সারাদেশ

শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন

ডেস্ক রিপোর্ট: মূল্যস্ফীতি কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভোগ্যপণ্য কিনতে মানুষের যেন কোনো কষ্ট না হয় সে ব্যবস্থাটা আমরা করবো।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভায় যোগ দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আগের চেয়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ্য করে সরকার প্রধান বলেন, বর্তমানে মানুষের জন্য সব থেকে কষ্টের হচ্ছে দ্রব্যমূল্য সত্য। তবে আমরা টিসিবি কর্তৃক পারিবারিক কার্ড করে দিচ্ছি। পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে মানুষ যেন প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে সেজন্য ভর্তুকি দিচ্ছি।

বিদেশি কিছু মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি বাড়ায় বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, আমরা সেটা অনেকটা কমিয়ে এনেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে রমজান, রোজার সময় যা যা দরকার সবই আমরা আগাম ক্রয় করার ব্যবস্থা নিয়েছি। তাছাড়া আমরা সবসময় যারা হতদরিদ্র তাদেরকে বিনা পয়সায় খাদ্য সাহায্য দিয়ে থাকি। সে ব্যবস্থাও আমরা করবো। তাছাড়া টিসিবি পারিবারিক কার্ড পাবে, ওএমএস চালু থাকবে। ভোগ্যপণ্য কিনতে যেনো কারো সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা আমরা যথাযথভাবে করবো।

তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদন অনেক বেশি। খাদ্যপণ্য উৎপাদন আমাদের কোন সমস্যা নেই। তারপরও যে সব জিনিস আমাদের বিদেশ থেকে কিনতে হয় যেমন ভোজ্যতেল, গম, জ্বালানি তেল, গ্যাস এগুলো আমাদের আনতে হয়।

বাংলাদেশের ঘরে ঘরে আমরা বিদ্যুৎ দিয়েছি। তার জন্য আমাদের গ্যাসের চাহিদা রয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সার কারখানায় গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছি। কাজেই সারা বিশ্বব্যাপী যেখানে অর্থনৈতিক মন্দা আমরা তার থেকে দূরে না। তাই আমি সব সময় আহবান করেছি এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে। আমাদের খাদ্যের যেনো অভাব কখনো না হয়। ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন খাদ্যের দাম অনেক বেশি ছিলো, মূল্যস্ফীতিও অনেক বেশি ছিলো। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত ছিলো। সে সময় আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো। ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিলো। আমাদের উদ্যোগে ১৯৯৮ সালে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করি।

শেখ হাসিনা বলেন, কথায় বলে, দুর্নীতি আর মানুষ খুন করাই বিএনপির চরিত্র, এটাই তারা পারে। তাদের নেতাও তো দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। কাজেই এই অবস্থায় আমরা সরকার গঠন করেছি। সবার আস্থা, বিশ্বাস আমরা পেয়েছি। এই বিশ্বাস, আস্থা, মর্যাদা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো যেন সম্পন্ন করতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের উন্নয়নের ধারাকে আরও গতিশীল করতে হবে, এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *