সারাদেশ

মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার আগে জেনে নিন

ডেস্ক রিপোর্ট: মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার আগে জেনে নিন

মধুচন্দ্রিমা

শীতকালে বিয়ে করার বেশ আধিক্য দেখা যায়। বিয়ে মানুষের জীবনের একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত। বিয়ের পর প্রথমদিকের সময়গুলো খুব মধুর হয়। তাই, এই সময়কে স্মরণীয় করে রাখতে কোনো একটা স্থানে নবদম্পতি ঘুরতে যায়। একে মধুচন্দ্রিমা বা হানিমুন বলে। এখন যেহেতু শীতকাল চলছে, অনেকেই হয়তো বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মধুচন্দ্রিমার সুন্দর মুহূর্তগুলোকে আরও বিশেষ করে তুলতে এই বিষয়গুলোতে খেয়াল রাখুন-

একসাথে প্ল্যান করা: মধুচন্দ্রিমার প্ল্যান করার কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। দু’জন মিলে একসাথে সব ঠিক করুন। হানিমুনের স্থান, দিন, যাতায়াত ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত একসাথে আলোচনা করে নিন।  

সময় ঠিক করা: আবহাওয়া, পরিবেশ, ব্যয়- সবকিছু মাথায় রেখে সময় ঠিক করুন। বৈরী আবহাওয়া সুন্দর সময় কাটানোতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।  কাজের ক্ষেত্রে ছুটি অনুযায়ী কতদিনের জন্য যাবেন তাও ঠিক করে নিন।   

জীবনসঙ্গীর সাথে একান্তে সময় কাটানো বাজেট ঠিক করা: বিয়েতে সাধারণত মানুষ বেশ কিছু অর্থ খরচ করে। তাই এর পরপরই মধুচন্দ্রিমায় অতিরিক্ত খরচ না করাই ভালো। নামী-দামী হোটেলে অতিরিক্ত খরচ করবেন না। আগেই দুইজন মিলে আলোচনা সাপেক্ষে একটি নির্দিষ্ট বাজেট ঠিক করে নিন।   

ভালো মুহূর্ত: দু’জনে একান্তে ভালো সময় পার করতে, কী করবেন না করবেন- একত্রে সিদ্ধান্ত নিন। প্রিয়জনের প্রতিটা মুহূর্ত স্পেশাল করার চেষ্টা করুন। এমন একটা জায়গা ঠিক করুন, যেখানে অতিরিক্ত ভিড় না থাকে। এতে দু’জন একান্তে সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে পারবেন।  

ভালো মুহুর্তগুলো বন্দী করুন: জীবনে প্রথম একসাথে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তগুলোর ছবি তুলে রাখুন। বৈবাহিক জীবনের সুন্দর সূচনার সাক্ষী হিসেবে যা সংসারের ভিত্তি গড়ে তুলবে। সাধ্যমতো প্রিয়জনকে কিছু সারপ্রাইজ দিন। এতে তার বিশেষ ভ্রমণ স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তথ্যসূত্র: ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গেল

রন্ধনশিল্পী দম্পতি নাঈম ও মালিহার গল্প

নাঈম আশরাফ রহমাতুল্লাহ ও ফাতেমা তুজ জোহরা মালিহা দম্পতি

নাঈম আশরাফ রহমাতুল্লাহ ও ফাতেমা তুজ জোহরা মালিহা- বাংলাদেশের তরুণ মেধাবী দুজন রন্ধনশিল্পী। দুজনেই কালিনারি আর্টস (রন্ধনশিল্প) নিয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন দেশের বাইরে থেকে। নাঈম আশরাফের বিষেশত্ব হলো জাপানিস কুজিন। আর মালিহার বিষেশত্ব ফ্রেন্স কুজিন।

এই দুই রন্ধনশিল্পী গত ডিসেম্বরেই গাটছড়া বেঁধেছেন। চট্টগ্রামের পাহাড়ের কোল ঘেষে অবস্থিত জনপ্রিয় ইকো রিসোর্ট ‘মাটিটা’তে গায়ে হলুদ আর পাঁচ তারকা হোটেল আগ্রাবাদে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। রিসেপশন হয়েছে রাজধানীর গুলশান শ্যুটিং ক্লাবে।

বিয়ের দিন নাঈম আশরাফ রহমাতুল্লাহ ও ফাতেমা তুজ জোহরা মালিহা দম্পতি বিয়ে নিয়ে নাঈম আশরাফ বলেন, ‘কাজের সূত্রেই আমাদের পরিচয়। তবে সেটি বেশিদিন আগের কথা নয়। অল্পদিন প্রেমের পরই দুই পরিবারের সম্মতিতে আমরা মনের মতো করে বিয়ের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংসার শুরু করেছি। কেবল তো শুরু, দোয়া করবেন যেন একসঙ্গে সুখে থাকতে পারি।’

মালিহা সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া, ব্যাংকক, মালদ্বীপ, ভারতসহ নানা দেশে কাজ করেন। বাংলাদেশে ফেরার পর তার হাত ধরেই শুরু হয় গুলশানের ‘হ্যালো ঢাকা’ রেস্টুরেন্ট। বর্তমানে তিনি গুলশান ২-এ অবস্থিত ‘মাঞ্জো’ রেস্টুরেন্টে এক্সিকিউটিভ শেফ হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।

 রিসেপশনে নাঈম আশরাফ রহমাতুল্লাহ ও ফাতেমা তুজ জোহরা মালিহা দম্পতি মালিহা বলেন, ‘আমি রন্ধনশিল্পের ওপর গ্রাজুয়েশন করেছি মালেশিয়ার লা কর্ডন ব্লু স্কুল থেকে। যেটি বিশ্বের অন্যতম পুরনো ফ্রেন্স কালিনারি স্কুল। রন্ধনশিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই এই প্রতিষ্ঠানকে এক নামে চেনেন। আর কাজের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হলো- শেফ টমি মিয়ার সহযোগীতায় মুম্বাইয়ের হোটেল তাজ-এ একটি লাইভ কুকিং শোতে অংশ নিয়েছিলাম। সেখানে আমিই ছিলাম সবচেয়ে কম বয়সী শেফ। আমার রান্না দারুণ প্রশংসা কুড়ায়। এছাড়া কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের একমাত্র নারী এক্সিকিউটিভ শেফ-এর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি ঢাকার একটি প্রেস্টিজিয়াস অর্গানাইজেশন থেকে।’

কনের সাজে ফাতেমা তুজ জোহরা মালিহা অন্যদিকে, নাঈম আশরাফ দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হেড শেফ হিসেবে কাজ করেছেন। এখন বাড্ডায় অবস্থিত হসপিটালিটি ও কালিনারিবিষয়ক ট্রেনিং স্কুল ‘সাইন’-এর সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। অল্প দিনেই এই প্রশিক্ষন কেন্দ্র যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে। এরইমধ্যে রাজশাহীতে একটি শাখা হয়েছে। চট্টগ্রামের শাখা খোলার প্রস্তুতি চলছে।

রন্ধনশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা মালিহা ও নাঈম আশরাফ রহমাতুল্লাহ নাঈম আর মালিহার স্বপ্ন একসঙ্গে মানসম্মত একটি রেস্টুরেন্ট খুলে ভোজনরসিকদের দারুণ সব এক্সপেরিয়েন্স দেবেন।

;

দুধের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধিকারী ৫টি উপাদান

বিভিন্ন উপকারী উপাদান মিশ্রিত দুধ

এক গ্লাস দুধ-পুষ্টিতে পরিপূর্ণ একটি খাদ্য উপাদান। তবে এর সাথে আরও কিছু উপাদান মিশিয়ে এর গুণাগুণ অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলা যায়। এতে দুধের পুষ্টিমানের উন্নত করে, এক শক্তিশালী পানীয় তৈরি করা যায়। ফলে সাধারণ স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। জেনে নিন ৫টি এমন উপাদানের নাম, যা প্রতিদিন দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন:

দারুচিনি: প্রতিদিন দুধে এক চিমটি দারুচিনির গুড়ো যোগ করতে পারেন। এতে এর স্বাদ উন্নত করার পাশাপাশি, বেশ কিছু স্বাস্থ্য সুবিধাও লাভ করতে পারবেন। দারুচিনি প্রদাহ কমায়। তাছাড়া, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। অনেকে গন্ধের কারণে দুধ খেতে পারেনা। দারুচুনর কারণে একটি সুন্দর সুগন্ধও তৈরি করা যায়।

চিয়া বীজ: দুধের সাথে চিয়া বীজ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। এটি বেশ কার্যকারী উপাদান যা শক্তিশালী প্রভাব বিস্তার করতে পারে। চিয়া বীজ ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ। দুধের সাথে চিয়া বীজের মিশ্রণ শরীরে অতিরিক্ত শক্তি প্রদান করে। হার্টের স্বাস্থ্যেও চিয়াবীজ অনেক উপকারী প্রভাব বিস্তার করে।

মধু, হলুদ, দারুচিনি মিশিয়ে দুধের পুষ্টিবৃদ্ধি মধু: দুধে এক টেবিল চামচ খাঁটি মধু সুস্বাদুতা বাড়িয়ে তোলে। এতে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে। গলার জ্বালাভাব দূর করার গুণ রয়েছে মধুতে। দুধের সাথে মধুর মিশ্রণটি যেমন সুস্বাদু, তেমন পুষ্টিকর।

হলুদ: এক গ্লাস দুধে এক চিমটি পরিমাণ হলুদ গুড়ো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হলুদের সক্রিয় উপাদান কারকিউমিনের প্রভাবে দুধে একটি সোনালী আভা আনে। স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এই পানীয়। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলীর কারণে হলুদ সুপরিচিত। রোগ প্রতিরোধে কার্যকারিতার পাশাপাশি, সাধারণ সুস্থতা বজায় রাখতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে হলুদ-দুধ।

বাদামের মাখন বা আমন্ড বাটার: দুধে এক চা চামচ কাঠবাদামের মাখন মিশিয়ে খেলে দুধের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিতে পরিপূর্ণ আমন্ড বাটার। প্রতিদিন আমন্ড বাটার খেলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে। এতে দীর্ঘস্থায়ী জীবনীশক্তি পাওয়া যায়।

তথ্যসূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া

;

কোল্ড এলার্জি নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয়

কোল্ড এলার্জি

শীতকালের হাড় কাঁপানো ঠান্ডা সহ্য করা নেহাত কম কষ্টের ব্যাপার নয়। স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের মানুষরাই জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় ভোগেন। যাদের কোল্ড এলার্জির সমস্যা আছে, তাদের জন্য শীতের মাসগুলো আরও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। তাই, ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে বাঁচার জন্য তাদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যাদের কোল্ড এলার্জির সমস্যা আছে, তারা জেনে নিন :   

১. ঠান্ডা-আবহাওয়ার মাসগুলোতে শরীরের সুরক্ষা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। তাই মোটা কাপড়ের পোশাক ও সোয়েটার পড়া আবশ্যক। শুধু শরীর ঢাকা যথেষ্ট নয়, স্পর্শকাতর অঙ্গগুলোকে রক্ষা করতে হাত-পা এবং মাথা ঢেকে রাখতে হবে। বাইরে বের হওয়ার সময় জ্যাকেট, টুপি, মোজা, দস্তানা, মাফলার বা স্কার্ফ পরবেন। শীতকালে যতটা কম ত্বক উন্মুক্ত রাখা সম্ভব হয়, ততোই ভালো।  

২.পানিতে ছুঁয়ে কোনো কাজ করার আগে পানির তাপমাত্রা দেখে নিন। বিশেষ করে শীতকালে ঠান্ডা পানি পুরোপুরি এড়িয়ে চলা উচিত। গোসল করা এবং কাপড় কাচার মতো কাজ করলে অবশ্যই কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। যারা সাঁতার কাটতে পছন্দ করেন, তারা এমন সুইমিংপুলের খোঁজ করুন যেখানে গরম পানির ব্যবস্থা করা হয়। এমনকি গ্রীষ্মকালে বা গরম আবহাওয়াতেও কখনো ঠান্ডা পানিতে নামবেন না।

৩.ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। হিটার না থাকলে দরজা-জানালা বন্ধ রাখবেন, যেন ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করতে না পারে।

৪.অবশ্যই ঠান্ডা পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে সবসময়ই কুসুম গরম পানি এবং উষ্ণ পানীয় পান করুন। আইসক্রিম এবং ফ্রোজেন খাবার এড়িয়ে চলুন।

৫. ঠান্ডা লাগার আগেই অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খান। রেগুলার চ্যেকআপের মাধ্যমে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকুন। পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন

;

শীতের কাপড়ের যত্ন নেবেন যেভাবে

শীতের কাপড়

দিন দিন যেভাবে ঠান্ডা বেড়ে চলেছে তাতে ঘরের মধ্যেও এক মুহূর্ত সোয়েটার ছাড়া দাঁড়িয়ে থাকার উপায় নেই। সেখানে রোজই তো বিভিন্ন কাজে বাইরে বের হতে হচ্ছে। প্রতিদিন বাইরে সোয়েটার পরে যাওয়ার কারণে দেখা যায়, কাপড়ের তেমন যত্ন করা হয় না। পোশাকের দীর্ঘস্থায়িতা বাড়াতে এসব কাপড়ের কিছুটা যত্ন করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে শীতকালে কাপড়ের যত্ন নেওয়া যায়- 

১. হাতে বোনা সোয়েটার এবং মাফলার ধোঁয়ার সময় কড়া ক্ষারের ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা যাবেনা। কোমল পরিষ্কারক অথবা লিকুইড ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে হবে।

২. মোটা কোট এবং জ্যাকেট হাতে কাচা উচিত নয়। এতে হাতের ক্ষতি হতে পারে, তাই ওয়াশিং মেশিনে মোটা কাপড়ের গরম জামা ধুয়ে নেওয়া ভালো।  

৩. কাদার দাগ লাগলে তা উপেক্ষা করবেন না। চা-কফি বা রঙ যেকোনো কিছু লাগলেই, সাথে সাথেই দাগ ধুয়ে ফেলুন। ওয়াশিং মেশিনে ধুতে হলে, আগে হাতে ঘষে ময়লার দাগ তুলে নিন। নয়তো দাগ না উঠে আরও বরং পুরো কাপড়ে ছড়িয়ে পড়বে।

৪. কাপর ধোয়ার পর ভালো করে পানি চেপে, রোদে দিন। পানি না ঝেড়ে বাইরে মেলে দিলে  ‍শুকাতে সময় লাগে। শুকিয়ে যাওয়ার পর বেশিক্ষণ রোদে রাখলে রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া কাপড়ের জোরও কমে যেতে পারে। শুকিয়ে নেওয়ার পর কুচকে যাওয়া থেকে রক্ষা করুন। ভালো করে ভাজ করে রাখুন।

৫. শীতের কাপড় কখনোই ইস্ত্রি করা উচিত নয়। এতে কাপড়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়।  

তথ্যসূত্র: বর্ন গুড   

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *