খেলার খবর

বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে সেমিতে ভারত

ডেস্ক রিপোর্ট: আগের পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়লেও আশা ছিল ইংল্যান্ডের। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে লক্ষ্ণৌয়ে আজ মরণকামড় বসাতে হতো ভারতকে। সেই ভাবনা থেকেই টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো। উদ্দেশ্য ভারতকে অল্পতে আটকে রেখে দাপুটে জয়ে বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তন করা। সেই ধাপের প্রথম কাজটা বেশ সফলতার সঙ্গেই করেছিল দলটির বোলাররা। কিন্তু এরপর গল্পটা কেবলই হতাশার।

বিশ্বকাপে টিকে থাকার ম্যাচেও ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেনি ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। ৫২ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিদায় ঘণ্টা বাজতে শুরু করলেও স্বপ্ন ছিল; এরপরও যদি কিছু একটা হয়। হার এড়াতে টেলেন্ডারদের একরকম অসাধ্যই সাধন করতে হতো। হয়নি সেটি; বরং ১২৯ রানে গুটিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। ১০০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। অন্যদিকে টানা ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জয় পেয়ে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন ভারত।

ভারতের ছোট লক্ষ্যে ঝড়ো শুরু করেছিল ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিল মালান। তবে সেই ঝড়ের গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে আসে; বুমরাহ পঞ্চম ওভারে এসে পরপর দুই বলে মালান ও জো রুটকে ফেরালে। এরপর বেন স্টোকসও ফিরে যান রানের খাতা না খুলেই। চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হন বেয়ারস্টো ও অধিনায়ক জস বাটলার। বুমারাহ-শামির আগ্রাসী বোলিংয়ে ৫২ রানে পাঁচ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

ক্রিজে তখনও দুই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মঈন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন। অলৌকিক কিছুর অপেক্ষায় ইংল্যান্ডের সমর্থকরা। সেই স্বপ্নটা অবশ্য মোহাম্মদ শামি ভেঙে দেন দ্বিতীয় স্পেলে এসেই। মঈনকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন শামি। এরপর এক ধাক্কায় ইংল্যান্ডের লক্ষ্যটা পরিণত হয় হারের ব্যবধান কমানোর। লিভিংস্টোনে ভর করে সেটা সেই পর্যন্ত কমেছে বইকি। ইংল্যান্ড ম্যাচ হেরেছে ১০০ রানে।

এর আগে বিশ্বকাপের ষষ্ট ম্যাচে লক্ষ্ণৌয়ে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪০ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুলের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে দলটি। তবে এরপর ফের হুঁচট খায় ভারত। রোহিতের ব্যাট থেকে আসে ৮৭ ও রাহুল থামেন ৩৯ রানে। এ দু’জনের পর শেষ দিকে সূর্যকুমার যাদবের ৪৯ রানে ভর করে ইংল্যান্ডকে ২২৯ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে ভারত।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *