সারাদেশ

চুনারুঘাটে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে ডাকাতি

ডেস্ক রিপোর্ট: চুনারুঘাটে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে ডাকাতি

ছবি: বার্তা২৪.কম

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুর চৌধুরীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫ লাখ টাকাসহ যাবতীয় মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুর চৌধুরী। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালিয়াড়ি গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে সোমবার সকালে পুলিশ সুপার মো: আক্তার হোসেনসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার পর থেকেই পুরো গ্রামে ডাকাতের আতংক বিরাজ করছে। 

জানা যায়, উবাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুরের বাড়িতে ১৫-১৭ জনের একটি সংঘবদ্ধ মুখোশধারী ডাকাতদল ঘরের পেছনের কাঠের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তারা মুহুর্তের মধ্যে পরিবারের সকল সদস্যদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। এক পর্যায়ে বাড়িতে থাকা আলমিরা ও ট্রাংক ভেঙে রক্ষিত থাকা প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫ লাখ টাকা, ১১টি মোবাইল ফোনসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে সকালে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মো: আক্তার হোসেন ও চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায়সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়। (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।

হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কন্ট্রাক্ট কিলার বন্দুকসহ গ্রেফতার

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কন্ট্রাক্ট কিলার মো. হাবিবুর রহমান হবিকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে চার রাউন্ড গুলি, একটি রিভালবার এবং একটি একনালা বন্দুক উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাছুম আহম্মেদ ভূঞাঁ।

তিনি জানান, হাবিবুর রহমান হবি একজন কন্ট্রাক্ট কিলার। সে একটি হত্যা মামলায় দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতিসহ ৩টি মামলা রয়েছে। গতকাল ১৪ জানুয়ারি জেলা ডিবি পুলিশ গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার খুরশিদ মহল ব্রীজের সামনে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায়। এ সময় সন্দেহজনকভাবে হাবিবুর রহমান হবিকে ঘুরতে দেখলে আটক করে দেহ তল্লাশি করে চার রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভালবার এবং একটি একনালা বন্দুক উদ্ধার করা হয়।

হাবিবুর রহমান হবিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সে একজন কন্ট্রাক্ট কিলার। গত ১০ জানুয়ারি দুই লাখ টাকা চুক্তিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা ফরিদ, জাহাঙ্গীর মেম্বার, আলাল সান ও সোহেলদের কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অগ্রীম নিয়ে দত্তের বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিনের ছেলে লিটন মিয়াকে খুন করার জন্য একনালা বন্দুক দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা ফরিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান এসপি।

সেই সঙ্গে এই হত্যা চেষ্টার পেছনে আরও কোন রাজনৈতিক বা এলাকার আধিপত্য বিস্তার বা অন্য কোন কারণ আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও যোগ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফালগুনি নন্দী, সহকারি পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেনসহ প্রমুখ।

গত ৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার দত্তেরবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিনের বাড়িতে গুলি ও ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে লিটন মিয়া (৪৫) গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পরদিন জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পাগলা থানায় মামলা দায়ের করেন।

;

কুমারখালীতে গুলিবিদ্ধ নৌকা সমর্থকের মৃত্যু

কুমারখালী থানা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় জিয়ার হোসেন (৪৫) নামের এক নৌকা সমর্থককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আহত আলতাফ হোসেন চিকিৎসাধীন। তারা কুমারখালি উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া গ্রামের মৃত কেঁদো শেখের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন জানান, নৌকায় ভোট দেওয়ায় জিয়ার হোসেনকে প্রতিপক্ষের (ট্রাক মার্কা) লোকজন গুলি করেছিল। আজ বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

মোবাইল ফোনে নিহতের ছোট ভাই ইয়ারুল বলেন, নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে ১২ জানুয়ারি সকালে সাবেক ইউপি সদস্য খালেক ও তার তিন ছেলে রিপন, লিটন, শিপনসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার দুই ভাইকে গুলি করে। তাদের মধ্যে জিয়ার আজ পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি আসামিদের ফাঁসির দাবি করে থানায় মামলা করেছেন।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর খবর তিনি শুনেছেন। ১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

;

‘কাজ করে খাই, আমাদের শীত নেই’

ইট ভাঙার কাজে নেমে পড়েছেন নারী শ্রমিকরা।

কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা না থাকলে আজকে মেঘের আড়াল থেকে মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে। বইছে কনকন ঠান্ডা বাতাস। এর মধ্যে ইট ভাঙার কাজে নেমে পড়েছেন নারী শ্রমিকরা। শীত নিবারণে গায়ে নামমাত্র শাল জড়ানো। কারো গায়ে পাতলা সোয়েটার। পাশে খড়কুটো দিয়ে জ্বালানো আগুন। হাতুড়ি দিয়ে ইট ভেঙে খোয়ার স্তুপ করে রাখছেন। পাশে বসা ৫ বছর বয়সী সন্তান। তার গায়েও পাতালা জমা।

শীতের সকালে সোমবার এমন চিত্র চোখে পড়ে উত্তরের জেলা রংপুরের রবার্টসনগঞ্জে। মাঘের বার্তা নিয়ে রংপুরে পুরোদমে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রংপুরের মানুষ। একদিকে তীব্র শীতে কাজ না পাওয়ায় আয় কমেছে খেটে খাওয়া শ্রমিকদের। অপরদিকে কনকনে শীতে কাজে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। জীবিকার তাগিদে হাড় কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে তাদের কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে।

শীতে এত সকালে কাজে নেমে পড়েছেন- জানতে চাইলে গুরিয়া বেগম বলেন, ‘নারী শ্রমিক গুরিয়া বেগম বলেন, পেটতো আর শীত মানে না। ৫/৬ দিন ধরে প্রচণ্ড শীত সূর্য নাই। এত শীত এর আগে দেখি নাই। বাচ্চাদের নিয়া খুব কষ্টে আছি আমরা। পেটের ভোগে রোজকার না করলে কি খাবো?  একলা হাতে কাজ করি খাই আমারদের শীত নাই।’

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রবার্টসনগঞ্জে কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে জীবিকার তাগিদে কাজে নেমেছেন নারী শ্রমিকরা। শীত জেঁকে বসায় পথ-ঘাটে লোকজনের আনাগোনা কম থাকলেও মাঠের এক কোনে প্রতিদিনের হাতুড়ি পিটিয়ে সংগ্রাম করছেন তারা। শীতের দাপটে ভারী পোশাক না থাকায় সবচেয়ে জুবুথুবু হয়ে কাজ করছেন তারা।

আরেক নারী শ্রমিক বলেন, খুব শীত পড়ছে। সহ্য করা যায় না। তবে কাজ তো করতে হবে। কাজ না করলে খামু কি। আমরা দিন আনি দিন খাই, কাজ-কাম না করলে কিছু খাওয়ার থাকবে না।

বেশকয়েকজন অবম্য নারী শ্রমিক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ঠান্ডায় আমরা মরি, খড় কুটা জ্বালানি পাশে জ্বালায়া কাজ করতেছি। এই শীতে কত কম্বল মানুষ পায়। আমাদেরকে কেউ চোখে দেখে না। কেউ বলতে পারবো না একটা কম্বল দিছে। বাতাসে ফাঁকা মাঠে দুপুর পর্যন্ত ঠিকমত কাজ করা যায় না।  মজুরি তুলতে পারতেছি না।  যে জিনিসের দাম আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নাই।

;

দিন মজুরের সাজানো সংসার আগুনে পুড়ে ছাই

ছবি: বার্তা ২৪.কম

চাঁদপুরের দিনমজুর হারুন হাওলাদারের স্বপ্নের সাজানো বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। চার মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন তিনি।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে বিদ্যুতের মিটার বিস্ফোরণে পুড়ে যায় উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের গোগরা গ্রামের হারুন হাওলাদারের বসতঘরটি।

ভুক্তভোগী হারুন হাওলাদার জানান, তার পরিবারের সবার পরণের পোশাক ছাড়া আর কিছুই রইলো না। বসতঘরে জমানো নগদ দুই লাখ টাকা ছিলো। কোন আসবাবপত্র সরানো যায়নি। মূহুর্তে সব শেষ হয়ে গেলো। খোলা আকাশের নীচেই এখন বসবাস করতে হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করার জন্য গ্রাম পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছি। শুনেছি তাদের ঘরে নগদ টাকা ও আসবাবপত্রসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি পরিষদের পক্ষ থেকে যতটুক সম্ভব সাহায্য সহযোগিতা করব।

হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়ার স্টেশন অফিসার ইকবাল হাছান জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সব পুড়ে গেছে। এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল বলেন, গরীব হারুন হালদারের বসতঘর পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হারুন হাওলাদারের পরিবারকে সহযোগিতা করবো।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *