সারাদেশ

ঢাবির জগন্নাথ হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাবির জগন্নাথ হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ভাস্কর্য বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী উচাথোয়াই মারমা চ্যাম্পিয়ন এবং বাংলা বিভাগের এমএস শ্রেণির শিক্ষার্থী শুভ বালা রানার্স-আপ হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। খেলা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাথলেটিকস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো.নিজামুল হক ভূইয়া, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো.শাহজাহান আলী, জগন্নাথ হল ক্রীড়া কমিটির অহ্বায়ক মি. উচিৎলয়েনসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলাবোধ ও সুস্থতা বজায় রাখতে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধিতে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। যেসব শিক্ষার্থী লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থাকে তারা সকল ক্ষেত্রে জয়-পরাজয় মেনে নিতে পারে এবং নিজেকে সমাজে যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা যথাযথ ভূমিকা রাখবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে জ্ঞান অর্জনের সাথে সাথে নিয়মিত শরীর চর্চা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, জগন্নাথ হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ২৪টি ইভেন্টে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকরাও অংশ নেয়।

চবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গণসংযোগ ও প্রদর্শনীর ঘোষণা দিয়েছে চবি শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তিন দিনের অবস্থান কর্মসূচি শেষে এ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

কর্মসূচি ঘোষণা করেন চবি শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।

তিনি সময় বলেন, আমরা আগামী দুই দিন (১৭ ও ১৮ জানুয়ারি) গণসংযোগ কর্মসূচি করব এবং আগামী সোমবার, মঙ্গলবার (২২ ও ২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আজ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে যতগুলো নিউজ প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোকে নিয়ে আমরা ‘কেমন চলছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে একটা প্রদর্শনীর আয়োজন করব। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচানো। যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট আছেন সকলকে অংশগ্রহণের উদাত্ত আহ্বান।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে পত্র-পত্রিকায় যখন বিভিন্ন নিয়োগ বাণিজ্যের খবর দেখি তখন আমাদের আত্মীয়-স্বজন পরিচিতদের কাছে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হয়। আমরা জানি এখানে অনেকেই যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন, কিন্তু কিছু নিয়োগ বাণিজ্য সংঘটিত হওয়ায় এখানকার শিক্ষকদের ওপর এমনভাবে কালিমা লেপন করে দেওয়া হয়েছে যেন সকল শিক্ষক অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে হয়েছে। যার কারণে আজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ হয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা যারা আজকে কর্মসূচিতে এসেছি তারা প্রত্যেকে নিজ তাগিদে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচাতে এসেছি। এ বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধুর ৭৩ এর আইনে যে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছে সে স্বায়ত্তশাসন চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, কিন্তু তারা এটাকে নিয়োগের বাজারে পরিণত করেছেন।

তাদের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে, বাধ্য করার পূর্বে আপনারা ভালোই ভালোই চলে যান। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পালিয়ে যাওয়ার নজির আছে। কিন্তু আমরা চাই না এখান থেকে পালিয়ে যান, আমরা চাই সম্মান নিয়ে এখান থেকে কেটে পড়ুন, অন্যথায় পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হবে।

;

বন্ধের সিদ্ধান্তের পরও শেকৃবিতে চলমান ল্যাব খাতার রীতি 

বন্ধের সিদ্ধান্তের পরও শেকৃবিতে চলমান ল্যাব খাতার রীতি 

পুরনো বছরের কোনো ল্যাব খাতা দেখে নতুন খাতায় লিখা কিংবা কোনো শিট দেখে ল্যাব খাতায় তুলে ফেলা বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান এক আদিম প্রথা। রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও (শেকৃবি) এই রীতির বাইরে নয়। যদিও আট মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ল্যাব খাতা লিখা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, যে সকল শিক্ষক আগে থেকেই ল্যাব খাতা লিখার বিপক্ষে ছিল এবং এর পরিবর্তে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করত সিন্ডিকেট মিটিং এর এই সিদ্ধান্ত শুধু তাদের কার্যক্রমকে বৈধতা দিয়েছে। আর যারা পূর্বেও ল্যাব খাতা লিখার পক্ষে ছিল তারা এখনও একই রীতিতে কার্যক্রম চালাচ্ছেন।  

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ল্যাব কোর্সগুলোর ১০ শতাংশ নম্বর ল্যাব খাতার উপর থাকে। কিন্তু এই অংশ থেকে আমরা কিছুই শিখতে পারি না। উল্টো রাতভর ল্যাব খাতা লিখতে গিয়ে পরীক্ষার আসল জিনিস পড়তে বা প্রাকটিস করতে পারি না। অনেক সময় পরীক্ষা খারাপ হওয়ার কারণও হয়ে দাড়ায় এই ল্যাব খাতা লিখা। আমাদের ক্লাস নোটগুলোর উপর ল্যাব খাতার মার্কিং করলে আমাদের জন্য বেশি কার্যকর হতো। সবাই মনোযোগ দিয়ে ক্লাসও করত, শেখাও হতো এবং নম্বরও পাওয়া যেতো। এই পদ্ধতি চালুকরণে কোনো সমস্যা হওয়ার তো কথা নয়। অনেক শিক্ষক এই পদ্ধতি অনুসরণও করছেন।’ 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃতীয় বর্ষের কৃষি অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মাড়িয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এত বড় আন্দোলন হলো। শুনলাম সিন্ডিকেট মিটিংয়েও পাশ হলো লিখতে হবে না ল্যাব খাতা। সিদ্ধান্তের বিষয়ে আনন্দিত হলেও নতুন সেমিস্টারে সেই আগের পদ্ধতিতেই ল্যাব খাতা লিখতে হচ্ছে। জানি না এই সিদ্ধান্তের কি কার্যকারিতা হয়েছে, তবে দীর্ঘ দিন ধরে চলমান এই রীতি বন্ধ হওয়া উচিত। মাড়িয়া মৃত্যু কেন্দ্রিক অন্য দাবিগুলো কার্যকর না হলেও এই একটি দাবি অন্তত বাস্তবায়িত হওয়া উচিত।’ 

উল্লেখ্যে,গ ত ২৩ মার্চ ২০২৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাড়িয়া নামক এক শিক্ষার্থী আবাসিক হলের ১০ তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করলে সাধারণ শিক্ষার্থী
বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। মিডটার্ম চালু, সাইকোলজিস্ট নিয়োগ এবং ল্যাব খাতা বন্ধকরণসহ বেশ কিছু দাবি শিক্ষার্থীরা উত্থাপন করলেও ল্যাব খাতা বন্ধে প্রশাসন একমত পোষণ করে এবং দ্রুত সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ল্যাব খাতা লিখা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষকগণ এই রীতিকে অকার্যকর মনে করলেও বন্ধের সিদ্ধান্তের আট মাস পরে এখনও চলমান রয়েছে এই রীতি।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবুল ফায়াজ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘প্রথমত আমরা বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এখনও বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে  অপারগতা দেখিয়েছি ।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের সন্তান হিসেবে চিন্তা করতে পারিনি। তাদের সমস্যা গুলোকে নিজেদের সমস্যা মনে করা বাদ দিয়ে, নিজেদের সমস্যা ও স্বার্থ হাসিলে আমরা ব্যস্ত। ল্যাব খাতা লিখা বন্ধকরণ বড় কোনো বিষয় নয়। ক্লাস নোটকেই ল্যাব খাতার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এমনিতেই আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকে। তার উপর অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘ দিন ধরে চলমান এই রীতি তাদেরকে আরও প্রেসারে ফেলছে। একটু চেষ্টা করলেই পরিবর্তন সম্ভব।’ 

অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে থেকে কীভাবে আমরা এই আদি রীতি অনুসরণ করি তা বোধগম্য নয়। আগের লেখা ল্যাব খাতা দেখে নতুন করে লেখার মধ্যে কি মহত্ত্ব বিদ্যমান রয়েছে তা আমাদের অজানা। এগুলো শুধু সময়ের অপচয় মাত্র। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খাতা লিখা বন্ধ করলেও আমাদের এখনও অধিকাংশ ডিপার্টমেন্টের ল্যাব খাতা লিখতে হচ্ছে। আশা করছি এই অপ্রয়োজনীয় রীতি থেকে প্রশাসন যথার্থ ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের নিষ্কৃতি দিবে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.অলক কুমার পাল বলেন, ‘আমাদের সিন্ডিকেটে ল্যাব খাতা লিখা বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা ব্যাবস্থা নিয়েছি। কিন্তু বয়স্ক কিছু শিক্ষক দীর্ঘ দিন ধরে চলমান এই রীতি পরিবর্তন করে নতুনত্বের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারছেন না। তবে আমরা চেষ্টা করছি, তাদেরকে বুঝাচ্ছি, আশা করি দ্রুতই পরিবর্তন সম্ভব হবে। আমরা পুরোনো খাতা দেখে ল্যাব খাতা লিখার পক্ষে নই।’ 

;

জবিতে চারুকলা অনুষদের যাত্রা শুরু

ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আনুষ্ঠানিকভাবে চারুকলা অনুষদের যাত্রা শুরু হয়েছে। অনুষদটিতে নতুন তিনটি বিভাগ রয়েছে৷ ইতিমধ্যেই অনুষদটির একাডেমিক বিভিন্ন বিষয়াদি প্রস্তুত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে চারুকলা অনুষদের ডীন ও তিন বিভাগের চেয়ারম্যান নিযুক্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

অনুষদটির ডীন ও ড্রইং এন্ড পেইন্টিং বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক মোহাঃ আলপ্তগীন, প্রিন্টমেকিং বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক ড. বজলুর রশীদ খান এবং ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে সহকারী অধ্যাপক ইমাম হোসেন নিযুক্ত হয়েছেন।

জানা যায়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই চারুকলা অনুষদের তিনটি বিভাগে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন৷ বিভাগগুলোর একাডেমিক কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউটিলিটি ভবনেই নতুন বিভাগগুলোর শ্রেণীকক্ষ সহ একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ধীরে ধীরে অনুষদটিতে বিভাগের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক ইমাম হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীবান্ধব বিভাগ তৈরী করতে চাই৷ শিক্ষার্থীদের আরও দক্ষ করে তোলার চেষ্টা থাকবে৷

প্রিন্টমেকিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বজলুর রশীদ খান বলেন, শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী করে তোলা আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে। পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞানের মাধ্যমকে আধুনিকায়নের চেষ্টা থাকবে।

চারুকলা অনুষদের ডীন ও ড্রইং এন্ড পেইন্টিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাঃ আলপ্তগীন বলেন, চারুকলা হচ্ছে অলংকারস্বরূপ। এটি মননশীলতা ও নান্দনিকতার বহিঃপ্রকাশ। সকল সংকট উত্তরণ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদকে এগিয়ে নিতে এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষতা-মেধা বিকাশে আমরা সচেষ্ট থাকবো৷

প্রসঙ্গত, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগকে অনুষদ ঘোষণা করে এর অধীনে তিনটি নতুন বিভাগ খোলার অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট সাতটি অনুষদ রয়েছে।

;

গবিসাসের নেতৃত্বে আখলাক-পিংকি

ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক আমার সংবাদ’র প্রতিনিধি মো. আখলাক ই রাসুলকে সভাপতি ও দৈনিক সময়ের আলোর প্রতিনিধি সানজিদা জান্নাত পিংকিকে সাধারণ সম্পাদক করে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) দশ সদস্য বিশিষ্ট একাদশ কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। 

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদায়ী কমিটির সভাপতি বরাতুজ্জমান স্পন্দনের সভাপতিত্বে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।

কমিটি ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদ। দশ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি ইউনুস রিয়াজ(সময় জার্নাল), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফসানা মিজান মিমি (দৈনিক মানবজমিন), সাংগঠনিক সম্পাদক ইভা আক্তার (বাংলাভিশন), অর্থ সম্পাদক হুমায়রা রহমান সেতু (দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস), দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক শোভন (দৈনিক নয়া শতাব্দী), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. জনি শিকদার (ক্যাম্পাস লাইভ) কার্যকরী সদস্য আরিফুল ইসলাম আকন্দ (ভার্সিটি ভয়েস), মোজাহিদুল ইসলাম নিরব (এজেড নিউজ বিডি)। নতুন কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সদ্য বিদায়ী সভাপতি বরাতুজ্জমান স্পন্দন (আরটিভি অনলাইন)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস. তাসাদ্দেক আহমেদ।

এ সময়ে গবিসাসের বর্তমান নেতৃবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস) দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম সাংবাদিক সমিতি। ২০১৩ সালে গবিসাসের পথচলা শুরু হয়।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *