, সিএনজি, অটোরিকশা ও অটোভ্যান দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে।

রোববার (২৯ অক্টোবর) ভোর থেকে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত এ মহাসড়ক এলাকার টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশন এলাকাঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

এদিকে, মহাসড়কে দূরপাল্লার গণপরিবহন না থাকায় বিপাকে পড়েছে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা। সেতু পূর্ব থেকে টাঙ্গাইল শহরে দিকে লেগুনা ও সিএনজি ছাড়া বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।

ফেনী

সারাদেশে চলছে বিএনপি-জামায়াতের ডাকে সকাল সন্ধ্যা হরতাল। সকাল থেকে ফেনীতে ঢিলেঢালা ভাবে হরতাল চলছে। হরতাল ঢিলেঢালা ভাবে হলেও জনমনে রয়েছে আতঙ্ক, শহরের বেশীরভাগ দোকানপাট সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।

শহর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে গণপরিবহন কম হলেও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে সিএনজি-রিকশা। এতে গণপরিবহন না পেয়ে নিরুপায় হয়ে অফিসমুখী ও বিভিন্ন গন্তব্যের মানুষজনকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সিএনজি-রিকশায় যাতায়াত করতে হচ্ছে।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত
সরেজমিনে দেখা যায়, ফেনীর প্রবেশদ্বার মহিপাল থেকে দূরপাল্লার সবধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। মহাসড়কে অনেকক্ষণ বিরতি দিয়ে যে একটি গণপরিবহন বাস আসছে তাতে উঠতে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। শহরের ট্রাংক রোডেও একই চিত্র। শহরগামী বাস চলাচল বন্ধ থাকাত কারনে সিএনজি-রিকশায় যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ। এছাড়াও শহরের বড় বাজারসহ অন্যান্য বাজারের বেশীরভাগ দোকান সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।

শাকিল খান নামে অফিসগামী এক যাত্রী বলেন, হরতালের কারণে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও বাস পাইনি। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে অফিসে যাচ্ছি।

গৌরীপুর

বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের প্রতিবাদে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে হরতাল বিরোধী মিছিল ও শান্তি সমাবেশ করেছে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগ।

রোববার দুপুরে পৌর শহরের ধানমহালস্থ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে একটি হরতাল বিরোধী মিছিল বের হয়।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি ও সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা। মিছিলটি পৌর শহর প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শান্তি সমাবেশ করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

  নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল সারাদেশে বিএনপির ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতাল, অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিল ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের গোলচত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সভা।

সভায় আশুগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ দাউদ অপির পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহিন শিকদার, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু মোসা, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রিফাত শিকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রাব্বি মুন্সী, আড়াইসিধা ইউনিয়ন যুবলীগের জামাল খন্দকার, দূর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের শাহজাহান মিয়া, যুবলীগ নেতা সোহাগ, সৈয়দ হোসেন, মোরাদ মেম্বার, আরিফ, শাহজালাল, পাপন শিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য শাহারান, আল আমিন, রেদোয়ান, ইসমাইল, নাবিল, একান্ত, সোহান, জোবায়ের, আরমান, শাউন, সরকারি ফিরোজ মিয়া কলেজ ছাত্রলীগের ইফরান

বরগুনা

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকে মাঠে নেই বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। হরতালের সমর্থনে কোথাও কোনো মিছিল হয়নি।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকেই আধাবেলার হরতালে জনজীবনে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। শহরের সড়কগুলোতে সবধরনের যানবাহন চলতে দেখা গেছে। তবে ভারী যানবাহন অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে মোড়ে পুলিশের অবস্থান করেছিলো।

সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সড়কে দেখা যায়নি বিএনপি-জামায়াতের কোনো প্রিকেটার। হয়নি কোথাও মিছিল-সমাবেশ।

তবে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে তাদের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন পৌর শহরের বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে পৌর সুপার মার্কেটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবীর সহ সাবেক সিনিয়র নেতা কর্মীদের বক্তব্য দিতে দেখা গেছে।

লক্ষ্মীপুর

বিএনপি জামাত কর্তৃক পুলিশ হত্যা, নৈরাজ্য, অগ্নিসন্ত্রাস এবং হরতালের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুরে পৃথক মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা যুবলীগ ও পৌর আওয়ামীলীগ।

রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে শহরের এলজিইডি ভবনের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক পদক্ষিণ করে। পরে ঝুমুর চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করে তারা। জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম

আহবায়ক বায়েজিদ ভুঁইয়ার আয়োজনে যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন- বিএনপির ডাকা হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। লক্ষ্মীপুরে দোকান-পাট খোলা ও গাড়ি চলাচল সাভাবিক রেখে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছে মানুষ। এসময় জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন নেতারা।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *